লেবাননে কর্মী পাঠানোর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ থেকে লেবাননে কর্মী পাঠানোর ওপর থাকা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছে।
যুদ্ধ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার কারণে গত বছর লেবাননে কর্মী পাঠানোর কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছিল। তবে সম্প্রতি পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশি কর্মীরা আবারও লেবাননে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে। বুধবার (৫ মার্চ) এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে লেবাননে বাংলাদেশ দূতাবাস।
বৈরুতে বাংলাদেশ দূতাবাসের লেবার কাউন্সেলর আনোয়ার হোসেন এক ভিডিও বার্তায় জানান, কিছু শর্তসাপেক্ষে লেবাননে কর্মী পাঠানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, 'প্রতিটি চাহিদাপত্র বৈরুতে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক সত্যায়িত হতে হবে। এছাড়া, ইসরায়েলি সীমান্তের কাছে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল বাদে শুধু নিরাপদ ও উপযুক্ত কর্মপরিবেশসম্পন্ন এলাকায় কর্মী পাঠানো যাবে।'
গত বছর লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে চলমান যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশ সরকার লেবাননে কর্মী পাঠানোর কার্যক্রম স্থগিত করেছিল। নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশি কর্মীদের লেবাননে যাওয়া উচিত নয়।
ফলে, ২০২৪ সালের ১৩ আগস্ট প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এক সরকারি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাংলাদেশি কর্মীদের লেবাননে ভ্রমণ না করার নির্দেশ দেয়। সাত মাস ধরে এই স্থগিতাদেশ বহাল ছিল।
এমনকি, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় প্রায় ১,৫০০ বাংলাদেশি স্বেচ্ছায় দেশে ফিরে আসেন।
তবে সম্প্রতি বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে যে, লেবাননে যুদ্ধ পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে।
এই মূল্যায়নের ভিত্তিতে সরকার লেবাননে কর্মী পাঠানোর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।