দুই বছর আটক থাকার পর মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরলেন ২০ বাংলাদেশি কিশোর

দুই বছর মিয়ানমারে আটক থাকার পর মানবপাচারের শিকার ২০ বাংলাদেশি কিশোর আজ (১৫ এপ্রিল) দেশে ফিরেছেন। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ সমুদ্র অভিযান-এ তাদের ফেরত আনা হয়।
জাহাজটি মিয়ানমারের সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে উদ্ধার অভিযানে অংশ নিতে এবং মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে গিয়েছিল।
উদ্ধার হওয়া কিশোরদের মধ্যে অধিকাংশই ১৬-১৭ বছর বয়সী এবং বেশিরভাগের বাড়ি কক্সবাজারের উখিয়ায়। কাজের আশায় ঘর ছাড়লেও, তারা মানবপাচারকারীদের ফাঁদে পড়ে।
ভুক্তভোগী মোহাম্মদ হাশেম বলেন, 'মানবপাচারকারীরা আমাকে টেকনাফের একটি পাহাড়ের গোপন স্থানে নিয়ে যায়। পরে সাগরপথে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সাত দিন সাগরে ভেসে থাকার পর মিয়ানমার সেনাবাহিনী আমাদের আটক করে।'
চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর ইরশাদ আলী জানান, অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাদের মিয়ানমারের জুবিল্যান্ট রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার-এ বন্দি রাখা হয়েছিল।
তিনি বলেন, 'ভালো চাকরির আশ্বাস দিয়ে একটি চক্র কিশোরদের মিয়ানমারে পাঠায়। তারা সেখানে প্রায় দুই বছর বন্দি ছিল। সম্প্রতি মিয়ানমারে বাংলাদেশের ভূমিকম্প সহায়তা ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টা তাদের মুক্তি ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করে।'
আজ উদ্ধারপ্রাপ্ত কিশোরদের সঙ্গে দেশে ফিরেছেন ভূমিকম্প ও চিকিৎসা মিশনে নিয়োজিত ৫৫ সেনাসদস্যও। নৌবাহিনীর আরও যেসব সদস্য ৮ এপ্রিল ইয়াঙ্গুন বন্দরে ১২০ টন ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছিলেন, তাঁরাও ফিরেছেন।
চট্টগ্রাম নৌ ঘাঁটিতে পৌঁছানোর পর উদ্ধার করা কিশোরদের টিকা দেওয়া হয় এবং সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।