সরকার সঠিক চিকিৎসা দিতে ব্যর্থ হলে অভ্যুত্থানে আহতদের নিয়ে আন্দেলনের হুমকি ইশরাকের

সরকার জুলাইয়ের আন্দোলনে আহতদের সঠিক চিকিৎসা প্রদানে ব্যর্থ হলে আহতদের আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন।
আজ (৮ জুন) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ইশরাক হোসেন বলেন, 'এই সরকার যদি দ্রুততম সময়ের আহত যোদ্ধাদের উন্নত চিকিৎসা না করে এবং এই আহতরা যদি আবারও আন্দোলন করে, তাহলে তাদের সঙ্গে প্রয়োজনে আমরাও আন্দোলনে যোগ দিবো।'
এই বিএনপি নেতা গত রাতে (৭ জুন) জুলাই আন্দোলনে আহতদের জন্য উপহার নিয়ে রাজধানীর জাতীয় ট্রমাটোলজি ও অর্থোপেডিক প্রতিবাসন ইনস্টিটিউটে (নিটোর) যান। তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে ইশরাক বলেন, তিনি জানতে পেরেছেন, সারাদিন কেউ তাদের (আহত যোদ্ধাদের) খোঁজ নিতে যাননি। তাই তিনি তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের জন্য উপহার নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যান।
এসময় আহত কাজী জাবের বলেন, 'ঈদে কেউ কোনো খোঁজ নেননি। আমাদের রক্তের ওপর দিয়ে হওয়া উপদেষ্টারা এখন আরাম আয়েশে ঘুরেছেন, ঈদের আনন্দ করছেন । আর আমরা এখনো হাসপাতালে কাতরাচ্ছি। আমাদের কোন খোঁজ নেওয়ারও দরকার মনে করেন না তারা। এমনকি এই ঈদের দিনেও নষ্ট খাবার দেওয়া হয়েছে।'
আহত নাদিম হাসান বলেন, 'জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কি করলাম। মাসের পর মাস হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে। আর তারা এখন ক্ষমতার স্বপ্নে বিভোর। নতুন দল নিয় ব্যস্ত। আমাদের কথা ভাবার সময় কই!'
আইয়ুব হোসেন নামের আরেকজন বলেন, 'তাদের আর কি চাই? তারা তো উপদেষ্টা হয়েছেন। তাদের কি আর আমাদের কথা ভাবার সময় আছে। যারা জুলাই বেচে খাচ্ছে জুলাই তাদের ছাড়বে না।'
আহতদের অভিযোগ শুনে হতাশাপ্রকাশ করেন ইশরাক হোসেন।
এছাড়া তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'যাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে এই সরকার, তারা ব্যস্ত লুটপাট নিয়ে। এই বীর যোদ্ধাদের কোনো খবর নেয় না, এই ঈদের দিনেও তাদের কোনো খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি তারা। আর ছাত্র উপদেষ্টারা আছেন, তাদের রাজনৈতিক দল গোছানো নিয়ে। আর এই জুলাই যোদ্ধাদের নিয়ে তাদের কোন ভাবনা নেই।'
এসময় জুলাই ফাউন্ডেশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ইশরাক হোসেন।
হাসপাতালের রেকর্ড অনুযায়ী, এই হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডে ২৯ জন এবং আরেকটি ওয়ার্ডে ১৯ জন আহত জুলাই যোদ্ধা ভর্তি রয়েছেন।