পদোন্নতি-বদলিতে কানাকড়ি লেনদেন হলে তথ্য দিবেন, লাইফ হেল করে দেবো: কৃষি সচিব

পদোন্নতি-বদলিতে কানাকড়ি লেনদেন হলে তথ্য দিবেন, লাইফ হেল করে দেবো বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান।
তিনি বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনের প্রতিষ্ঠানগুলোর পদোন্নতি ও বদলিতে কেউ যদি কানাকড়ি লেনদেন করে তাহলে তথ্য দিবেন, তার লাইফ হেল করে দেবো। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। জিরো বলতে একেবারে জিরো।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাজধানীর মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে আয়োজিত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের (তৃতীয় সংশোধনী) জাতীয় কর্মশালায় কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিখাতে পদোন্নতি ও বদলিসহ সকল ধরনের কাজে সচ্ছতা ও যোগ্যতার আলোকে হতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, 'যে লেনদেনের তথ্য দিবেন তাকে ভালো পদোন্নতি দেওয়া হবে। তবে তথ্য হতে হবে উপযুক্ত প্রমাণসহ। যে তথ্য দিবে তার পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
ডেপুটি ডিরেক্টর (ডিডি) পদে পোল করে নিয়োগ দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ২০-২৭ ব্যাচের যারা ডিডি হয়নি বা ডিডি হতে ইচ্ছুক তাদেরকে পোল করে নিয়োগ দিবো। তাদেরকে বিভিন্নভাবে অ্যাসেস করা হবে। ঘুরে ঘুরে তদবির করে আর ডিডি হতে হবে না। প্রসেসের মধ্য দিয়ে আসতে হবে। উপজেলা কৃষি অফিসার ও পিডির (প্রজেক্ট ডিরেক্টর) জন্য একই ব্যবস্থা করা হবে।
ডিডি, পিডি কিংবা উপজেলা কৃষি অফিসারদের নিয়োগের সময় ট্রেনিং করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ডিডি হওয়ার আগে ১৫ দিনের এক্সটেন্সিভ ট্রেনিং করতে হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের দুই মাসের ট্রেনিং করতে হয়। কৃষি অফিসারদের অন্তত ১৫ দিনের ট্রেনিং করতে হবে। ট্রেনিং না করলে মাঠে গিয়ে তারা বুঝবে কিভাবে?
ডিএইর মহাপরিচালক মো. ছাইফুল আলমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুবুল হক পাটোওয়ারী, ডিএইর পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) হাবিবউল্লাহ, হর্টিকালচার উইংয়ের পরিচালক এস এম সোহরাব উদ্দীন।
মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্পটি পরিচালক আব্দুল হালিম।
এসময় আব্দুল হালিম বলেন, প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের হর্টিকারচার সেন্টারগুলোতে চারা উৎপাদন দেড় কোটি থেকে পাঁচ কোটিতে উন্নীত করা হয়েছে। প্রকল্পের লক্ষ ছিল পাহাড়ী ও উপকূলীয় অঞ্চলের পতিত জমিকে ফল চাষের আওতায় নিয়ে আসা।
এসময় এ প্রকল্পের কারণে এক দশকে ফলের উৎপাদন ৫০ শতাংশ বেড়েছে বলে জানান।