টু ব্যান অর নট টু ব্যান: আওয়ামী লীগের বিষয়ে যার যে অবস্থান

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে অনেকেই রাজনৈতিক দল হিসেবে দলটিকে নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়ে আসছেন।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে, বিশেষ করে 'জুলাই রিভাইভ' কর্মসূচির মাধ্যমে এ দাবি আরও জোরালো হয়েছে।
সম্প্রতি হাসনাত আবদুল্লাহর এক পোস্ট ঘিরে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে যেখানে তিনি দাবি করেছেন, 'ক্যান্টনমেন্টের একটি দল' তাদের রাজি করানোর চেষ্টা করছে যাতে 'রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ' নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে।
তবে, সেনা সদর দপ্তরের একটি বিবৃতি উদ্ধৃত করে নেত্র নিউজ জানিয়েছে, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান হাসনাতসহ অন্যদের সঙ্গে এক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, তবে তিনি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য রাজি করানোর চেষ্টা করেননি; বরং কেবল তার ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করেছেন।
এ বিতর্কের মধ্যে এনসিপি নেতা সরজিস আলম ব্যাখ্যা দেন, 'রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ' নিয়ে আলোচনা সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের নিজস্ব মতামত ছিল, কোনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব নয়।
বর্তমানে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র হিসেবে থাকা ছাত্রনেতারা আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে অনড় অবস্থান নিলেও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন মনে হচ্ছে।
বিভিন্ন দলের মধ্যেও এ বিষয়ে অবস্থানের পার্থক্য দেখা যাচ্ছে, যদিও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে খুব একটা আগ্রহী বলে মনে হচ্ছে না।
বিএনপির অবস্থান
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে বিএনপির অবস্থান এক ধরনের 'রোলারকোস্টার রাইডের' মতো পরিবর্তিত হয়েছে।
৩ সেপ্টেম্বর পিটিআই-এর সঙ্গে আলাপকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখা বা এটিকে ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক দল হিসেবে চিহ্নিত করা [বাংলাদেশের] গণতান্ত্রিক চর্চার জন্য ক্ষতিকর হবে।
১ অক্টোবর তিনি একই কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
কিন্তু ৭ অক্টোবর এক সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন জয়নুল আবেদীন ফারুক বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত, কারণ এ ধরনের 'সন্ত্রাসী গোষ্ঠী' টিকে থাকার অনুমতি দিলে দেশ কেবলই অবনতির দিকে যাবে।
এরপর মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে, বিএনপির অবস্থান নিয়ে বিতর্কের মধ্যে, দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে বিএনপি কোনো বাধা সৃষ্টি করছে না।
'অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কয়েকজন সদস্য তাদের মন্তব্য ও বিবৃতির মাধ্যমে প্রচার করছেন যে বিএনপি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে বাধা দিচ্ছে, যা সঠিক নয়,' বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন রিজভী।
এদিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অনড় ছিলেন যে, বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয়।
'কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার আমরা কে? জনগণই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে,' তিনি বলেন।
২৫ অক্টোবর বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এবং নরসিংদী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকন বলেন, বিএনপি রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়।
'আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে; কিন্তু আমরা কোনো নিষেধাজ্ঞা চাই না। আমরা নিষিদ্ধকরণের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমরা খালি মাঠে গোল দিতে চাই না,' বলেন খোকন।
তবে, কয়েক মাসের মধ্যে বিএনপির অবস্থান আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
গত মাসে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগ আর তার বর্তমান নাম ব্যবহার করে রাজনীতিতে থাকতে পারবে না।
এদিকে, মার্চ মাসে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানি বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার যে কোনো পরিকল্পনা যথাযথ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নিতে হবে।
'আমরা রাতারাতি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারি না। জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কেও একই কথা বলা হয়েছিল, কিন্তু সেটি কি কার্যকরভাবে নিষিদ্ধ করা সম্ভব হয়েছিল?' তিনি বলেন।
একই মাসে রিজভী আরও প্রশ্ন তোলেন, কেন আওয়ামী লীগকে সৎ ও পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি সম্পন্ন নেতৃত্বের অধীনে রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া উচিত নয়।
'যদি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসা ব্যক্তিরা কোনো অপরাধ, ছাত্র হত্যা, লুটপাট বা জনগণের অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত না থাকেন, তাহলে কেন তারা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হতে পারবেন না?'—তিনি বলেন।
মাত্র দুই দিন আগে ফখরুল ইসলামের কাছে এ বিষয়ে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল। তবে এবার তিনি নীরবতা পালন করেন।
'আমি এখনই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না। দয়া করে প্রসঙ্গটি অন্য দিকে নিয়ে যাবেন না। ধন্যবাদ,'—তিনি বলেন।
অতীতের নিষিদ্ধ জামায়াতও আওয়ামী লীগ নিষেধের পক্ষে না থাকতে পারে?
হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার চার দিন আগে, ১ আগস্ট, তার সরকারের অন্যতম শেষ সিদ্ধান্ত ছিল জামায়াতে ইসলামীর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা।
পরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। তবে দলটির ভেতরে এ নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তেমন কোনো ক্ষোভ নেই বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে।
নভেম্বরে এক অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর মহাসচিব মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, দলটি প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক সংগঠনসহ কোনো দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয়।
তিন মাস পর গাজীপুর মহানগর জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মো. হোসেন আলী আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।
তিনি যুক্তি দেন, ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার মতোই 'সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে' সাবেক ক্ষমতাসীন দলটিকেও নিষিদ্ধ করা উচিত। এমনকি তিনি এ সিদ্ধান্তের জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটামও দেন।
কিছুদিন আগে জামায়াত আমির ড. শফিকুর রহমান বলেছিলেন, জনগণ আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন চেষ্টাকে মেনে নেবে না।
একটি ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, 'জনগণ ন্যায়বিচার দেখতে চায়—অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গণহত্যার বিচার। এর বাইরে চিন্তার কোনো সুযোগ নেই।'
ছাত্রনেতাদের কঠোর অবস্থান
হাসনাতের দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন তোলা সাম্প্রতিক পোস্টে আগের কথাই পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে—আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা দরকার।
'জুলাই রিভাইভাল'সহ বিভিন্ন ব্যানারে কয়েকজন শিক্ষার্থীও আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞার দাবিতে সোচ্চার রয়েছেন।
অক্টোবরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা হাসনাত বলেছিলেন, আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় বিচার করা যেতে পারে এবং পরে নিষিদ্ধ করা হতে পারে।
একই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন নেতা হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন, যাতে আওয়ামী লীগসহ ১০টি রাজনৈতিক দলের সমস্ত কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং ভবিষ্যতের সকল নির্বাচন থেকে তাদের বহিষ্কারের আদেশ চাওয়া হয়।
এরপর ফেব্রুয়ারিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামও জোর দিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ নাম ও আদর্শের অধীনে রাজনীতির কোনো স্থান নেই।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব আরও কঠোর মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, দলটিকে শুধু নিষিদ্ধ নয়, নির্মূল করা উচিত। তবে এটিকে তিনি তার ব্যক্তিগত মতামত বলে উল্লেখ করেন।
'আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পুনর্বাসনের চিন্তাই অকল্পনীয়। আমি হয়তো সঠিকভাবে বোঝাতে পারিনি, ফলে কিছু সংবাদমাধ্যম আমার বক্তব্য ভিন্নভাবে উপস্থাপন করেছে। তবে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি এখানে প্রাসঙ্গিক নয়। কোনো বিচার না হওয়া পর্যন্ত এ প্রশ্নই ওঠে না,'—উপদেষ্টা বলেন।
এ মাসেও আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞার দাবি জোরদার হচ্ছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং গণঅধিকার পরিষদসহ একাধিক ছাত্র সংগঠন আওয়ামী লীগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত অপরাধের জন্য আওয়ামী লীগের বিচার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
২১ মার্চ তিনি আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক বৈধতা বাতিলের দাবি জানান এবং 'জুলাই গণহত্যার' বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার আহ্বান জানান।
একই দিনে এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তর) সরজিস আলম আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার আন্দোলনে নতুন অধ্যায়ের সূচনা ঘোষণা করেছেন।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি লেখেন, 'আমরা লড়াইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ের জন্য প্রস্তুত। গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত এ লড়াই চলবে।'
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অবস্থান
মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগের বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে ব্যর্থ হওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছে।
দ্য হিন্দুকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউনূস বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচন প্রতিযোগিতার ব্যাপারে তার আপত্তি নেই।
তিনি বলেন, 'আমরা রাজনৈতিক দল নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চাইনি, বিএনপি সেটি করেছে। তারা বলেছে, সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। তারা ইতোমধ্যে তাদের রায় দিয়েছে, আর আমরা দেশের একটি প্রধান দলের মতামতকে উপেক্ষা করতে পারি না।'
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সবসময় এমন উত্তরই দিয়েছিলেন।
তিন দিন আগে ইউনূস ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের একটি প্রতিনিধিদলকে বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে 'হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধসহ বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিদের বাংলাদেশের আদালতে বিচার করা হবে।'
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলও গত বছরের আগস্টের শেষের দিকে এ বিষয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধ করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।
তার এ মন্তব্য আসে তখন যখন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান হাইকোর্টে সরকারের পক্ষে আবেদন জানান যে, আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধ করা ও নিবন্ধন বাতিলের রিট আবেদন খারিজ করা হোক।
তিনি বলেন, 'বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংবিধানে গৃহীত সংগঠনের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে এবং কোনও রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার ইচ্ছা পোষণ করে না। পূর্ববর্তী কর্তৃত্ববাদী শাসনে জড়িত অপরাধীদের আদালতে বিচার করা যেতে পারে, তবে সদস্যদের কর্মকাণ্ডের জন্য কোনও রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা উচিত নয়।'
সেপ্টেম্বরে হাইকোর্ট রিট আবেদনটি খারিজ করে দেন।
তবে অক্টোবরে পরিস্থিতিতে কিছু পরিবর্তন আসে।
১০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার পর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেন, 'যারা গত তিনটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে অবৈধভাবে সংসদে গেছে, তারা জনগণকে প্রতারিত করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অবশ্যই তাদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণে বাধা দেবে।'
তবে এ বাধাগুলো কীভাবে কার্যকর করা হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
জাতিসংঘের পরামর্শ
জাতিসংঘ কোনও রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ না করার পরামর্শ দিয়েছে, কারণ এটি কার্যকর বহুদলীয় গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে। পাশাপাশি, 'এটি বাংলাদেশি ভোটারদের একটি বড় অংশকে কার্যত ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারে।'
ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি নিরাপদ ও কার্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, 'সমস্ত রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে, বিশেষ করে নির্বাচনের আগের সময়ের জন্য। প্রশাসনের ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর প্রভাব কমানোর জন্য তদারকি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করা উচিত।'