রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়: সারজিস

অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সামরিক হস্তক্ষেপ কাম্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মূখ্য সংগঠক (উত্তর) সারজিস আলম।
সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, 'সামরিক হস্তক্ষেপের পরিবর্তে, সশস্ত্র বাহিনীকে তাদের জাতীয় কর্তব্য ও দায়িত্ব পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকা উচিত।'
সারজিস আলম স্পষ্ট করেন যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে তার এবং এনসিপির মূখ্য সংগঠক (দক্ষিণ) হাসনাত আবদুল্লাহর সাম্প্রতিক বৈঠক নিয়ে দলের মধ্যে কোনো অভ্যন্তরীণ মতবিরোধ নেই।
তিনি তথাকথিত 'রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ' নামে আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রচারণা প্রত্যাখ্যান করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
গুজবকে সামাজিক ব্যাধি হিসেবে বর্ণনা করে সারজিস ভুল তথ্য মোকাবিলায় সরকারের প্রতি একটি গুজব-বিরোধী সেল প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান। পাশাপাশি নাগরিকদের মিথ্যা প্রচারণার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।
এদিন সন্ধ্যায় এনসিপির চলমান রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে পঞ্চগড়ের পাঁচটি উপজেলা জুড়ে একাধিক পথসভায় বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে সারজিসের।
এর আগে, ১১ মার্চ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে এনসিপির মূখ্য সংগঠক (দক্ষিণ) হাসনাত আবদুল্লাহর দেওয়া বক্তব্যের সঙ্গে 'কিছু দ্বিমত' প্রকাশ করেন সারজিস।
গতকাল (২৩ মার্চ) দুপুর ১২টায় নিজের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি লেখেন, 'হাসনাত যেভাবে সেদিন সেনাপ্রধানের বক্তব্য পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং গ্রহণ করেছেন ও ফেসবুকে লিখেছেন, তা আমার দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে কিছুটা আলাদা।'
নেত্র নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হাসনাতের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। হাসনাত দাবি করেছিলেন, ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা তাকে ও আরও দুজনকে আওয়ামী লীগের তথাকথিত 'রিফাইন্ড' অংশকে মেনে নিতে চাপ দিয়েছেন।