শিক্ষা বাজেট জিডিপির ২ শতাংশের নিচে

গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যের কথা বাজেটে বলা হলেও, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত শিক্ষা বাজেট জিডিপির মাত্র ১.৫৩ শতাংশ হওয়ায় তা বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন শিক্ষাবিদরা।
তারা বলছেন, বাজেট বরাদ্দ বৈশ্বিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
আজ (২ জুন) বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, 'বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই শক্তিশালী অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে তুলতে। তাই এ বছর বাজেটে প্রযুক্তিনির্ভর কর্মমুখী শিক্ষার পরিবেশ তৈরিতে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।'
প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৯৫ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা, যা সংশোধিত বাজেটের (৮৪ হাজার ৩১১ কোটি টাকা) তুলনায় ১৩.৪৪ শতাংশ বেশি। তবে এ বরাদ্দ মোট বাজেটের ১২.১১ শতাংশ, যা ইউনেস্কোর সুপারিশ করা ২০ শতাংশের অনেক নিচে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩৫ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা (সংশোধিত বাজেটে ৩৫ হাজার ১২৩ কোটি টাকা)। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে বরাদ্দ ৪৭ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা (পূর্বে ৩৯ হাজার ২৩৪ কোটি) এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগে বরাদ্দ ১২ হাজার ৬৭৮ কোটি টাকা (পূর্বে ৯ হাজার ৯৫৪ কোটি)।
অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, 'একটি শিশুর জ্ঞানগত বিকাশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি গড়ে ওঠে প্রাথমিক শিক্ষায়। এ বিষয় বিবেচনায় নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে গঠিত পরামর্শ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর লক্ষ্য হলো মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা।'
তবে শিক্ষাবিদদের মতে, বরাদ্দের ঘাটতি এবং আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বাজেট গুণগত শিক্ষার পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে।