Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Tuesday
September 30, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
TUESDAY, SEPTEMBER 30, 2025
বাংলাদেশ কি ১৯৬০-এর চীন হতে যাচ্ছে? 

মতামত

কিংসন মণ্ডল
24 April, 2022, 06:25 pm
Last modified: 24 April, 2022, 06:26 pm

Related News

  • তীব্র গরম ধূমপান ও মদ্যপানের মতোই ক্ষতিকর, বাড়ায় বয়সও
  • মৌসুমি ফসলের ন্যায্য দাম নিশ্চিতে মিনি কোল্ড স্টোরেজ প্রকল্প চালু
  • ছাগল পালনে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন কৃষকেরা
  • বন ধ্বংস করে গড়ে উঠছে কারখানা, মিরসরাইয়ের আশঙ্কাজনক বাস্তবতা
  • নওগাঁর আম রপ্তানি বদলে দিতে পারে উত্তরের কৃষি অর্থনীতির চিত্র 

বাংলাদেশ কি ১৯৬০-এর চীন হতে যাচ্ছে? 

চীনে সরকারিভাবে ১৯৫৫ থেকে ১৯৬০ সালের মধ্যে দেশের সব চড়ুই মেরে ফেলা হয়। তাতেই শুরু হয় দুর্ভিক্ষ। বাংলাদেশও কি সেদিকে এগিয়ে যাচ্ছে?
কিংসন মণ্ডল
24 April, 2022, 06:25 pm
Last modified: 24 April, 2022, 06:26 pm
ছবি: সংগৃহীত

সবার জানা একটা গল্প আগে বলে নিই। ১৯৪৯ সালে মাও সে তুং যখন ক্ষমতায় আসেন তখন চীনের অর্থনীতি ছিল খুবই দুর্বল। ১৯৫০ সালে কোরিয়ান যুদ্ধে জড়ানোতে তা আরো দুর্বল হয়ে পড়ে। 

ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য মাও রাশিয়ার অনুকরণে শিল্পায়নে মনোযোগ দেন। কিন্তু ১৯৫৪ সাল নাগাদ বুঝতে পারেন যে শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠা করার মতো পুঁজিও তাদের নেই। তখন তিনি দেশকে কৃষিতে স্বনির্ভর করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন যার নাম দেন 'গ্রেট লিপ ফরওয়ার্ড'। 

আসল গল্প এটা না; এখন যেটা বলব, সেটা। 

১৯৫৫ সালে মাও একটা কৃষি খামার পরিদর্শনে গিয়ে খেয়াল করেন একটা চড়ুই পাখি বারবার এসে শস্যদানা খেয়ে যাচ্ছে। এটা দেখে তিনি চড়ুই পাখিকে ফসলের জন্য ক্ষতিকর এবং কৃষির উন্নয়নের সবচেয়ে বড় বাধা বলে ঘোষণা করলেন এবং পুরো দেশের সব চড়ুই পাখি হত্যার আদেশ দিলেন। 

শুরু হলো পুরো দেশের সব চড়ুই হত্যার মিশন। বন্দুক, গুলতি দিয়ে হত্যা তো চললই, সাথে দেশের সব মানুষকে আদেশ দেওয়া হলো থালা-বাসন যা কিছু আছে সব নিয়ে বের হয়ে শব্দ করে চড়ুইকে তাড়া দিতে, উড়ে এসে কোনো গাছে যেন বসতে না পারে। তাড়া খেয়ে উড়তে উড়তে ক্লান্ত হয়ে মারা পড়বে চড়ুই। 

সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হলো চড়ুই মারার উৎসবে যোগ দেওয়ার জন্য। এভাবে ১৯৫৫ থেকে ১৯৬০ সালের মধ্যে দেশের সব চড়ুই মেরে ফেলতে সক্ষম হলো চীন। 

কিন্তু ঘটনা ঘটলো উল্টো। দেখা গেল চড়ুই না থাকার কারণে খেতে পোকামাকড় প্রচুর বেড়ে যাচ্ছে। কারণ চড়ুই শুধু শস্য খেত না, পোকামাকড়ও খেত। 

পোকার আক্রমণে সব ফসল শেষ হয়ে গেল, মানুষের খাওয়ার জন্য আর কিছুই থাকল না। শুরু হলো দুর্ভিক্ষ। ১৯৬০ সালের এই দুর্ভিক্ষে পুরো চীন জুড়ে মারা গিয়েছিল প্রায় ৪ কোটি (মতান্তরে) মানুষ। 

মাও সে তুংকে আবার চড়ুই পাখি কিনে আনতে হয়েছিল।

এর সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক কী? 

আমার বাড়ি খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায়। ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছি আমন ধান ওঠার পর মাঠে তিল লাগাতে। এই ফসলে কোনো সেচ লাগত না, কোনো কীটনাশক লাগত না। সাত বা আট বছর আগে বাণিজ্যিক আকারে তরমুজ চাষ শুরু হলো, তা-ও খুব সামান্য কয়েকজন দিয়ে। তারা লাভবান হওয়ায় আস্তে আস্তে বেড়ে এখন পুরো এলাকাতেই শুধু তরমুজ চাষ হয়, তিল চাষ আর নেই। এই চাষ পুরোটাই সেচ, রাসায়নিক সার আর কীটনাশকের উপর নির্ভরশীল।

আজ শুনলাম এই বছর তরমুজ খেতে পরাগায়নের জন্য কোনো পোকামাকড় আর অবশিষ্ট নেই। কীটনাশকের সৌজন্যে সব বিদায় নিয়েছে। এখন কেউ কেউ মাও সে তুংয়ের মতো মধুচাষিদের কাছ থেকে মৌমাছির বাক্স কিনে আনছে। তার থেকে ভয়াবহ সংবাদ হলো সেইসব মৌমাছি এনে বাক্স থেকে ছেড়ে দিলে তারা খেতে যাচ্ছে ঠিকই, আর ফিরে আসছে না—খেতেই সমাধি হয়ে যাচ্ছে পূর্বসূরিদের মতো। কোনো কোনো চাষি হাত দিয়েই ঘটাচ্ছেন পরাগায়ন। 

এসব রাসায়নিক কীটনাশকের ফলে পরাগায়ন যারা করে, সেই পোকামাকড় আর পাখপাখালি এলাকাছাড়া হয়ে যায়ে। ফলে গোটা এলাকাই ধীরে ধীরে প্রাণবৈচিত্র্য হারাতে থাকে। তাতে ব্যাহত হয় ওই এলাকার পুরো পরাগায়ন নেটওয়ার্ক।

পরাগায়নে যেসব পোকামাকড় আর পাখি সাহায্য করে, তারা না থাকলে এলাকার পরাগায়ন প্রক্রিয়া ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমাদের দেশের বহু এলাকার কৃষিতেও এরকম ঘটনা দেখা যাচ্ছে। 

প্রশ্ন হচ্ছে, এভাবে আর কতদিন বাঁচা যাবে? কিংবা আদৌ যাবে তো? নাকি আমরা এগিয়ে যাব ১৯৬০ সালের চীনের পরিণতির দিকেই?

Related Topics

টপ নিউজ

পরিবেশ / পরিবেশ ধ্বংস / কৃষি / প্রাণবৈচিত্র্য

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ভেনেজুয়েলার কারাকাসে মিলিশিয়ার মহড়ায় সাঁজোয়া যান প্রদর্শন করা হয়েছে। ছবি: বিবিসি
    মার্কিন নৌবাহিনীর হামলায় নিহত ১৭; জবাবে নাগরিকদের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে ভেনেজুয়েলা
  • সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। ছবি: বাসস
    কারাবন্দী সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন মারা গেছেন
  • ফাইল ছবি: সংগৃহীত
    সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন বেতন কাঠামো: মতামত দেওয়া যাবে অনলাইনে
  • ইলাস্ট্রেশন: টিবিএস
    থাইল্যান্ডে সিকদার পরিবারের ১৩৩ কোটি টাকার বিনিয়োগ জব্দে আদালতের নির্দেশ
  • ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
    ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় মুছে ফেলা হয় হাসিনার এক হাজার কলরেকর্ড 
  • আবাসন খাতের মন্দায় সংকুচিত ৬,৫০০ কোটি টাকার ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজার
    আবাসন খাতের মন্দায় সংকুচিত ৬,৫০০ কোটি টাকার ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজার

Related News

  • তীব্র গরম ধূমপান ও মদ্যপানের মতোই ক্ষতিকর, বাড়ায় বয়সও
  • মৌসুমি ফসলের ন্যায্য দাম নিশ্চিতে মিনি কোল্ড স্টোরেজ প্রকল্প চালু
  • ছাগল পালনে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন কৃষকেরা
  • বন ধ্বংস করে গড়ে উঠছে কারখানা, মিরসরাইয়ের আশঙ্কাজনক বাস্তবতা
  • নওগাঁর আম রপ্তানি বদলে দিতে পারে উত্তরের কৃষি অর্থনীতির চিত্র 

Most Read

1
ভেনেজুয়েলার কারাকাসে মিলিশিয়ার মহড়ায় সাঁজোয়া যান প্রদর্শন করা হয়েছে। ছবি: বিবিসি
আন্তর্জাতিক

মার্কিন নৌবাহিনীর হামলায় নিহত ১৭; জবাবে নাগরিকদের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে ভেনেজুয়েলা

2
সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। ছবি: বাসস
সারাদেশ

কারাবন্দী সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন মারা গেছেন

3
ফাইল ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ

সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন বেতন কাঠামো: মতামত দেওয়া যাবে অনলাইনে

4
ইলাস্ট্রেশন: টিবিএস
বাংলাদেশ

থাইল্যান্ডে সিকদার পরিবারের ১৩৩ কোটি টাকার বিনিয়োগ জব্দে আদালতের নির্দেশ

5
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ

৫ আগস্ট সন্ধ্যায় মুছে ফেলা হয় হাসিনার এক হাজার কলরেকর্ড 

6
আবাসন খাতের মন্দায় সংকুচিত ৬,৫০০ কোটি টাকার ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজার
অর্থনীতি

আবাসন খাতের মন্দায় সংকুচিত ৬,৫০০ কোটি টাকার ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজার

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net