কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবায় সমন্বয় করতে চায় সরকার: স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদাসম্পন্ন) সায়েদুর রহমান বলেছেন, সরকার লক্ষ করেছে, স্থানীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার-সংক্রান্ত সেবায় প্রায়ই সমন্বয় থাকে না। পরিবারগুলোকে আরও সহজে কার্যকর সহায়তা দিতে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে এসব সেবার সমন্বয় করার পরিকল্পনা করছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসক সপ্তাহ ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় কমিউনিটি ক্লিনিক নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, 'কমিউনিটি ক্লিনিকের বিষয়টি সংবেদনশীল। কমিউনিটি ক্লিনিক এলাকায় সেবার দ্বৈততা আছে।'
সায়েদুর আরও বলেন, একটি পরিবারে স্বাস্থ্যের কর্মী একবার সেবা দিতে যাচ্ছেন। একই পরিবারে আবার পরিবার পরিকল্পনা মাঠকর্মী সেবা দিতে যাচ্ছেন। অন্যদিকে আছে সিএইচসিপি (কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার)।
সিএইচসিপির কাজ মূলত ওষুধ বিতরণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই তিন পক্ষের সেবাদানের বিষয়টি সমন্বয় করার কথা ভাবছে সরকার, যেন একই কাজ দুজন না করেন।
সায়েদুর রহমান আরও বলেন, এমবিবিএস শেষে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) রেজিস্ট্রেশনের জন্য লাইসেন্সিং পরীক্ষা হওয়া দরকার।
'এছাড়া মানুষের আস্থা ফেরাতে লাইসেন্স পাওয়া চিকিৎসকদেরও নিয়মিত নবায়ন পরীক্ষার ব্যবস্থা করা যায় কি না, সেটিও বিবেচনা করা দরকার,' বলেন তিনি।
স্বাস্থ্য খাতে সব ধরনের বৈষম্য কমিয়ে আনার আহ্বানও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য খাতবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান।
অনুষ্ঠানে আয়োজকরা স্বাস্থ্য খাত সংস্কারে কয়েকটি বিষয়ের ওপর জোর দেন। সেগুলো হলো: স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বাস্থ্য স্থাপনার সুরক্ষা নিশ্চিতে 'স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বাস্থ্যস্থাপনা সুরক্ষা অধ্যাদেশ' প্রণয়ন, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে 'গুড মেডিকেল প্র্যাকটিসেস' গাইডলাইন তৈরি ও বিভিন্ন অভিযোগ নিষ্পত্তিতে নীতিমালা প্রণয়ন।
অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে আধুনিক ও সমন্বিত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা তৈরির লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট স্ট্র্যাটেজিক ফ্রেমওয়ার্ক ও অপারেশনাল ফ্রেমওয়ার্কের ভিত্তিতে নতুন জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি ঘোষণা এবং যথাযথ পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও পরিমার্জনের মাধ্যমে জাতীয় ঔষধনীতি শক্তিশালীকরণ এবং তা বাস্তবায়নে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া।
এছাড়া বেসরকারি স্বাস্থ্য খাতকে গণমুখী ও আধুনিকভাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বেসরকারি স্বাস্থ্য খাতে যথাযথ সংস্কার, সুনির্দিষ্ট বেতন কাঠামো প্রণয়ন, যথাযথ মান নিয়ন্ত্রণ, তত্ত্বাবধান ও মূল্যায়নের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার ওপরও জোর দেওয়া হয়।