সহিংসতাকারীদের সঠিক পথে ফিরে আসার আহ্বান মঈন খানের

বর্তমানে দেশজুড়ে যারা সহিংসতা-হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে, তাদের সঠিক পথে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।
তিনি বলেন, 'বর্তমানে দেশজুড়ে যে সহিংসতা-হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটছে, যারা এসব ঘটাচ্ছেন তাদের বলব সঠিক পথে ফিরে আসুন।'
বুধবার (১৬ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় মঈন খান বলেন, 'বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না, কারো বিরুদ্ধে কথা বলে না। বিগত ১৫ বছর একটি ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক দল মুখে স্বাধীনতার কথা বলে গেছে। অথচ স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে বারবার হাত মিলিয়ে দেশের জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করার জন্য কাজ করেছে।'
তিনি বলেন, 'বিএনপি শুধু বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করে। যারা বর্তমানে দেশের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করছেন, তাদের শুধু একটা কথাই বলব, আপনারা বাংলাদেশকে ভালোবাসতে শিখুন।'
তিনি আরও বলেন, 'বিএনপি দেশের স্বকীয় ও ভিন্নধারার চিন্তায় বিশ্বাস করে। কিন্তু বন্দুকের ভয় দেখিয়ে আরেকজনের মতবাদ চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। যারা এ পন্থা অবলম্বন করে, তাদের এ পন্থা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই।'
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, '২৪ এর আন্দোলনকে আজ আমরা স্মরণ করি, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। ৫ আগস্ট যেদিন স্বৈরাচার পালিয়ে গেল, সেদিনের বিজয়কে আটকে রাখলে হবে না। একে সুসংহত করে দেশের প্রতিটা মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে হবে।'
তিনি বলেন, 'কথা হলো স্বাধীনতার এক বছর অতিক্রম হলেও আমাদের অগ্রগতি কী? অন্তবর্তী সরকার গত এক বছরে কি অর্জন করেছে, তা বিশ্লেষণ করতে হবে। তাদের কাছে দেশের মানুষের একটাই প্রত্যাশা, সেটা হলো গণতান্ত্রিক উত্তরণ।'
তিনি আরও বলেন, 'গত কয়েকদিনের ঘটনা প্রবাহ কি সত্যিকার মানবসৃষ্ট নাকি উদ্দেশ্যমূলক সাজানো নাটক, তা উদঘাটন করতে হবে।'
মঈন খান বলেন, 'দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের এখন কেবল পথ একটাই, তা হলো সঠিক, নিরপেক্ষ নির্বাচন। এর বাইরে আর কোনো পন্থা নেই। কেউ যদি বলে তারা গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না, তাহলে তাদের পথ আলাদা।'
তিনি আরও বলেন, '৫ আগস্টে যে বিজয় এসেছে, সেটা কিন্তু সংগ্রামের প্রথম ধাপ। দ্বিতীয় ধাপ ছিল, অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া, তবে তা এখনও হয়নি। আর তৃতীয় ধাপ ছিল জনগণেরর নির্বাচিত একটি দলের মাধ্যমে সরকার গঠিত হওয়া। তাহলেই আমাদের সেই বিজয় পূর্ণতা পাবে।'
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইফতিয়াক আজিজ উলফাদ সহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।