ঈদ-পরবর্তী বাজার: বিক্রি কম, মুরগি ও গরুর মাংসের দাম কেজিতে ২০-৩০ টাকা কমেছে

ঈদের চতুর্থ দিন বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ দেখা গেছে; পণ্যের সরবরাহও ছিল কম।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কল্যাণপুর, শেওড়াপাড়া, কারওয়ানবাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্বাভাবিক সময়ের ৪ ভাগের এক ভাগ ক্রেতা আছে এখন।
এমন ঢিলেঢালা বাজারে কমেছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা কমেছে, সোনালী মুরগির দাম কমেছে কেজিতে ৩০ টাকা, আর গরুর মাংসের দাম কেজিতে ২০-৩০ টাকা কমেছে।
তবে মাছের দাম কেজিতে ২০-২৫ টাকা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তার বলেন, এখনও ছুটি শেষ হয়নি, ঈদের বন্ধ থাকায় এখনও অনেক মানুষ ঢাকায় ফেরেনি। আগামী রোববার থেকে বাজার স্বাভাবিক হবে।
ঈদের আগের দিন রাজধানীতে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ২২০-২৩০ টাকা কেজি, আর সোনালী মুরগির দাম ছিল ৩৩০-৩৫০ টাকা কেজি। বৃহস্পতিবার কল্যাণপুর ও কারওয়ানবাজারে ব্রয়লার মুরগি ২০০-২১০ টাকা ও সোনালি মুরগী ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
কল্যাণপুর বিআরটিসি মার্কেটের মুরগি বিক্রেতা মোহম্মদ জসিম বলেন, 'ঈদের আগের দিন দুপুর ২টার মধ্যে সোনালী মুরগি সব বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। তখন চাহিদা বাড়ায় মুরগির দাম বেড়ে গিয়েছিল। এখন সোনালী মুরগির দাম কেজিতে ৩০ টাকা কমেছে। আর ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা কমে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।'
কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজারে প্রায় ২০টি দোকানে গরু ও খাসির মাংস বিক্রি হয়। বৃহম্পতিবার বেলা ৪টায় দেখা গেলে মাত্র তিনটি দোকানে মাংস বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতা মোহম্মদ খোকন বলেন, 'একটি গরু কেটেছি। এখনও বিক্রি করতে পারিনি; বিকাল হয়ে গেল। ৭৮০ টাকা কেজি বিক্রি করছি।'
ঈদের আগের দিন কারওয়ানবাজারে ৭৮০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও কল্যাণপুর ও হাতিরপুল বাজারে ৮০০-৮২০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছিল গরুর মাংস।
কারওয়ানবাজারের মাছের বাজারে বিকাল সাড় ৪টায় দেখা যায়, অধিকাংশ বিক্রেতাই অলস সময় পার করছেন। এখানকার চার ভাগের এক ভাগ দোকানই বন্ধ।
কারওয়ানবাজারের মাছ বিক্রেতা মোহম্মদ সহিদ বলেন, 'মাছের সরবরাহ কম, আবার ক্রেতাও কম। পাইকারিতে মাছের দাম কেজিতে ২০-২৫ টাকা বেড়েছে। তাই খুচরায়ও এমনই দাম বেড়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'মাঝারি আকারের রুই মাছের কেজি ৩৫০ টাকা, ছোট পাবদা মাছ ৩৫০-৪০০ টাকা কেজি। মাঝারি আকাড়ের চিংড়ি ৮০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।'
কমেছে সবজির দাম
তবে সবজির দাম কমেছে। ঢ্যাঁড়শ, পটল ও করলার দাম কেজিতে ৩০-৩৫ টাকা করে কমেছে।
কল্যাণপুরের বিক্রেতা মোহম্মদ ফারুক বলেন, 'করলা প্রতি কেজি ৫০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৩০ টাকা কেজি। ঈদের আগের তুলনায় কেজিপ্রতি ২০ টাকা কমেছে।'
তবে টমেটের দাম এখনও বাড়তি আছে। প্রতি কেজি টমেটো ৫০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেগুনের দাম কেজিতে ২০ টাকা কমে ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগের দিন শসার চাহিদা বেশি থাকায় দাম হয়েছিল ৭০-১০০ টাকা কেজি; তবে এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকায়।
মাঝারি আকারের লেবুর দাম প্রতি হালিতে (চারটি) ২০ টাকা কমে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।