জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬ প্রস্তাবের মধ্যে ১১৩টিতে একমত এনসিপি

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জানিয়েছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে ১১৩টি প্রস্তাবে তারা পুরোপুরি একমত হয়েছে।
আজ রোববার দুপুরে দলটির পক্ষ থেকে লিখিত মতামত জমা দেওয়ার পর যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কমিশনের স্প্রেডশিটে থাকা ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে আমরা ১১৩টিতে পুরোপুরি একমত। এছাড়া ২৯টি প্রস্তাবে আংশিক একমত হয়েছি, আর ২২টি প্রস্তাবে আমাদের মতের অমিল রয়েছে।
তুষার আরও জানান, কিছু গুরুত্বপূর্ণ কমিশনের রিপোর্ট তারা এখনো পাননি। এর মধ্যে রয়েছে পুলিশ সংস্কার কমিশন ও স্থানীয় সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন। এসব রিপোর্ট দেখতে না পাওয়ায় কমিশনের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চেয়েছে এনসিপি।
তুষার বলেন, 'অনেকগুলো প্রস্তাবের সাথে একমত এবং আংশিক একমত হলেও আমরা পাশের মতামত দিয়েছি। রাষ্ট্রভাষা বাংলা এটা নিয়ে আমাদের আপত্তি নেই। তবে আমরা বলেছি অফিসের ল্যাঙ্গুয়েজ দাপ্তরিক ভাষা হওয়া উচিত।'
'তারা বলেছে তরুণ-তরুনীদের দশ শতাংশ মনোনয়ন দিতে হবে। আমরা বলেছি তরুণ তরুণীদের বয়সের সীমা সর্বোচ্চ কত হবে তা নির্ধারণ করতে হবে। আমরা বলেছি সেটা ৩৫ বছর পর্যন্ত হতে পারে। আর প্রার্থী হওয়ার বয়স হবে ন্যূনতম ২৩ বছর।'
'ডেপুটি স্পিকার দুইজনের কথা বলা হয়েছিল, আমরা বলেছি একজন হবে এবং তা বিরোধীদল থেকে হওয়া উচিত। উচ্চ কক্ষের প্রার্থী নির্বাচনের আগেই ঘোষণা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দিতে পারবেন তবে সব ক্ষেত্রে আইনি বাধ্যবাধকতা থাকবে না।'
জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের প্রস্তাব এসেছে। এটা আমরা সমর্থন করেছি। অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয় আছে। আমরা বলেছি এটা নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার হবে। নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ৭০ থেকে ৭৫ দিন হবে। তবে কোনো পরিস্থিতিতেই নির্বাচনকালীন জরুরি অবস্থা জারি করা যাবে না বলে আমরা প্রস্তাব করেছি।