চেয়ারম্যান-কমিশনারকে ৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখায় বিএসইসির ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের দায়িত্বপ্রাপ্ত নিরাপত্তাকর্মী আশিকুর রহমান গতকাল (৬ মার্চ) এ অভিযোগ করেন।
শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম আজম বলেন, 'মারধর, ভাঙচুর ও আটকে রাখার মামলায় মোট ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।'
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়ার জেরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এর আগে গত বুধবার সাইফুর রহমানকে পুনর্বহাল ও নতুন চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অপসারণসহ চার দফা দাবিতে আন্দোলন করেন বিএসইসির কর্মকর্তারা। এসময় চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনারকে প্রায় চার ঘণ্টা কার্যালয়ের ভেতরে আটকে রাখেন তারা। পরে সেনা বাহিনীর সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বিএসইসির চেয়ারম্যানসহ পুরো কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেন বিএসইসির কর্মকর্তারা। ফলে দিনভর বন্ধ থাকে বিএসইসির কার্যক্রম।
বৃহস্পতিবার সকালে বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও তিন কমিশনার অর্থ উপদেষ্টা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবসহ ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন।
পরে যৌথবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে বিকেল ৩টার দিকে চেয়ারম্যান ও কমিশনাররা কার্যালয়ে ফিরে যান।
এই ঘটনার পর চেয়ারম্যানের নিরাপত্তারক্ষী বুধবারের ঘটনায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় বিএসইসির সাবেক নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম (৫৭) ও রেজাউল করিমসহ (৫৪) ১৬ কর্মকর্তা, পরিচালক, উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাম রয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, নির্ধারিত কমিশন সভা চলাকালে আসামিদের নেতৃত্বে একদল কর্মকর্তা জোরপূর্বক সভা কক্ষে প্রবেশ করে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। তারা প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে সিসিটিভি ক্যামেরা, ওয়াই-ফাই, লিফট ও বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ায় কমিশন চত্বরে বিশৃঙ্খলা ও ভীতির সৃষ্টি হয়।
কর্তৃপক্ষ এখন বিষয়টি তদন্ত করছে এবং তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।