বায়তুল মোকাররমে হিযবুত তাহরীরের মিছিল; পুলিশের টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকায় 'মার্চ ফর খিলাফাত' কর্মসূচির অংশ হিসেবে মিছিল বের করেছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর। এ সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।
আজ শুক্রবার (৭ মার্চ) জুম্মার নামাজের পর পুলিশের ব্যারিকেড উপেক্ষা করে 'খিলাফত খিলাফত' স্লোগান দিয়ে শত শত মানুষ বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট থেকে মিছিলটি বের করে পল্টনের দিকে যাত্রা শুরু করে।
পুলিশ প্রথমে বাঁশি বাজিয়ে এবং মৌখিকভাবে সতর্ক করে তাদের থামানোর চেষ্টা করলেও তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়।

এরপর পুলিশ লাঠিচার্জ ও উপর্যুপরি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। পাশাপাশি হিযবুত তাহরীরের সদস্যদের ধাওয়া দিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ঘটনাস্থলে পুলিশের সঙ্গে সেনাসদস্যরাও যোগ দিয়েছেন।
বেলা আড়াইটার দিকে পুলিশের ধাওয়ায় ছত্রভঙ্গ হয়ে হিযবুত তাহরীরের সদস্যরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে বিভিন্ন গলিতে আশ্রয় নেয়। পুলিশ তাদের গলির মধ্যেও ধাওয়া দেয়। এ সময় কয়েকজন পুলিশের হাতে আটক হন।
বেলা পৌনে তিনটার দিকে পুরানা পল্টন এলাকা থেকে হিযবুত তাহরীরের সব সদস্যকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. মাসুদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, হিযবুত তাহরীরের সদস্যরা বিভিন্ন অলিগলিতে অবস্থান নিয়েছে। পুলিশ সতর্ক অবস্থায় আছে।

এর আগে পুলিশ সতর্ক করেছিল, হিজবুত তাহরীরের যেকোনো কার্যকলাপ সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
আজ এক বিবৃতিতে পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশে নিষিদ্ধ সংগঠন। বিবৃতিতে আরও সতর্ক করা হয় যে, সংগঠনটির পক্ষে কোনো ধরনের জমায়েত, মিছিল বা প্রচারমূলক সামগ্রী বিতরণ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে আজ ভোরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে হিজবুত তাহরীরের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।

হিজবুত তাহরীরের কার্যক্রম জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হওয়ায় ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর বাংলাদেশে সংগঠনটি নিষিদ্ধ করা হয়।
সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ অনুসারে, যেকোনো নিষিদ্ধ সংগঠনের সভা-সমাবেশ, মিছিল এবং প্রচারমূলক সামগ্রী বিতরণ ফৌজদারি অপরাধ বলে বিবেচিত হয়।