সেনাবাহিনীর ‘রিফাইন্ড আ. লীগ’ ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ: হাসনাত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণ)হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, 'আমাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যে আলোচনা হয়েছে, আমরা মনে করছি সেটি রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা।'
আজ শুক্রবার রাত ৮টায় রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ন টাওয়ারে সংগঠনটির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
হাসনাত বলেন, 'রাজনীতি রাজনীতিবিদেরাই নির্ধারণ করবে, রাজনীতি কোনদিকে যাবে সেই সিদ্ধান্ত রাজনীতিবিদদের হাতেই থাকা উচিত।'
এর আগে গত ১১ মার্চ ক্যান্টনমেন্টে এক বৈঠকে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের পরিকল্পনার কথা উপস্থাপন করা হয়েছিল দাবি করে ফেসবুকে পোস্ট করেন হাসনাত। এরপর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।
বৈঠকের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এনসিপির এই নেতা বলেন, '৫ আগস্টের পর ফরমাল-ইনফরমাল আমাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন সময়ে দেখা-সাক্ষাৎ, প্রোগ্রাম হয়েছে। সেদিনের মিটিংয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার জন্য আমাদের আহ্বান করা হয়েছিল।'
নিরাপত্তা ঝুঁকির প্রসঙ্গে হাসনাত বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ছাত্র-নাগরিক, ফ্যাসিবাদবিরোধী ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে আছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি দেখছি না।
শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে সেনাবাহিনী কমিটেড কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা অপরপক্ষ ভালো বলতে পারবে।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, একটি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ বা কার্যক্রম করতে পারবে কি-না, সেটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার সরকার ও বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলোর। সেখানে সেনাবাহিনী কিংবা রাষ্ট্রীয় এমন কোনো প্রতিষ্ঠানের কোনো ধরনের মন্তব্য, পরিকল্পনা, সিদ্ধান্ত ও প্রস্তাবনা দেওয়ার এখতিয়ার নেই।