বাধ্যতামূলক প্রভিডেন্ট ফান্ড, তিন বছর অন্তর ন্যূনতম মজুরি পুনর্নির্ধারণে সম্মতি নিয়োগকর্তাদের

বাংলাদেশ শ্রম আইনের বড় ধরনের পরিবর্তনের দ্বারপ্রান্তে। সরকারের সঙ্গে নিয়োগকর্তা বা মালিকপক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে যেসব সংশোধনী আসছে, তা দেশের আনুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ আমূল বদলে দিতে পারে বলে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে।
অর্থনীতিবিদ ও শ্রম বিশেষজ্ঞরা প্রস্তাবিত এই পরিবর্তনকে ইতোমধ্যেই ইতিবাচকভাবে স্বাগত জানিয়েছেন। সংশোধনের মূল বিষয়গুলো হলো—প্রতি তিন বছর অন্তর ন্যূনতম মজুরি কাঠামো পুনর্নির্ধারণ এবং বড় কারখানাগুলোতে বাধ্যতামূলক প্রভিডেন্ট ফান্ড চালু করা।
বাংলাদেশ শ্রম আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫–এর নতুন খসড়াটিতে বর্তমান আইনের ১২৪টি ধারা সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, এখন থেকে বিদ্যমান আইনের পাঁচ বছর অন্তর নয়, বরং প্রতি তিন বছর অন্তর একবার ন্যূনতম মজুরি কাঠামো সংশোধন করতে হবে। তবে শ্রমিকদের ন্যূনতম বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট ৫ শতাংশ হারেই বহাল থাকবে।
বিজিএমইএ সভাপতি হাসান মাহমুদ খান, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) সভাপতি ও বিকেএমইএ'র সিনিয়র সহসভাপতি ফজলে শামীম এহসান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মজুরি নির্ধারণে মূল্যস্ফীতি ও জিডিপি ধরা হবে ভিত্তি
প্রস্তাবিত এই সংশোধন মূলত মূল্যস্ফীতির কারণে শ্রমিকদের প্রকৃত মজুরি কমে যাওয়ার উদ্বেগ থেকে এসেছে। মজুরি পুনর্বিবেচনায় এবার থেকে মূল্যস্ফীতি ও জিডিপি প্রবৃদ্ধি বিবেচনায় নেওয়া হবে, যাতে শ্রমিকরা মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারেন।
এছাড়া, সংশোধিত আইনে কোন কারখানায় অন্তত ১০০ জন শ্রমিক থাকলেই সেখানে প্রভিডেন্ট ফান্ড বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রভিডেন্ট ফান্ডে শ্রমিকের অংশগ্রহণ ঐচ্ছিক করা হচ্ছে, তবু এটি শ্রমিকদের দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক নিরাপত্তার পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই তহবিলে অবদানের পরিমাণ কারখানা পর্যায়ে মালিক-শ্রমিক আলোচনার ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হবে।
বিদ্যমান আইনে প্রভিডেন্ট ফান্ড গঠন সম্পর্কে বলা আছে, কোনও কারখানার তিন-চতুর্থাংশ শ্রমিক মালিকের কাছে লিখিত দরখাস্ত করে প্রভিডেন্ট ফান্ড চালুর দাবি করলে মালিক তা গঠন করবেন।
সংশোধিত খসড়ায় প্রভিডেন্ট ফান্ড গঠন মালিকের জন্য বাধ্যতামুলক করা হলেও – সেখানে অংশগ্রহণ শ্রমিকদের জন্য ঐচ্ছিক রাখার কথা বলা হয়েছে। প্রভিডেন্ট ফান্ডের জন্য শ্রমিকের মূল বেতনের কত অংশ কর্তন করা হবে, তা মালিক-শ্রমিক আলোচনার ভিত্তিতে কারখানাগুলো ঠিক করবে বলে বলা হয়েছে।
"মজুরির সংশোধন যৌক্তিক"
অর্থনীতিবিদরা এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডির সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নের পরপরই মূল্যস্ফীতির কারণে শ্রমিকদের প্রকৃত মজুরি কমতে থাকে। তাই ইনফ্লেশন একাউন্টিং এবং জিডিপি গ্রোথ বিবেচনায় তিন বছর অন্তর পুনর্নির্ধারণ করলে সেটাই যৌক্তিক।
