ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ২৫ কিলোমিটার যানজট; ভোগান্তি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চলমান দুই উন্নয়ন প্রকল্প কাজে ধীরগতি ও দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সৃষ্ট খানাখন্দের কারণে মহাসড়কটির ২৫ কিলোমিটার অংশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দিবাগত মধ্যরাত থেকে জেলার আশুগঞ্জ গোলচত্বর থেকে বিজয়নগর উপজেলার রামপুর পর্যন্ত এ যানজট সৃষ্টি হয়। এর ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন দূরদূরান্তের যাত্রীরা। এ অবস্থায় যানজট নিরসনে কাজ করছে হাইওয়ে পুলিশ।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত প্রায় ৫১ কিলোমিটার সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পটির কাজ শুরু হয় ২০২০ সালে। এ প্রকল্পের ১৫ কিলোমিটার পড়েছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অংশে।
তবে প্রকল্প কাজের কারণে দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়কটিতে নিয়মিত সংস্কার কাজ চালাতে না পারায় বিভিন্ন অংশে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত তৈরি হয়েছে৷ এছাড়া একই মহাসড়কে চলমান ছয় লেন প্রকল্প কাজের জন্য মহাসড়কে যানবাহনের ধীরগতির কারণে ভোগান্তি আরও বাড়ছে।
এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে আশুগঞ্জ গোলচত্বরে যানজট তৈরি হয়। এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে বিজয়নগরের রামপুর পর্যন্ত। ফলে আশুগঞ্জ থেকে সরাইল-বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগছে ৫-৭ ঘণ্টা। এতে করে ভোগান্তি বাড়ছে সাধারণ মানুষের।
ঢাকা থেকে আসা হাসিবুর রহমান নামে এক ট্যুরগাইড জানান, ট্যুরিস্টদের একটি দল নিয়ে সিলেটে যাচ্ছেন তিনি। গতকাল রাত ৩টার দিকে আশুগঞ্জ পৌঁছানোর পর যানজটের কবলে পড়েন তারা। বেলা ১১টার দিকে সরাইল-বিশ্বরোড মোড়ে এসে পৌঁছান৷ এতে করে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।
রাশেদ মিয়া নামে নরসিংদীগামী এক বাসযাত্রী জানান, সকাল ১০টার দিকে বিশ্বরোড মোড় থেকে বাসে ওঠেন। কিন্তু দুপুর পৌনে ১২টা পর্যন্ত যানজটের কারণে বাসটি ১ কিলোমিটার পথও পাড়ি দিতে পারেনি বলে জানান তিনি।
খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি মামুন রহমান জানান, উল্টো পথে যানবাহন চলাচলের কারণে যানজট নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে। এছাড়া মহাসড়কে যানবাহনের বাড়তি চাপও যানজটের অন্যতম কারণ। তবে যানজট নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে।
আশুহঞ্জ-আখাউড়া চার লেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক শামীম আহমেদ জানান, নানা জটিলতার কারণে প্রকল্পের কাজ বিলম্বিত হচ্ছে। তবে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে খানাখন্দগুলো জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করা হচ্ছে।