এনবিআরের আরও ৫ কর্মকর্তার তথ্যানুসন্ধান করছে দুদক

দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে বিগত সময়ে বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে অবৈধ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আরও ৫ কর্মকর্তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্যানুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুদকের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কতিপয় অসাধু সদস্য ও কর্মকর্তাগণ কর ও শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে কর দাতাদের কর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাগণ নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য নির্ধারিত পরিমাণ কর আদায় না করে তাদের করের পরিমাণ কমিয়ে দিতেন মর্মে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।
এক্ষেত্রে, প্রতি বছর সরকার বিপুর পরিমাণ রাজস্ব প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে কর্মকর্তাগণ ঘুষ না পেয়ে কর ফাঁকি দেওয়ার মিথ্যা মামলা করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মালিককে হয়রানি করেন মর্মে জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনেক করদাতা আগাম কর দেন। আবার কেউ কেউ বেশি কর দেন। নিয়ম হচ্ছে এই কর হিসাব-নিকাশ করার পর বেশি দেওয়া হলে তা ওই করদাতাকে ফেরত দিতে হয়।
কিন্তু তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ আর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অভিযোগ থেকে জানা যায়, করের বাড়তি টাকা ফেরত পেতে আরো অন্তত অর্ধেক টাকা ঘুষ বা উপহারে খরচ হয়।
অভিযোগ রয়েছে, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর কর্মকর্তারা করের টাকা ফেরত দিতে নিজেরাও কামিয়ে নিচ্ছেন মোটা টাকা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনুরূপভাবে বিগত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন স্টেশনে চাকুরিকালীন বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে শুল্ক, ভ্যাট ও ক্ষেত্র বিশেষে আয়কর ফাঁকির সুযোগ করে দিয়ে ও নিজে লাভবান হয়ে রাষ্ট্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করার মাধ্যমে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১) আব্দুল রশীদ মিয়া, অতিরিক্ত কমিশনার, বৃহৎ করদাতা ইউনিট, ভ্যাট, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড; ২) জনাব লুতফুল আজীম, সদস্য, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড; ৩) জনাব মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক , সিআইসি ,জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ৪) জনাব মোহাম্মদ শিহাবুল ইসলাম,উপ কর কমিশনার, কর অঞ্চল-১৬, ঢাকা; ৫) জনাব মো. তারেক হাছান , যুগ্ম কমিশনার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড -এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক তথ্যানুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।