এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর খুলল প্যাসিফিক জিন্সের ৭ কারখানা, ৩৫,০০০ শ্রমিকের কাজে যোগদান
সহিংস শ্রমিক অসন্তোষের জেরে এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের সাতটি কারখানাই আজ সকালে (২৩ অক্টোবর) পুনরায় খুলেছে। ওই অস্থিরতায় অন্তত ২৭ জন আহত হয়েছিলেন।
চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৮টার মধ্যেই প্যাসিফিক অ্যাটায়ার্স লিমিটেড, প্যাসিফিক জিন্স লিমিটেড, জিন্স ২০০০ লিমিটেড, এনএইচটি ফ্যাশনস লিমিটেড, ইউনিভার্সাল জিন্স লিমিটেড, প্যাসিফিক ওয়ার্কওয়্যারস লিমিটেড ও প্যাসিফিক অ্যাকসেসরিজে উৎপাদন পুনরায় শুরু হয়েছে।
চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের সুপারিনটেনডেন্ট আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, 'শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে কাজে যোগ দিয়েছেন। পুরোদমে উৎপাদন চলছে।'
তিনি আরও বলেন, 'কারখানাগুলো ফের চালু হওয়ায় এবং শ্রমিকরা কাজে ফেরাটা স্বস্তির ব্যাপার। এই অস্থিরতা ও অচলাবস্থা অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি বিপর্যয়কর হতে পারতো। ৩৫ হাজার শ্রমিক কর্মহীন বসে থাকলে বন্দর নগরীজুড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার আশঙ্কা ছিল, যা অন্যান্য তৈরি পোশাক কারখানাকেও প্রভাবিত করতে পারত।'
যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সিইপিজেড এলাকার চারপাশে শিল্প পুলিশ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি), সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বেপজা সিকিউরিটির সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণ দেখিয়ে গত ১৬ অক্টোবর বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন ২০১৯-এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী কারখানার কার্যক্রম স্থগিত করেছিল প্যাসিফিক জিন্স।
মঙ্গলবার নোটিশ দিয়ে কারখানা খোলার ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, অস্থিরতায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৪২১ জন শ্রমিককে বরখাস্ত করা হয়েছে।
গত ৯ অক্টোবর এই বিক্ষোভের সূত্রপাত। জানুয়ারির একটি ভাঙচুরের মামলার তদন্তে পুলিশ শ্রমিকদের ঠিকানা যাচাই করার জন্য চিঠি পাঠালে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সিইপিজেডজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়কে তার জেরে ১৬ অক্টোবর সংঘর্ষ হয়। এতে ২৭ জন আহত হন। কর্তৃপক্ষ সব কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হয়।
সপ্তাহব্যাপী আলোচনা ও কঠোর নিরাপত্তার পর আজ ফের কার্যক্রম শুরু হলো।
