সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণের দাবি বনবিভাগের, তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন

সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের কলমতেজি টহল ফাঁড়ি এলাকায় লাগা আগুন এখনও থেমে থেমে জ্বলছে। কোথাও শুধু ধোঁয়ার কুণ্ডলী, আবার কোথাও আগুনের শিখা দেখা যাচ্ছে। তবে বনবিভাগ বলছে, আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ।
আগুনের বিস্তৃতি রোধে ফায়ার লাইন কেটে বনবিভাগের নিজস্ব সেচ পাম্প দিয়ে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর কাজ চলছে। তবে আগুন কীভাবে লেগেছে এবং বনের কতটা এলাকায় ছড়িয়েছে, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি বনবিভাগ।
আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধান ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) দিপন চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন ধানসাগর স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা বিপুলেশ্বর দাস ও কলমতেজি টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। সাত কর্মদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২২ মার্চ) সকালে টেপারবিল এলাকা থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখেন স্থানীয়রা। দুপুর ৩টার দিকে বন বিভাগ আগুন লাগার বিষয়টি নিশ্চিত করে এবং নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
স্থানীয়রা জানান, এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বনকর্মীরা। তবে বনের ভেতরে খাল থেকে আগুন লাগার ওই এলাকার দূরত্ব বেশি হওয়ায় পানির উৎস পেতে বেগ পেতে হচ্ছে।
বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) সাকরিয়া হায়দার জানান, বাগেরহাট, শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জের পাঁচটি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করছে। তবে আগুনের স্থলে পানি পৌঁছানো কঠিন হচ্ছে, কারণ ঘটনাস্থল থেকে মরা ভোলা নদীর দূরত্ব প্রায় তিন কিলোমিটার।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মোহাম্মদ নূরুল করিম বলেন, আগুনের বড় কোনো শিখা নেই, শুধু ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে। আমাদের নিজস্ব সেচ পাম্প দিয়ে আগুন নেভানো হচ্ছে। শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত কাজ চলেছে, এখন আগুন ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে।
তদন্ত কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।