বাংলাদেশের সব রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য শ্রমবাজার উন্মুক্তের বিষয়ে শীঘ্রই জানাবে মালয়েশিয়া: আসিফ নজরুল

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশের সব রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য উন্মুক্ত করা হবে কি-না— এ বিষয়ে খুব দ্রুত বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়া সফররত প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
"আমরা অনুরোধ করেছিলাম, যাতে বাংলাদেশের সব রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য (মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার) উন্মুক্ত করে দেয়া হয়; যাতে সবাই লোক পাঠানোর সুযোগ নিতে পারে। এটা আমরা অনেক ভালোভাবে বুঝিয়ে বলেছি। ওনারা এটা ভালোভাবে বিবেচনা করে দেখবেন। আমাদেরকে ওনারা অচিরেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাবেন," বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর এক ফেসবুক লাইভে তিনি এ কথা বলেন।
ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থানের বিষয়ে আসিফ নজরুল বলেন, "আমরা বিভিন্ন সূত্রে জেনেছি, আগামী কয়েক মাসে মালয়েশিয়া এক থেকে দেড় লাখ বিদেশি শ্রমিক নিতে পারে। আমাদেরকে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন যে, লোক নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হবে। বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি লোক নেওয়া হবে।"
২০২১ সালে মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের জন্য মাত্র ১০০টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে অনুমোদন দেয়, যদিও বাংলাদেশে নিবন্ধিত এজেন্সির সংখ্যা ২,৫০০'র-ও বেশি।
সীমিত সংখ্যক এসব এজেন্সিকে ঘিরেই গঠিত হয় তথাকথিত 'সিন্ডিকেট', যা ব্যাপক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী পাঠাতে একজন শ্রমিককে সর্বোচ্চ ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হয়েছে বলে বিভিন্ন অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) আওতায়, কোন এজেন্সিগুলোকে অনুমোদন দেওয়া হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ছিল মালয়েশিয়া সরকারের হাতে। এনিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক ও সমালোচনা চলছিল।
গত বছর বিমানের টিকিট না পেয়ে যেতে না পারা ১৭ হাজার কর্মীদের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, "কিছু অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। প্রথম ব্যাচ হিসেবে ৭,৯২৬ জনের তালিকা চূড়ান্ত। অল্প সময়ের মধ্যে সুযোগ দেয়া যাবে।"
আরেকটি বড় অগ্রগতির বিষয় তুলে ধরে তিনি বলেন, "বাংলাদেশি কর্মীরা মাল্টিপল ভিসা পায় না। আমি তাদের (মালয়েশিয়ার) ইন্টেরিয়র মিনিস্টারকে রিকুয়েস্ট করেছি, যাতে অন্য দেশের কর্মীদেরর মতো— বাংলাদেশিরাও মাল্টিপল ভিসা পায়। তিনি কোনো প্রতিশ্রুতি দেননি। তবে এ ব্যাপারে তিনি তাদের কর্মকর্তাদের দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছেন।"
"এছাড়া সিকিউরিটি গার্ড, কেয়ারগিভার, নার্সসহ স্কিলড ওয়ার্কফোর্সে বিষয়ে কথা বলেছি। তারা আগ্রহ দেখিয়েছেন, এবং অবৈধ কর্মীদের বৈধ করার কথাও আমরা বলেছি," যোগ করেন তিনি।