ইশরাকের ‘নাগরিক সেবা নিজ তত্ত্বাবধানে করার’ ঘোষণায় দক্ষিণ সিটির সেবা ব্যাহতের শঙ্কা

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন নগর ভবনের কার্যক্রম নিজ তত্ত্বাবধানে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) কার্যক্রম আরও ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কর্মকর্তারা।
সোমবার (১৬ জুন) ডিএসসিসির কর্মচারীদের সঙ্গে এক সভায় ইশরাক এ ঘোষণা দেন। এরপরই নগর ভবনের কর্মকর্তারা কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে পারেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তা। তাদের মতে, একদিকে নগর ভবনে তালা, অন্যদিকে কর্মচারীদের মাধ্যমে জরুরি সেবা দেওয়ার ঘোষণার এই পরিস্থিতিতে কর্মকর্তারা কার্যক্রম থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।
ডিএসসিসির মশা নিধন কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-কে বলেন, 'গত এক মাস ধরে বিভিন্ন উপায়ে মশা নিধনের চেষ্টা চলছে। তবে কর্মচারীরা নিয়মিত কাজ করছেন না। সোমবার ৭৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪৮টিতে কার্যক্রম চালানো হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে সামনে হয়তো অধিকাংশ ওয়ার্ডেই কেউ কাজে যাবে না। কারণ মনিটরিং না থাকলে কাজ সুষ্ঠুভাবে হয় না।'
দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারীদের একটি সংগঠনের এক নেতা বলেন, 'আমরা সবসময় ইশরাক হোসেনের মেয়র পদে শপথের দাবিতে একমত। কিন্তু এখন যেটা হচ্ছে সেটা মেনে নেওয়ার মতো না। নাগরিক ভোগান্তি রেখে দাবি আদায়ের রাজনীতি বন্ধ হওয়া উচিত। কর্মকর্তারা মাঠে না থাকলে কর্মচারীরা কাজ করবে না, এটাই স্বাভাবিক। মনিটরিং করেও সবাইকে কাজে আনা যায় না, সেখানে একজনের কথায় সবাই কাজ করবে ভাবাটা বোকার মতো।'
ডিএসসিসির প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, 'আমি সরকারি কর্মকর্তা, আমাকে সরকার দায়িত্ব দিয়েছে বলেই দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্তু অফিস করতে না পারলে বিভাগগুলো সচল রাখা সম্ভব নয়। এখন যদি সরকার আমাকে দায়িত্বে না রাখে তাহলে দায়িত্ব পালন করবো না। সিদ্ধান্ত পুরোপুরি সরকারের।'
মেয়রের দায়িত্ব নিয়ে তিনি বলেন, 'কে দায়িত্ব পালন করবে তা নির্ধারণ করবে সরকার। এ বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না।'
নগর ভবনের ভবিষ্যৎ কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'গত এক মাস ধরে আমরা বিভিন্নভাবে নাগরিকসেবা চালু রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু যদি এখন কোনো কর্মকর্তা নগর ভবনে ঢুকতেই না পারে এবং ইশরাক সমর্থকরা নিজেদের মতো কর্পোরেশন চালাতে চান, তাহলে আমাদের পক্ষে কাজ করা সম্ভব হবে না। এতে কর্পোরেশনের সেবায় আরও বেশি বিঘ্ন ঘটবে।'