স্ত্রীসহ সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামানের ৫৬ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও লালমনিরহাট দুই আসনের সাবেক এমপি নুরুজ্জামান আহমেদের ৩১ ব্যাংক ও তার স্ত্রী হোসনে আরা বেগমের ২৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। নুরুজ্জামানের ৩২ ব্যাংক হিসাবে ৬ কোটি ২৬ লাখ ৫০ হাজার ৫০৪ টাকা এবং হোসনে আরার ২৫ ব্যাংক হিসাবে ৮১ লাখ ৬৫ হাজার ৯৩৭ টাকা রয়েছে।
দুদকের পৃথক দুই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (৩০ জুন) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপসহকারী পরিচালক জাকির হোসেন এসব আবেদন করেন।
নুরুজ্জামানের পূর্বাঞ্চলের নতুন শহরে ১০ কাঠা জমির একটা প্লট ও লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ৭ শতাংশ জমি জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এসব জমির মূল্য ধরা হয়েছে, ৩৩ লাখ ১৯ হাজার ৫শ' টাকা। এছাড়া, নুরুজ্জামানের স্ত্রী হোসনে আরা বেগমের নামে থাকা ১১৬ শতাংশ জমি জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আবেদনে বলা হয়, সাবেক মন্ত্রী নূরুজ্জামান আহমেদ দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধমূলক অসদাচরণের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলে রেখেছেন।
তিনি অবৈধভাবে টাকার উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭/১ ধারায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) (৩) ধারা ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় ও শাস্তিযোগ্য অপরাধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আসামি নুরুজ্জামান আহমেদের নামে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ ক্রোক ও অবরুদ্ধকরণের জন্য আদেশ গ্রহণ একান্ত আবশ্যক।
গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর নুরুজ্জামান আহমেদের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
অনুসন্ধান চলাকালে গত ৩০ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামানকে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডের পোস্ট অফিসের গলির মধ্যে তার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নুরুজ্জামান আহমেদ, তার স্ত্রী মোছা. হোসনে আরা ও ছেলে মো. রাকিবুজ্জামান আহমেদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করে দুদক।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, তার স্ত্রী মোছা. হোসনে আরা বেগমকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন একই আদালত।