চট্টগ্রামে ঝোড়ো বাতাসে তীরে ভেসে এলো ৪ জাহাজ

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে নোঙর করা চারটি লাইটার জাহাজ বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাতে ঝোড়ো বাতাস ও জলোচ্ছ্বাসে ভেসে এসে উপকূলে আটকা পরেছে। এর মধ্যে দুটি আনোয়ারা উপজেলার গহিরায় এবং দুটি পতেঙ্গা সৈকতের কাছে আটকা পরেছে।
আটকা পড়া জাহাজগুলোর মধ্যে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নে পড়ে আছে 'মারমেইড-৩' ও 'নাভিমার-৩'। 'মারমেইড-৩' একটি বড় কয়লাবাহী বার্জ এবং সেটিকে টেনে নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত টাগবোট 'নাভিমার-৩'।
প্রায় দুই বছর আগে ভারত থেকে বাঁশখালীর এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য পাথর আনার পর থেকে মালিকানা জটিলতা এবং বকেয়া বিলের কারণে জাহাজ দুটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল।
স্থানীয় শিপিং প্রতিনিধি প্রতিষ্ঠান 'ভিশন শিপিং' জানায়, মালিকপক্ষ টাগবোট পরিচালনার জ্বালানি ও খরচ পরিশোধ না করায় পাঁচটি মামলা হয়েছে।

মালিকদের নীরবতার মধ্যেও প্রতিষ্ঠানটি চারজন পাহারাদার নিয়োগ রেখেছিল।
মিসকাতুর রহমান নামের এক পাহারাদার বলেন, 'সাগর এতটাই উত্তাল ছিল যে, আমরা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি। জাহাজগুলো ঢেউয়ের তোড়ে তীরে চলে আসে।'
এছাড়া, পতেঙ্গা সৈকতের কাছে ভেসে এসেছে এমভি আল-হেরেম ও বিএলপিজি সুফিয়া। গত বছর অক্টোবরে এলপিজি স্থানান্তরের সময় বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত 'সুফিয়া' এখনো ঝুঁকিপূর্ণ।
তবে এখন পর্যন্ত কোনো জাহাজ উদ্ধারে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়নি।
চট্টগ্রাম বন্দরের ভারপ্রাপ্ত হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন জহিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
নৌপরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আটকা পরা জাহাজগুলো দ্রুত না সরালে পরিবেশ ও নৌ-চলাচলে বড় ধরনের ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে।