বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে তালা, অপসারণ দাবি শিক্ষার্থীদের

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে অপসারণসহ চার দাবিতে তার কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালন শেষে তারা তালা ঝুলিয়ে দেন।
এ সময় রেজিস্ট্রারের অধীনে আরও যেসব কার্যালয় রয়েছে, সেগুলো থেকেও উপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। তবে রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে তালা ঝুলানোর সময় কার্যালয়ে ছিলেন না মনিরুল ইসলাম।
রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে তালা ঝুলানোর সময় সেখানে তিনি কা এ সময় রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম তার কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না।
এর আগে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন। সেখানে তারা মনিরুল ইসলামের কুশপুত্তলিকা পোড়ান।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, মনিরুল ইসলাম অবৈধভাবে রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি। তিনি ২০১৮ সালে নারী কেলেঙ্কারিতে বরখাস্ত হয়েছিলেন। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন আবারও মনিরুল ইসলাম রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পান।
তাদের দাবি আজ রোববারের মধ্যে মনিরুল ইসলামকে রেজিস্ট্রারের পদ থেকে অপসারণ করে নতুন কাউকে দায়িত্ব দিতে হবে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী রাকিন খান বলেন, আমরা চার দফা দাবি নিয়ে নেমেছি। দাবিগুলো হলো, অধ্যাপক মুহাম্মদ মুহসিনকে তার দায়িত্ব ফিরিয়ে দিতে হবে, রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে অব্যাহতি দিতে হবে, আওয়ামী লীগের দোসরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং দোসরদের নানা সুযোগ দেওয়ায় উপাচার্যকে ক্ষমা চাইতে হবে।
তিনি বলেন, দ্রুত দাবি মেনে নেওয়া না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এসব বিষয়ে জানতে রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম এবং উপাচার্য প্রফেসর ড. সুচিতা শরমিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।