সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিটি অভিযোগের তদন্ত করছে পুলিশ: প্রেস উইং

দেশের বিভিন্ন এলাকায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রতিটি অভিযোগ পুলিশ গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখছে এবং তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে তদন্ত চালাচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, 'এখন পর্যন্ত কোনো ঘটনার পেছনে সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্যের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এগুলো পৃথক ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সহিংসতা মাত্র। তবে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে।'
গত ১০ জুলাই বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও সংখ্যালঘু ঐক্য জোটের ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে ২৭ জন নিহত হয়েছেন এবং গত ১১ মাসে ২ হাজার ৪৪২টি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।
এ প্রসঙ্গে বিবৃতিতে বলা হয়, এর মধ্যে কোনো ঘটনাই সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। নিহত ২৭ জনের ঘটনায় ২২টি হত্যা মামলা এবং ৫টি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। খুনের পেছনে জমি সংক্রান্ত বিরোধ, আর্থিক লেনদেন, ডাকাতি, সন্ত্রাসী আক্রমণ এবং পারিবারিক কলহের মতো কারণ ছিল।
এ পর্যন্ত এসব ঘটনায় ৪৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, ১৫ জন আত্মসমর্পণ করেছেন এবং ১৮ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সংবাদ সম্মেলনে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের ২০টি ঘটনার কথা বলা হলেও এর মধ্যে ১৬টি ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং ২৫ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনটি ঘটনায় কোনো অভিযোগ হয়নি।
ঐক্য পরিষদের দাবি, ২০২৪ সালের ৪ থেকে ২০ আগস্টের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সহিংসতা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ১ হাজার ৭৬৯টি হামলা ও নিপীড়নসহ মোট ২ হাজার ১০টি সাম্প্রদায়িক ঘটনার কথা বলা হয়।
এ বিষয়ে প্রেস উইং জানায়, বাংলাদেশ পুলিশ এসব অভিযোগের মধ্যে ৫৬ জেলায় সংঘটিত ১ হাজার ৪৫৭টি ঘটনার সত্যতা পেয়েছে।
এছাড়া, ৬০টি ঘটনার মধ্যে মন্দিরে চুরি, প্রতিমা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, জমি দখল ও উচ্ছেদ চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। ঐক্য পরিষদ এসবসহ আরও কিছু ঘটনার তথ্য পরে তুলে ধরবে বলে প্রেস উইং'র বিবৃতিতে জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, পুলিশ চূড়ান্ত তালিকা পাওয়ার পর পুনরায় তা পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট আপডেট জানাবে।