বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে নতুনবাজারে ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের ব্লকেড

২৬ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ একাধিক দাবিতে রাজধানীর নতুনবাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীরা।
তাদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগঠন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি অ্যালায়েন্স অব বাংলাদেশ।
সংগঠনটির নেতারা জানিয়েছেন, আজকের মধ্যে ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের দাবি না মানা হলে আগামীকাল রোববার (২২ জুন) তারা পুরো ঢাকায় ব্লকেড কর্মসূচি করবেন।
শনিবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে 'নতুনবাজার ব্লকেড' কর্মসূচি শুরু হলে নতুনবাজার-গুলশান-বনশ্রী সংযোগ সড়কে যান চলাচলে চরম ভোগান্তি তৈরি হয়। অপর পাশের সড়কে সীমিত সংখ্যক যান চলাচল করলেও তা ছিল ধীরগতির। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ইউআইইউ'র শিক্ষার্থীদের দাবি, শিক্ষার্থীদের অবৈধ বহিষ্কারাদেশ তুলে নেওয়া ও স্বেচ্ছাচারী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সড়কে তাদের এই অবস্থান কর্মসূচি।
অবরোধস্থলে শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগানে মুখর ছিলেন— 'হয় বহিষ্কার বাদ যাবে, না হয় আমার লাশ যাবে', 'প্রত্যাহার বহিষ্কার, তারপর হবে সংস্কার', 'অথরিটি স্বৈরাচার, এবার তোরা গদি ছাড়', '১ ২ ৩ ৪, প্রাইভেট সংস্কার', 'সিন্ডিকেট নিপাত যাক' ইত্যাদি।

ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল হাসান জানান, সকাল ৮টার পর ২৫ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থী সড়কে অবস্থান নিয়ে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন।
তিনি বলেন, সম্মান শেষ বর্ষের পরীক্ষায় অত্যন্ত কম নম্বর পাওয়ায় ভবিষ্যতে উত্তীর্ণ হতে পারবে না—এমন আশঙ্কায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করেছে।
এ বিষয়ে ভাটারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন হক টিবিএসকে বলেন, অবরোধের কারণে সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। আমরা শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। এ সময় তাদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আমরা কোনো শিক্ষার্থীকে মারধর করিনি। তবে দুয়েকজন শিক্ষার্থী পড়ে গিয়ে আহত হতে পারে। আমাদের ইন্সপেক্টর অপারেশনসহ কয়কেজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলে আমাদের যুগ্ম কমিশনার, ডিসিসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সদস্যরা আছেন। তারা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করছেন।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ইউআইইউ থেকে উপাচার্য, ডিন, বিভাগীয় প্রধান ও পরিচালক পদত্যাগ করেন। এরপর ২৭ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়টি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে ২০ মে থেকে অনলাইন ক্লাস চালু হলেও শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।