শিক্ষক লাঞ্ছনায় দোষীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত ক্লাসে ফিরবেন না কুয়েট শিক্ষকরা

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষ এবং শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ক্লাসে না ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কুয়েট ক্যাম্পাসের দুর্বার বাংলার সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনটি জানান কুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. ফারুক হোসেন।
তিনি বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় যারা যারা দোষ করেছে, এই ঘটনার সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে অপসারণ দেওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। অপরাধ যেটা সেটা অপরাধই, সেটা আমাদের ছাত্রদেরও দাবি শিক্ষকবৃন্দেরও দাবি। আমাদের পরিষ্কার অবস্থান, এই বিচার নিশ্চিত করেই ক্লাসে ফিরতে হবে। তা না হলে শিক্ষার পরিবেশ সুষ্ঠুভাবে নিশ্চিত হবে না।
একই সাথে, তিনি ভিসি ও প্রো ভিসিকে অপসারণে ইউজিসির তদন্ত নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টা এসেছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে, অনুরোধ করতে। শিক্ষার্থীদের সাথে আমরা অনুরোধ করে ব্যর্থ হয়েছি। উপদেষ্টার প্রতিনিধিদলও (ইউজিসি সদস্য) এই ব্যাপারে সরকারের কাছে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছে। এখন আমরা দেশের পরিস্থিতি জানি, এ পরিস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক সমিতি উদ্বেগ প্রকাশ করছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় স্বার্থে আমরা সবাই একাত্মতা প্রকাশ করে যাব।
এই বিষয়ে অনশনকারী শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব বলেন, যদি কোনো শিক্ষার্থী শিক্ষক লাঞ্ছনা করে থাকেন, আমরাও তাদের শাস্তি চাই। তবে সেটা একটা সুষ্ঠু তদন্ত কমিটির মাধ্যমে হোক। আগে যে কমিটি তদন্ত করেছিল, তারা একটা বায়াস্ট (পক্ষপাতদুষ্ট) তদন্ত কমিটি ছিল। তাদের বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযোগ ছিল। সেই জন্য আমরা নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে রিপোর্ট চাই।
এছাড়া, ভিসি ও প্রো ভিসি অপসারণে সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি—শিক্ষক নেতার এমন দাবির সাথে ভিন্নমত পোষণ করেছেন অনশনে থাকা আরেক শিক্ষার্থী।
তিনি বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টার সাথে ইউজিসির তদন্ত টিম ক্যাম্পাসে এসেছিল সকাল নয়টার দিকে। আর তারা ভিসি ও প্রোভিসিকে অপসারণের ঘোষণা দিয়েছেন রাত সোয়া দুইটার দিকে। এই দীর্ঘ সময় তারা সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করেছেন। সে তদন্ত প্রতিবেদন আবার মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নিয়েছেন। তারপর তারা অপসারনের কথা জানিয়েছেন। তাই এখানে সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি, তা বলা যাবে না।