ছাত্রলীগের গোপন বৈঠক: আরও ২ আসামি কারাগারে

রাজধানীর ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গোপন বৈঠকের ঘটনায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় তদন্তে প্রাপ্ত আরও দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (১ আগস্ট) শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. এহসানুল ইসলামের আদালত এই আদেশ দেন।
রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন- শফিকুল ইসলাম সজিব ও প্রীতম কুমার দে।
এর আগে, আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির গুলশান বিভাগের পরিদর্শক মো. জেহাদ হোসেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাদের জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৩১ জুলাই বিকালে রাজবাড়ী জেলার নিজ বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৮ জুলাই বসুন্ধরাসংলগ্ন কে বি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ একটি গোপন বৈঠকের আয়োজন করে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বৈঠকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীরা মিলে ৩০০-৪০০ জন অংশ নেন। তারা সেখানে সরকারবিরোধী স্লোগান দেন।
বৈঠকে পরিকল্পনা করা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ পাওয়ার পর সারা দেশ থেকে লোকজন এসে ঢাকায় সমবেত হবে। তারা ঢাকার শাহবাগ মোড় দখল করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে দেশে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করবেন।
এ ঘটনায় গত ১৩ জুলাই রাজধানীর ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক জ্যোতির্ময় মণ্ডল সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা করেন।
পরের দিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহাদুজ্জামান মোল্লার স্ত্রী শামীমা নাসরিন শম্পা ও বরগুনার সোহেল রানার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এছাড়া এ মামলায় বিভিন্ন সময়ে আরও বেশ কয়েকজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।