একই মতপ্রকাশ করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেন, পাঁচ বছর অনেক দীর্ঘ সময়। ন্যূনতম মুল্যস্ফীতির সময়ও পাঁচ বছরে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেড়ে যায়। তাই তিন বছর অন্তর পুনর্নির্ধারণ করা যৌক্তিক।
প্রভিডেন্ট ফান্ড বাধ্যতামুলক করার বিধানও যৌক্তিক বলে মনে করেন তিনি। ফাহমিদা খাতুন বলেন, প্রভিডেন্ট ফান্ড না থাকলে একজন শ্রমিক দীর্ঘদিন চাকরি শেষে যখন ঘরে ফিরে, তখন তার অবলম্বন বলে কিছু থাকে না।
তাঁর মতে, তিন বছর পর পর শ্রমিকদের মজুরি পুনর্নির্ধারণ করা হলে— তাদের চাকরি ছাড়ার প্রবণতা বা এক কারখানার চাকরি ছেড়ে অন্য কারখানায় যোগদান করার প্রবণতা কমে যাবে।
৯০ শতাংশ শ্রমিকই আইনি সুরক্ষার বাইরে
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস)-এর নির্বাহী পরিচালক ও অন্তবর্তী সরকার গঠিত শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ টিবিএসকে বলেন, আমরা তিন বছর পর পর শ্রমিকদের মজুরি পুনর্নির্ধারণের সুপারিশ করে বলেছি, নূন্যতম মজুরি পুনর্নির্ধারণের সময় শ্রমিকরা যাতে মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারে, সেটি বিবেচনায় রাখতে।
তিনি বলেন, "আমরা প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক সকল শ্রমিকের জন্য ন্যূনতম জাতীয় মজুরি নির্ধারণের সুপারিশ করেছি। কিন্তু সরকার শুধু প্রাতিষ্ঠানিকখাতের শ্রমিকদের জন্য শ্রম আইন প্রণয়ন করছে। তাই দেশের ৯০ শতাংশ শ্রমিক, যারা অপ্রাতিষ্ঠানিকখাতে নিয়োজিত, তাদের আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত হবে না।"
সুলতান উদ্দিন বলেন, "অনেক ছোট ছোট কারখানা আছে, যেখানে শ্রমিকের সংখ্যা ৪০-৫০ জন। এসব কারখানায় অন্তত ১০ জন শ্রমিক নিয়ে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের বিধান রাখা প্রয়োজন এবং নিয়মিত যাতে সিবিএ নির্বাচন হয়, সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে।"
বাংলাদেশ শ্রম অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়ায় বর্তমান আইনের ১২৪টি ধারা সংশোধন বা নতুন ধারা সংযোজন করা হচ্ছে। সরকার, মালিক ও শ্রমিক পক্ষ নিয়ে গঠিত ত্রি-পক্ষীয় কমিটি ১২৪টি সংশোধনী প্রস্তাবের ১২২টিতে ঐকমত্যে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে।
ট্রেড ইউনিয়ন নিয়ে মতপার্থক্য
যে দুটি বিষয়ে এখনও মালিকপক্ষ/নিয়োগকর্তারা সম্মতি দেননি, তার মধ্যে রয়েছে— ২০ জন শ্রমিক চাইলেই রেজিস্ট্রার্ড ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করতে পারবে এবং কালেক্টিভ বার্গেইনিং ক্যান্ডিডেট (সিবিএ) নির্বাচনে মোট কাস্টিং ভোটের ৫০%+১ ভোট পেয়ে সিবিএ নির্বাচিত হতে পারবে।
এ দু'টি প্রস্তাবিত ধারায় পরিবর্তন আনতে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করার পাশাপাশি সম্প্রতি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের আমীর ড. শফিকুর রহমানের সঙ্গেও সাক্ষাত করেছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) প্রেসিডেন্ট মাহমুদ হাসান খান টিবিএসকে বলেন, ১২৪টি সংশোধনী প্রস্তাবের মধ্যে ১২২টিতেই মালিকপক্ষ রাজী হয়েছে। "২০ জন শ্রমিকের ট্রেড ইউনিয়ন গঠন ও সিবিএ নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রস্তাবে আমরা রাজী হইনি। এ দু'টি বিষয় চূড়ান্ত হলেই সরকার সংশোধন অধ্যাদেশের গেজেট জারি করবে।"
তিনি বলেন, বিদ্যমান আইন অনুযায়ী কোনো কারখানায় একটি ট্রেড ইউনিয়ন থাকলে সেটিই সিবিএ হিসেবে গণ্য হবে। সংশোধিত অধ্যাদেশে একটি কারখানায় ৫টি ট্রেড ইউনিয়ন রাখার বিধান করা হচ্ছে। সেখানে বলা হচ্ছে, সিবিএ হবে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে নির্বাচিত। মালিকপক্ষের প্রস্তাব হলো, মালিকরা ২০ জনের পরিবর্তে এক্ষেত্রে মোট শ্রমিকের ১৫% অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছে।
ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মাত্র ২০ জনের অংশগ্রহণে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার বিরুদ্ধে পুঁজিপতিদের জোরালো অবস্থান থাকলেও অতীতে আমরা শ্রমিকদের নিগৃহীত হতে দেখেছি। সিবিএ নির্বাচনের ক্ষেত্রে কারখানার মোট শ্রমিকের হিসাবের বদলে কাস্টিং ভোটের হিসাব করাই যৌক্তিক বলে মনে করেন তিনি।
সুবিধা বাড়ানোয় ঐকমত্য
বিদ্যমান শ্রম আইনের বিভিন্ন ধারা সংশোধন ও নতুন ধারা সংযোজনের মাধ্যমে, শ্রমিকদের বিভিন্ন ধরণের সুবিধা বাড়ানো এবং বিভিন্ন অপরাধে মালিকের শাস্তির পরিমাণ বাড়ানোর প্রস্তাবেও ঐকমত্য হয়েছে। শ্রম মন্ত্রণালয় এই সংশোধনীগুলো প্রণয়নে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা করেছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহনের ক্ষেত্রে পাইলট, প্রকৌশলী ও কেবিন ক্রু পেশায় নিয়োজিতরা স্বীকৃত স্ব স্ব আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার জন্য বিদ্যমান আইনে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করতে পারেন। আইন সংশোধন করে এ ধারা বিলুপ্ত করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এছাড়া, বিদ্যমান আইনে অনুযায়ী, বিদেশি মালিকানাধীন কোনো প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন শুরুর প্রথম তিন বছর কোন ধর্মঘট বা লকআউট নিষিদ্ধ। সংশোধিত খসড়ায় প্রথম দু'বছর ধর্মঘট বা লকআউট নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।
কোনো শ্রমিককে কালো তালিকাভুক্ত করা যাবে না
গার্মেন্টস শ্রমিক সংগঠনগুলোর অভিযোগ রয়েছে, কোনো কারখানা থেকে শ্রমিকের চাকরি গেলে তাকে সেন্ট্রাল ডাটাবেইজে কালো তালিকাভুক্ত করে রাখেন মালিকরা। ফলে ওই শ্রমিক অন্য কারখানায় চাকরি নিতে গেলে, তার চাকরি হয় না।
সংশোধনীর খসড়ায় বলা হয়েছে, নতুন খসড়ায় বলা হয়েছে, এনআইডি, জন্মসনদ বা বায়োমেট্রিক এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য পরীক্ষা করে কোনো নিয়োগকর্তা এমন ডেটাবেজ বা তালিকা তৈরি করতে পারবে না, যা ভবিষ্যতে কর্মসংস্থান বাধা সৃষ্টি করে।
তবে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা কোন শ্রমিককে ব্ল্যাক লিস্টেড করেন না। কোনও শ্রমিকের কি কারণে চাকরি হলো, শ্রম আইন মেনেই তা তাদের সার্ভিস বুকে উল্লেখ করা হয়ে থাকে।
বিকেএমইএ'র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফজলে শামীম এহসান বলেন, বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ কখনও কোনো শ্রমিককে ব্ল্যাক লিস্টেড করে না। কোনো শ্রমিকের বিরুদ্ধে কারখানা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, চুরি বা অন্য কোন অপরাধের অভিযোগ পাওয়া গেলে তা তদন্ত করে দেখা হয়। তদন্তে তা প্রমাণিত হলে সার্ভিস বুকে অপরাধের কথা উল্লেখ করে তাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়।
এছাড়া, জোরপূর্বক ওভারটাইম করানো, ঋণ পরিশোধের নামে জোরপূর্বক শ্রম আদায়সহ সব ধরণের জবরদস্তিমূলক বা বাধ্যতামূলক শ্রম নিষিদ্ধ করে নতুন ধারা যুক্ত করা হচ্ছে।
ছুটি সুবিধা বাড়ছে
আইন সংশোধন করে শ্রমিকদের বিভিন্ন ধরণের ছুটির সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে বলে শ্রম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
বিদ্যমান আইনে প্রত্যেক শ্রমিককে প্রতি পঞ্জিকা বছরে ১১ দিনের মজুরিসহ উৎসব ছুটি মঞ্জুর করার বিধান রয়েছে। আইন সংশোধন করে উৎসব ছুটি ১৩ দিন করা হচ্ছে।
বিদ্যমান আইনে, প্রসূতি পূর্ব ও প্রসূতি পরবর্তী সময়ে আট সপ্তাহ করে মোট ১৬ সপ্তাহ ছুটির বিধান রয়েছে। এটিকে ৬০ দিন করে বাড়িয়ে মোট ১২০ দিন করার প্রস্তাব করা হচ্ছে। এতে সম্মতি দিয়েছে ত্রি-পক্ষীয় কমিটি।
এছাড়া চা বাগানে কর্মরত শ্রমিকদের মজুরিসহ বাৎসরিক ছুটি প্রতি ২২ দিনে একদিন, এটি পরিবর্তন করে প্রতি ১৮ দিনে একদিন করা হচ্ছে। আর কারখানা শ্রমিকদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি প্রতি ১৫ দিনে একদিনের বিধান সংশোধন করে ১৪ দিনে একদিন করা হচ্ছে।
শতভাগ রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানের সমান সুবিধা চায় বিদেশি কোম্পানিগুলো
বাংলাদেশে ব্যবসারত শতভাগ বিদেশি মালিকানাধীন কোম্পানিগুলো শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে মুনাফার ৫ শতাংশ অর্থ দেওয়ার বিধান পরিবর্তন করে শতভাগ রপ্তানিমুখী কারখানাগুলোর মতো সুবিধা দাবি করেছে।
বিষয়টি নিয়ে মার্কিন কোম্পানি শেভরনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সোমবার একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়েছে বলে জানা গেছে। সেখানে শ্রম মন্ত্রণালয় ছাড়াও অর্থ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শতভাগ রপ্তানিমুখী কারখানাগুলো তাদের মুনাফার ৫ শতাংশ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে জমা না দিয়ে তাদের মোট রপ্তানি আয়ের ০.০৩% শতাংশ অর্থ কেন্দ্রীয় তহবিলে জমা দেয়। রপ্তানি মূল্য প্রত্যাবাসনের সময়ই সংশ্লিষ্ট ব্যাংক এই অর্থ কেটে সরকারের তহবিলে জমা করে।
সভায় উপস্থিত একজন সিনিয়র কর্মকর্তা টিবিএসকে জানান, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দাবির প্রেক্ষিতে তাদের জন্যও এ সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি পর্যালোচনা করছে শ্রম মন্ত্রণালয়।