ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যেই নির্বাচন দিতে অনঢ় প্রধান উপদেষ্টা

চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে ফের নিজের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জোর দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকার আগামী বছরের জুন মাস পার করবে না।
শনিবার (২৪ মে) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, "অধ্যাপক ইউনূস তার কথায় অটল। তিনি একটি সময়সীমা নির্ধারণ করেছেন। তিনি সেই সময়সীমার বাইরে যাবেন না। পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে আগামী জুনের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে।"
প্রেস সচিব আরও জানান, বিএনপির নেতারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসলে তাদেরকেও একই কথা বলেছেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টির (এনসিপি) প্রতিনিধিদের সঙ্গে তিনটি আলাদা বৈঠক করেছেন।
পরে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেসসচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর ও আবুল কালাম আজাদ মজুমদারও উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস সচিব বলেন, "তারা (তিন দলের নেতারা) বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে তাদের আস্থা আছে। এবং তাকে অনুরোধ করেছেন যাতে... ওনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওনার নেতৃত্বে অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন তারা।"
শফিকুল আলম আরও জানান, রাজনৈতিক দলগুলো প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগ না করার জন্য অনুরোধ করেছে এবং বলেছে, তার নেতৃত্বেই যেন বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়।
এর আগে অন্তর্বর্তী সরকার জানায়, অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর আরোপিত তিনটি প্রধান দায়িত্ব (নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার) পালন অসম্ভব করে তোলা হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা মোকাবিলা করা হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, 'শত বাধার মাঝেও গোষ্ঠীস্বার্থকে উপেক্ষা করে অন্তর্বর্তী সরকার তার উপর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। যদি পরাজিত শক্তির ইন্ধনে এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারের উপর আরোপিত দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তোলা হয়, তবে সরকার সব কারণ জনসমক্ষে উত্থাপন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।'
উপদেষ্টা পরিষদ বলেছে, 'অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই মাসের উত্তরণের জনগণের প্রত্যাশা রক্ষা করছে।'
উপদেষ্টা পরিষদের অনির্ধারিত বৈঠকটি প্রধান উপদেষ্টা এবং বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের মধ্যে আলোচনা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে অনুষ্ঠিত হয়।