বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ২৫ মে জমা দেওয়ার নির্দেশ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে আশুলিয়ায় ৬ জনকে হত্যার পর লাশ পোড়ানোর মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন ২৫ মে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইভাবে, যাত্রাবাড়ি, রামপুরা ও মিরপুরের গণহত্যার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ২০ জুলাই দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (২৩ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেয়।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম জানান, মামলাগুলোর জন্য নতুন গুরুত্বপূর্ণ আলামত পাওয়া গেছে। সেগুলোর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে আরও সময় দরকার। তিনি বলেন, আশুলিয়ায় ৬ জনের মরদেহ পোড়ানোর মামলার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে এবং হত্যার ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে, বাকিদের শনাক্তকরণ চলছে।
এর আগে সকালে, জুলাই-আগস্টে গণহত্যার অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের ৪ মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানসহ ১২ পুলিশ সদস্য ও যুবলীগ নেতা রবিউলকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়া অন্যান্য ব্যক্তির মধ্যে আছেন- ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিরপুর বিভাগের সাবেক উপ-কমিশনার জসিম উদ্দিন মোল্লা, বরখাস্ত হওয়া ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফী, সাভার সার্কেলের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহিদুল ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান, গুলশান থানার সাবেক ওসি মো. মাজহারুল হক, ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।
এছাড়া, সাবেক এসি রাজেন চন্দ্র সাহা, এসআই মালেক, এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সাহা, কনস্টেবল মুকুল এবং নরসিংদী যুবলীগ নেতা রবিউল ইসলামও ট্রাইব্যুনালে হাজির হন।