মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড: ‘আমি কাউকে আঘাত করিনি, শুধু দাঁড়িয়ে ছিলাম’, আদালতকে অভিযুক্ত টিটন

রাজধানীর পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল এলাকায় ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার মো. টিটন গাজীর পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে আদালতে শুনানি চলাকালে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন তিনি।
আদালতে টিটনের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। শুনানি চলাকালে আদালতের বিচারক টিটনের কাছে তার বক্তব্য জানতে চান।
তখন টিটন বলেন, 'স্যার, আপনি (বিচারক) যে ভাইরাল হওয়া ভিডিও ফুটেজ দেখেছেন, সেখানে আমাকে দেখা যাচ্ছে। আমি কাউকে আঘাত করিনি। আমাকে ফোন করে ডাকা হয়েছিলো। ফোন পেয়ে সেখানে যাই। আমি কাউকে মারধরও করিনি। কাউকে আঘাতও করিনি। ভিকটিমকে আঘাত করার জন্য হুকুমও দেইনি। আমি শুধু দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমি নির্দোষ স্যার।'
টিটনকে এজলাসে ওঠানোর সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'আমাকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে গেছে। আমি কিছুই জানি না। আমি নির্দোষ।'
এদিকে অস্ত্র আইনের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. মনির হোসেন জীবন বলেন, ''হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে, সেই বিষয়ে আসামি দোষ স্বীকার করেছেন। আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছেন, 'অস্ত্রটি আমার। আমাকে অস্ত্রসহ র্যাব কর্মকর্তারা গ্রেপ্তার করেন। ঘটনার সময় এই অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে'।''
গত ৯ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে পাকা রাস্তার ওপর প্রকাশ্যে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে পাথর ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম ১৯ জনের উল্লেখ করে কোতয়ালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাতানামা আসামি করা হয়।