দোকান ভাঙচুর-লুটপাট: ‘জড়িত সবাই গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে’

সোমবার (৭ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন স্থানে ফিলিস্তিনের গাজার সমর্থনে আয়োজিত মিছিলকে ঘটা সহিংসতা এবং বিভিন্ন ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও দোকান লুটপাট-ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত সবাইকে আইনে আওতায় আনার জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আজ মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।
'এসব হামলা ও নাশকতামূলক কার্যক্রম জননিরাপত্তা ও আইনের শাসনের ওপর সরাসরি আঘাত' উল্লেখ করে ওই পোস্টে বলা হয়, এসব মিছিল ঘিরে ঘটে যাওয়া সহিংসতা ও বেআইনি কাজের ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।
প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে দেওয়া ওই পোস্টে আরও জানানো হয়, এসব ভাঙচুরের ঘটনায় এ পর্যন্ত অন্তত ৪৯ জনকে আটক করা হয়েছে। এরইমধ্যে দুটি মামলা রুজু হয়েছে, এবং আরও বেশ কিছু মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তদন্ত চলমান রয়েছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আরও মামলা করার প্রক্রিয়া চলমান আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ওই পোস্টে বলা হয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দৃঢ় প্রয়াসে গতকাল রাতেই অভিযানে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পাশাপাশি মিছিলের সময় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অন্যান্য দুষ্কৃতকারীদেরও শনাক্ত করার চেষ্টা করছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। 'এই সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞের জন্য দায়ী প্রত্যেককে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।'
তদন্তে সহায়তা করতে পারে এমন তথ্য জানা যে-কাউকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে ওই ফেসবুক পোস্টে আরও বলা হয়েছে, একসঙ্গে কাজ করলেই সমাজের শান্তি ও স্থিতি বিনষ্টকারীদের বিচারের মুখোমুখি করা সম্ভব হবে।