সাইবার নিরাপত্তা আইনের নয় ধারা বাতিল করে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অনুমোদন

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনের ৯টি ধারা বাতিল করে এবং নতুন কিছু ধারা সংযোজন করে 'সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫' এর অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
এর আগে সরকার সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ বাতিল করে। তারপর সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং সাইবার স্পেসে সংঘটিত অপরাধ শনাক্তকরণ, প্রতিরোধ, দমন এবং সংঘটিত অপরাধের বিচার করার জন্য এই 'সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫' প্রণয়ন করেছে।
আজ মঙ্গলবার (৬ মে) সকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয়ে তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অধ্যাদেশসহ মোট তিনটি অধ্যাদেশ ও অন্যান্য কয়েকটি নীতিমালার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
পরে বিকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্তের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন আসিফ নজরুল। এ সময় স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনের ৯টি ধারা বাতিলের কারণে ওই আইনের আওতায় হওয়া ৯৫ শতাংশ মামলা বাতিল হয়ে যাবে। কারণ এই ৯টি ধারাতেই ৯৫ শতাংশ মামলা হয়েছে। নতুন আইনের গেজেট যেদিন প্রকাশিত হবে, সেদিনই ওইসব ধারায় হওয়া মামলা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, এছাড়া কথা বলা বা মত প্রকাশের জন্য এই আইনের অধীনে যেসব মামলা হয়, সেগুলোকে জামিনযোগ্য করা হয়েছে। আগে জামিনযোগ্য ছিল না।
এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে শাস্তি কমানো হয়েছে। সর্বোচ্চ শাস্তি দুই বছরের কারাদণ্ড। তবে মিথ্যা মামলার শাস্তি বাড়ানো হয়েছে।