পর্যটকদের পদচারণায় মুখর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত

ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে পর্যটকদের আগমনে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে। দীর্ঘদিনের পর্যটক খড়া কাটিয়ে আবারও জমে উঠেছে সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের এ বেলাভূমি। এতে হাসি ফুটেছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মুখে। ঈদের পরদিন থেকে টানা পঞ্চম দিনের মতো পর্যটকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। শুক্রবার পর্যন্ত হোটেলগুলোতে ৮০ শতাংশের বেশি বুকিং ছিল বলে জানা গেছে।
সমুদ্র সৈকতজুড়ে এখন শুধু পর্যটকদের ভিড়। কেউ ঝাঁপ দিচ্ছেন নোনা জলে, কেউ প্রিয়জনদের সঙ্গে সৈকতের বেঞ্চে সময় কাটাচ্ছেন। অনেকেই ছোট বাহন নিয়ে ঘুরে দেখছেন তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও কাঁকড়ার চরসহ দর্শনীয় স্থানগুলো।
পর্যটক আবিদা সুলতানা প্রিয় বলেন, 'আমি প্রথমবারের মতো কুয়াকাটা এসেছি। চার দিনের ট্যুর প্লান ছিল। ভালো লাগায় আরও একদিন বাড়িয়েছি। কক্সবাজারের মতো অত আধুনিক না হলেও, কুয়াকাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কক্সবাজারকে হার মানাবে। প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়ে গেছি।'
ব্যাংক কর্মকর্তা নাসিরউদ্দিন বলেন, 'বছরে সবচেয়ে বেশি ছুটি পাই ঈদে। বিদেশে যাওয়ার সামর্থ্য নেই, তাই পরিবার নিয়ে দেশের মধ্যেই ঘুরে বেড়াই। এবার কুয়াকাটার চিত্র অন্য রকম ও ভালো লাগার মতো। আমার মনে হয়, সমুদ্র দেখার জন্য বর্ষাই সেরা সময়।'

ফটোগ্রাফার শাহীন মিয়া বলেন, 'পর্যটক আসায় ব্যস্ত সময় পার করছি। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। আমরা প্রতিপিস ছবি ৫ টাকায় দিচ্ছি।'
টোয়াক প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, 'কুয়াকাটায় ২০০টির বেশি আবাসিক হোটেল রয়েছে। ঈদের পর বুকিংয়ের অবস্থা ব্যবসায়িকভাবে আশাব্যঞ্জক। প্রথম শ্রেণির হোটেলে ৭০-৮০ শতাংশ, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির হোটেলগুলোতে ৫০ শতাংশের বেশি বুকিং রয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের ভিড় ভালো। আশা করছি পর্যটন সংশ্লিষ্ট ১৬টি পেশার সবাই লাভবান হবেন।'
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের ইনচার্জ তাপস চন্দ্র রায় বলেন, 'পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ মাঠে রয়েছে। বিভিন্ন পয়েন্টে পোশাকধারী ও সাদা পোশাকে টহল চলছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বদা প্রস্তুত।'