রোগীর স্বজনকে লাথি, অভিযুক্ত সিলেট ওসমানী মেডিকেলের চিকিৎসক প্রত্যাহার

রোগীর স্বজনকে লাথি মারার ঘটনায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক তন্ময় দেবনাথকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে এবং অভিযুক্ত চিকিৎসকের শাস্তির দাবি ওঠে।
ভিডিওতে দেখা যায়, কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সাদা এপ্রোন পরিহিত এক চিকিৎসক তেড়ে গিয়ে এক ব্যক্তিকে লাথি মারছেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাসপাতালের সার্জারি ইউনিটের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন জুবেল আহমদকে দেখতে গিয়ে তার বন্ধু মিজান আহমদের সঙ্গে চিকিৎসক তন্ময় দেবনাথের এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, তন্ময় দেবনাথ স্নাতকোত্তর 'ফেজ-বি'–এর আবাসিক শিক্ষার্থী। ঘটনার তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী মিজান আহমদ জানান, রোববার জুবেলের এপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা বেড়ে গেলে তিনি কর্তব্যরত চিকিৎসককে ডাকেন। চিকিৎসক অন্য ওয়ার্ডে থাকায় পরে ফিরে এসে মিজানের ডাকাডাকির ভঙ্গি নিয়ে আপত্তি তোলেন। এরপর কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে চিকিৎসক তাকে থাপ্পড় ও লাথি মারেন।
অভিযুক্ত চিকিৎসক তন্ময় দেবনাথ বলেন, 'আমি এক জরুরি রোগী দেখতে অন্য ওয়ার্ডে যাচ্ছিলাম। তখন ৩১ নং ওয়ার্ডে রোগীর বেডে পায়ের উপর পা তুলে দুজন আমাকে ডাকছিল। অন্য ওয়ার্ড থেকে ফিরে আসার পরও তারা একই ভঙিতে আমাকে ডাকাডাকি করে। এ সময় ডাকাডাকির বিষয়ে জানতে চাইলে রোগীর স্বজনেরা তর্কে জড়িয়ে পড়েন।'
তিনি স্বীকার করেন, লাথি মারা উচিত হয়নি এবং মেজাজ হারানোর জন্য অনুতপ্ত ও দুঃখিত। পরে রোগীর স্বজনের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে।
ঘটনার সময় ওয়ার্ডে কর্মরত ছিলেন চিকিৎসক রুবেল আহমেদ। তিনি বলেন, রোগীর স্বজনের ডাকাডাকির ভঙ্গি ঠিক ছিল না এবং পরে চিকিৎসককে গালাগাল করা হয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে চিকিৎসক তন্ময় দেবনাথ মেজাজ হারান।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবেন।