Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Wednesday
October 15, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
WEDNESDAY, OCTOBER 15, 2025
একটি ধ্বংসের ইতিহাস: ২০১০ সালের পুঁজিবাজার ধস, মার্জিন ঋণ ও বিনিয়োগকারীদের সর্বনাশ

অর্থনীতি

মো. শারিকুল আনাম
26 August, 2025, 04:35 pm
Last modified: 26 August, 2025, 05:02 pm

Related News

  • সস্তা ভারতীয় সুতায় যেভাবে পিছিয়ে পড়ছে দেশের টেক্সটাইল শিল্প
  • পুঁজিবাজারে বেক্সিমকো সংশ্লিষ্ট ৬,৭৯৮ কোটি টাকার বিনিয়োগ, শেয়ার কারসাজির সন্দেহে তদন্ত শুরু
  • সিটি ব্যাংককে ৭৫ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এআইআইবি ও এনডিবি
  • ‘নিষ্ঠুর রসিকতা’: ট্রাম্পের এইচ-১বি ভিসা ফি বৃদ্ধি যেভাবে ভারতীয় তরুণদের স্বপ্ন ভেঙে দিচ্ছে
  • বিদেশি ঋণের তথ্য দিতে হবে সিআইবিতে, ভুল তথ্যে জরিমানা: বাংলাদেশ ব্যাংক

একটি ধ্বংসের ইতিহাস: ২০১০ সালের পুঁজিবাজার ধস, মার্জিন ঋণ ও বিনিয়োগকারীদের সর্বনাশ

২০০৯ ও ২০১০ সালে বাজারে ছিল প্রচণ্ড উত্তেজনা। আকাশছোঁয়া হারে বাড়ছিল শেয়ার দাম। এই সময়ে ব্রোকারেজ হাউসগুলো অতিরিক্ত মার্জিন ঋণ বিতরণ করে — যা বিনিয়োগকারীদের লোভ আরও বাড়িয়ে তোলে। 
মো. শারিকুল আনাম
26 August, 2025, 04:35 pm
Last modified: 26 August, 2025, 05:02 pm
ইনফোগ্রাফ: টিবিএস

২০১০ সালের পুঁজিবাজার ধস বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেদনাদায়ক আর্থিক বিপর্যয়গুলোর একটি হিসেবে চিহ্নিত। এই ধসে হাজার হাজার বিনিয়োগকারী—যাদের বেশিরভাগই ছিলেন মধ্যবিত্ত ও ক্ষুদ্র সঞ্চয়কারী কিংবা অবসরপ্রাপ্ত নাগরিক—তারা হারিয়েছেন তাদের জীবনের সঞ্চিত মূলধন ও শেষ সম্বলটুকু।

এ বিপর্যয়ের পেছনে যেমন ছিল অসহনীয় বাজারচাপ ও কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট বুদবুদ, তেমনি ছিল নীতিনির্ধারণ ও তদারকি ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা এবং মার্জিন ঋণের অতিরিক্ত ও অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার।

মার্জিন ঋণ: সুযোগ নাকি সর্বনাশ?

২০০৯ ও ২০১০ সালে বাজারে ছিল প্রচণ্ড উত্তেজনা। আকাশছোঁয়া হারে বাড়ছিল শেয়ার দাম। এই সময়ে ব্রোকারেজ হাউসগুলো অতিরিক্ত মার্জিন ঋণ বিতরণ করে — যা বিনিয়োগকারীদের লোভ আরও বাড়িয়ে তোলে। 

কেউ কেউ স্বর্ণ, জমি কিংবা অবসরের অর্থ নিয়ে পুঁজিবাজারে ঝাঁপিয়ে পড়েন। নিজের পুঁজির চেয়ে দ্বিগুণ বা ততোধিক মার্জিন ঋণ নিয়ে তারা অমূল্য শেয়ার কিনে ফেলেন — ভবিষ্যতের 'স্বপ্নের লাভ' পেতে। ২০১০ সালের শেষ প্রান্তিকে বাজার যখন পতনের দিকে যেতে থাকে, তখন সেই লোন হয়ে ওঠে তাদের সর্বনাশের হাতিয়ার।

শেয়ারের দাম হু হু করে নামতে থাকে আর বিনিয়োগকারীদের হাতে অতিরিক্ত অর্থ না থাকায় তারা মার্জিন কল করতে পারেননি। ফলে ব্রোকারেজ হাউসগুলো তাদের শেয়ার জোর করে বিক্রি করে দেয়। ফোর্সড সেলের (Forced sell) কারণে বাজারে আরও চাপে পড়ে, দাম আরও পড়ে যায়। এমন এক 'চেইন রিঅ্যাকশন' শুরু হয় যার শেষ ছিল না। 

বিনিয়োগকারীরা যখন আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে শেয়ার বিক্রি করতে বাজার থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে চাইলেন—তখনো বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ শেয়ার বিক্রয়ের ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। 

সার্কিট ব্রেকার, নির্দিষ্ট শেয়ারে বিক্রয় স্থগিত, ট্রেডিং স্থবিরতা ইত্যাদির মাধ্যমে বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। এমনকি কিছু শেয়ারের মূল্য কৃত্রিমভাবে ধরে রাখায় বিনিয়োগকারীরা ক্ষতি মেনে নিয়েও শেয়ার বিক্রি করতে পারেননি। ফলে অনেকে তাদের সব পুঁজি হারান, ঘরবাড়ি বিক্রি করে দেন, কেউ কেউ মানসিক ভারসাম্য হারান, আত্মহত্যার মতো মর্মান্তিক সিদ্ধান্তও নেন।

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে মার্জিন ঋণের বর্তমান চিত্র ও ঋণজনিত নেতিবাচক ইকুইটিজনিত সংকট শুধু বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিগ্রস্ত করেনি, বরং দীর্ঘমেয়াদে দেশের পুঁজিবাজারে আস্থা হ্রাস, মূলধন সংগ্রহ ব্যাহত এবং বাজার সম্প্রসারণের গতিকে মন্থর করেছে।

২০১০ সালের পুঁজিবাজার ধসের পর ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) 'মার্জিন রুলস, ১৯৯৯' এর ৩(৫) ধারার কার্যকারিতা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখে এবং পরবর্তীতে তা ধারাবাহিকভাবে অব্যাহতি দিয়ে আসছে। 

এই ধারায় বলা হয়েছিল, ডেবিট ব্যালান্স ইকুইটির ১৫০ শতাংশেল নিচে নেমে গেলে বাধ্যতামূলকভাবে ব্রোকারেজ হাউস/মার্চেন্ট ব্যাংককে মার্জিন কল করতে হবে এবং প্রয়োজনে সিকিউরিটিজ বিক্রি করে ঋণ পুনরুদ্ধার করতে হবে। অর্থাৎ, নির্দিষ্ট ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কাঠামো মান্য করার কথা।

কিন্তু, বাস্তবে দেখা গেছে, বাজারে তারল্য সৃষ্টির প্রয়োজনে কিংবা নানাবিধ চাপের কারণে বিভিন্ন সময়ে মার্জিন ঋণের লোন-টু-ইকুইটি রেশিও বারবার পরিবর্তন করা হয়েছে। এর ফলে ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে একাধিকবার অনিয়মিত ছাড় দেওয়া হয়েছে, যা সামগ্রিকভাবে বাজারের ঝুঁকির মাত্রা বৃদ্ধি করেছে। এমনকি, নিয়মে নির্ধারিত নিরাপদ সীমা অতিক্রম করে ১:২ অনুপাতে মার্জিন ঋণ প্রদান করা হয়েছে, যা মার্জিন ঋণ ঋণদাতা ও বিনিয়োগকারী উভয়ের জন্যই বিপজ্জনক পরিণতি বয়ে আনে।

এই পরিস্থিতিতে মার্জিন ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ যেমন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ট্রেক হোল্ডার এবং মার্চেন্ট ব্যাংকারদের ঋণ পুনরুদ্ধার সম্ভব না হওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠানের ব্যালান্স শিটে সংকট তৈরি হয়েছে। 

মার্জিন ঋণ সংশ্লিষ্ট জটিলতা নিরসনের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তারল্য বৃদ্ধি, বিনিয়োগকারীদের আর্থিক স্বস্তি ও বাজারে পুনঃআস্থা প্রতিষ্ঠা এবং ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানসমূহের ব্যালান্স শিট সুস্থায়নে, পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরণের জন্য সরকার ও বেসরকারি খাতের মধ্যে অংশীদারিত্বের একটি টেকসই মডেল প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ ও প্রণোদনা বিশেষ প্রয়োজন।

মার্জিন ঋণের হালনাগাদ চিত্র ও ঋণজনিত নেতিবাচক ইকুইটির বিশ্লেষণ

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে মার্জিন ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ যেমন: ডিএসই, সিএসই এর ট্রেক হোল্ডার এবং মার্চেন্ট ব্যাংকারদের কর্তৃক পরিচালিত মার্জিন হিসাবসমূহের নেগেটিভ ইকুইটি এবং সংশ্লিষ্ট প্রভিশন সংক্রান্ত সার্বিক তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরা হয়েছে।

উপস্থাপিত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, মোট ১৪ লাখ ৩১ হাজার ১৭৬টি বিও (বেনিফিসিয়ারি ওনার্স) হিসাব এবং ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯০৫টি মার্জিন হিসাব সক্রিয় রয়েছে, যার বিপরীতে মোট ১৬ হাজার ৮৯৪.৫৭ কোটি টাকা মার্জিন ঋণ প্রদান করা হয়েছে।

আশঙ্কাজনকভাবে, এই মার্জিন ঋণের মধ্যে ১৪২টি ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের ৩৫ হাজার ৪৭৮টি বিও হিসাব নেগেটিভ ইকুইটিতে রয়েছে, যার মোট ঘাটতি ১০ হাজার ৫০১.৫৯ কোটি টাকা (যার মধ্যে আসল বা মূলধন ৭ হাজার ৮৭৯.১৬ কোটি টাকা এবং সুদ ২ হাজার ৬২২.৮৭ কোটি টাকা।

এর বিপরীতে ৩১ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত সর্বমোট ২ হাজার ৯৪৫.০৬ কোটি টাকা প্রভিশন সংরক্ষণ করা হয়েছে এবং প্রভিশনের পরে প্রকৃত নিট ঘাটতির পরিমাণ ৭ হাজার ৫৫৬.৫৩ কোটি টাকা।

এই পরিসংখ্যান ইঙ্গিত করে, একদিকে যেমন বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক, অন্যদিকে প্রভিশনের স্বল্পতা বাজারকে আরও বেশি ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। বিশেষ করে, মার্চেন্ট ব্যাংকারদের মার্জিন হিসাবের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম হলেও তাদের নেগেটিভ ইক্যুইটির পরিমাণ উল্লেখযোগ্য, যা তাদের প্রভিশন-পরবর্তী নিট ঘাটতিকে প্রকট করেছে। 

ফলে না বুঝে মার্জিন ঋণ গ্রহণকারী সাধারণ বিনিয়োগকারীগণ সর্বস্বান্ত হয়েছেন। আবার নেগেটিভ ইকুইটির ক্রমবর্ধমান প্রবণতা এবং প্রভিশন ঘাটতির পরিপ্রেক্ষিতে বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। কাজেই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা এবং দীর্ঘমেয়াদী টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সরকারের সময়োপযোগী নীতিগত হস্তক্ষেপ ও প্রণোদনামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।

পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা রক্ষা ও নেতিবাচক ইকুইটি পরিস্থিতি মোকাবেলায়, আইসিবির সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লি. কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপের মডেল অনুসরণ করে নিম্নোক্ত বাস্তবভিত্তিক ও সময়োপযোগী প্রস্তাবনা বিবেচনা করা যেতে পারে—

১. সরকারের অংশগ্রহণে প্রণোদনামূলক মডেল চালু

নেতিবাচক ইকুইটির আওতাভুক্ত মার্জিন হিসাবগুলোর ক্ষেত্রে, যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ বা আংশিক মূলধন ও সুদ মওকুফে আগ্রহী, সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সমপরিমাণ আসল অর্থ প্রণোদনা হিসেবে বিনাসুদে ৫ (পাঁচ) বছরের জন্য প্রদান করা যেতে পারে।

২. পরিশোধযোগ্য ফ্লেক্সিবল ঋণ কাঠামো

সরকারি প্রণোদনা প্রাপ্তির পর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ ঋণ পোর্টফোলিও রিব্যালান্সিং এবং লিকুইডেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ধাপে ধাপে সরকারকে অর্থ ফেরত প্রদান করবে। এতে সরকার একদিকে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দিতে পারবে, অন্যদিকে বাজেট ঘাটতিও দীর্ঘমেয়াদে নিয়ন্ত্রিত থাকবে।

৩. বিনিয়োগকারীদের দায়মুক্তি ও সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ

যেসব বিনিয়োগকারী নেতিবাচক ইকুইটির শিকার হয়েছেন, তারা স্বেচ্ছায় তাদের শেয়ার ও সম্পদ সংশ্লিষ্ট ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তরের মাধ্যমে নিজেদের দায়দেনা নিষ্পত্তি করতে পারবেন। এর ফলে বিনিয়োগকারীরা মানসিক ও আর্থিক চাপমুক্ত হবেন এবং ভবিষ্যতে নতুনভাবে বাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে উঠবেন।

প্রত্যাশিত সুফল

  • বিনিয়োগকারীদের আর্থিক স্বস্তি ও বাজারে পুনঃআস্থা সৃষ্টি;
  • ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানসমূহের ব্যালান্স শিট সুস্থায়ন;
  • নেগেটিভ ইকুইটির ফলে তৈরি হওয়া জটিলতা নিরসন;
  •  পুঁজিবাজারে তারল্য বৃদ্ধি এবং দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা;
  •  সরকার ও বেসরকারি খাতের মধ্যে অংশীদারিত্বের একটি টেকসই মডেল প্রতিষ্ঠা।

বর্তমান আর্থিক প্রেক্ষাপট

২০১০ সালের অভিজ্ঞতার পর, বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের আর্থিক ব্যবস্থা ব্যাংককেন্দ্রিক। ব্যাংকগুলো স্বল্পমেয়াদি আমানত ব্যবহার করে দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প অর্থায়ন করছে, যার ফলে ম্যাচিউরিটি মিসম্যাচ তৈরি হচ্ছে এবং নন-পারফর্মিং লোন (এনপিএল) ও ডিস্ট্রেসড অ্যাসেটস ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

  • মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত ব্যাংকিং সেক্টরের মোট ঋণ: ১৭ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা
  • এনপিএল: ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা (২৪.১০%)
  • ডিস্ট্রেসড অ্যাসেট: ৭ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা (৪৫%)
  • জুলাই ২০২৫ অনুযায়ী ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন: ৭ লাখ ৮ হাজার কোটি টাকা
  • নেগেটিভ ইকুইটি (নেগেটিভ ইকুইটি ইন মার্জিন অ্যাকাউন্টস) ৩১ মার্চ ২০২৫ অনুযায়ী: ১০ হাজার ৫০১.৫৯ কোটি টাকা

তুলনামূলক বিশ্লেষণ

  • এনপিএল বনাম মার্কেট ক্যাপ: ৫৯% (৪,২০,৩৩৫ ÷ ৭,০৮,০০০)
  • ডিস্ট্রেসড অ্যাসেট বনাম মার্কেট ক্যাপ: ১০৭% (৭,৫৬,০০০ ÷ ৭,০৮,০০০)
  • নেগেটিভ ইক্যুইটি বনাম এনপিএল: ২.৩% (৯,৭০০ ÷ ৪,২০,৩৩৫)

অর্থাৎ, ব্যাংক খাতের সংকট পুঁজিবাজারের আকারকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে কিছু দুর্বল ব্যাংককে সহায়তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে এবং আরও ২০ হাজার কোটি টাকার সহায়তার পরিকল্পনা রয়েছে।

যেহেতু পুঁজিবাজারের জন্য এখনও উল্লেখযোগ্য কোনো প্রণোদনা দেওয়া হয়নি, তাই মার্জিন ঋণ ও নেতিবাচক ইক্যুইটি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারি নীতিমূলক হস্তক্ষেপ ও প্রণোদনার প্রয়োজন প্রাসঙ্গিক।

প্রস্তাবিত সমাধান

আইসিবির সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লি.-এর মডেল অনুসরণ করে নিম্নোক্ত বাস্তবভিত্তিক প্রস্তাবনা বিবেচনা করা যেতে পারে—

১. সরকারের অংশগ্রহণে প্রণোদনামূলক মডেল

নেতিবাচক ইক্যুইটির আওতাভুক্ত মার্জিন হিসাবগুলোর ক্ষেত্রে, সম্পূর্ণ বা আংশিক মূলধন ও সুদ মওকুফে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানসমূহকে সরকার বিনাসুদে ৫ বছরের জন্য প্রণোদনা প্রদান করতে পারে।

২. পরিশোধযোগ্য ফ্লেক্সিবল ঋণ কাঠামো

প্রাপ্ত প্রণোদনা ঋণ পোর্টফোলিও রিব্যালান্সিং ও লিকুইডেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ধাপে ধাপে ফেরত দেওয়া হবে। এতে বিনিয়োগকারীর সুরক্ষা নিশ্চিত হবে এবং বাজেট ঘাটতি নিয়ন্ত্রিত থাকবে।

৩. বিনিয়োগকারীর দায়মুক্তি ও সুরক্ষা

নেতিবাচক ইকুইটির শিকার বিনিয়োগকারীরা স্বেচ্ছায় শেয়ার ও সম্পদ ঋণদাতার কাছে হস্তান্তর করে নিজেদের দায়দেনা নিষ্পত্তি করতে পারবেন। ফলে তারা আর্থিক ও মানসিকভাবে চাপমুক্ত হবেন এবং ভবিষ্যতে নতুনভাবে বাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন।

প্রত্যাশিত সুফল

  • বিনিয়োগকারীর আর্থিক স্বস্তি ও বাজারে পুনঃআস্থা;
  • ঋণদাতাদের ব্যালান্স শিট সুস্থায়ন;
  • নেতিবাচক ইকুইটির জটিলতা নিরসন;
  • পুঁজিবাজারে তারল্য বৃদ্ধি ও দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা;
  • সরকার ও বেসরকারি খাতের অংশীদারিত্বের একটি টেকসই মডেল প্রতিষ্ঠা

লেখক: ডিজিএম, ট্রাস্টি বিভাগ, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ

Related Topics

টপ নিউজ

ঋণ / পুঁজিবাজার / প্রণোদনা / ডিএসই / বিএসইসি / সিএসই

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ফাইল ছবি: সংগৃহীত
    এনপিএসবি প্ল্যাটফর্ম: ব্যাংক থেকে বিকাশ-নগদে পাঠানো যাবে টাকা, খরচ হাজারে ১.৫ টাকা
  • স্থানীয় পর্যায়ে ৩০.৪% ভোটার জামায়াতের, ২১% বিএনপির ও ২৩.৭% এনসিপির কার্যক্রমে সন্তুষ্ট: জরিপ
    স্থানীয় পর্যায়ে ৩০.৪% ভোটার জামায়াতের, ২১% বিএনপির ও ২৩.৭% এনসিপির কার্যক্রমে সন্তুষ্ট: জরিপ
  • ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস। ছবি: সংগৃহীত
    জঙ্গি হামলার সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে মার্কিন দূতাবাস ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার, সোয়াট মোতায়েন
  • ফারিয়া ইয়াসমিন। ছবি: সৌজন্যে প্রাপ্ত
    প্রথম নারী ও বাংলাদেশি ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ দিল বাটা
  • ছবি: রয়টার্স
    বিতর্কের জেরে দিল্লিতে নারী সাংবাদিকদের সামনের সারিতে বসিয়ে সংবাদ সম্মেলন তালেবান মন্ত্রীর
  • ফাইল ছবি: সংগৃহীত
    লিটারে সর্বোচ্চ ১৩ টাকা বাড়ল ভোজ্যতেলের দাম

Related News

  • সস্তা ভারতীয় সুতায় যেভাবে পিছিয়ে পড়ছে দেশের টেক্সটাইল শিল্প
  • পুঁজিবাজারে বেক্সিমকো সংশ্লিষ্ট ৬,৭৯৮ কোটি টাকার বিনিয়োগ, শেয়ার কারসাজির সন্দেহে তদন্ত শুরু
  • সিটি ব্যাংককে ৭৫ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এআইআইবি ও এনডিবি
  • ‘নিষ্ঠুর রসিকতা’: ট্রাম্পের এইচ-১বি ভিসা ফি বৃদ্ধি যেভাবে ভারতীয় তরুণদের স্বপ্ন ভেঙে দিচ্ছে
  • বিদেশি ঋণের তথ্য দিতে হবে সিআইবিতে, ভুল তথ্যে জরিমানা: বাংলাদেশ ব্যাংক

Most Read

1
ফাইল ছবি: সংগৃহীত
অর্থনীতি

এনপিএসবি প্ল্যাটফর্ম: ব্যাংক থেকে বিকাশ-নগদে পাঠানো যাবে টাকা, খরচ হাজারে ১.৫ টাকা

2
স্থানীয় পর্যায়ে ৩০.৪% ভোটার জামায়াতের, ২১% বিএনপির ও ২৩.৭% এনসিপির কার্যক্রমে সন্তুষ্ট: জরিপ
বাংলাদেশ

স্থানীয় পর্যায়ে ৩০.৪% ভোটার জামায়াতের, ২১% বিএনপির ও ২৩.৭% এনসিপির কার্যক্রমে সন্তুষ্ট: জরিপ

3
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ

জঙ্গি হামলার সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে মার্কিন দূতাবাস ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার, সোয়াট মোতায়েন

4
ফারিয়া ইয়াসমিন। ছবি: সৌজন্যে প্রাপ্ত
বাংলাদেশ

প্রথম নারী ও বাংলাদেশি ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ দিল বাটা

5
ছবি: রয়টার্স
আন্তর্জাতিক

বিতর্কের জেরে দিল্লিতে নারী সাংবাদিকদের সামনের সারিতে বসিয়ে সংবাদ সম্মেলন তালেবান মন্ত্রীর

6
ফাইল ছবি: সংগৃহীত
অর্থনীতি

লিটারে সর্বোচ্চ ১৩ টাকা বাড়ল ভোজ্যতেলের দাম

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net