Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Sunday
December 28, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
SUNDAY, DECEMBER 28, 2025
বাংলাদেশ কি ১৯৬০-এর চীন হতে যাচ্ছে? 

মতামত

কিংসন মণ্ডল
24 April, 2022, 06:25 pm
Last modified: 24 April, 2022, 06:26 pm

Related News

  • রেইনফরেস্ট কি এখন জলবায়ু পরিবর্তনের সমাধান, নাকি উল্টো বিপদের কারণ?
  • ভরা মৌসুমেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কমেছে পরিযায়ী পাখির উপস্থিতি
  • এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সময়ে পাট, চামড়া, ওষুধ ও কৃষি খাতের জন্য কর, ঋণ, ইউটিলিটি খরচ কমানোর পরিকল্পনা
  • লক্ষ্মীপুরে ধান চাষে ১০–১৪ বার কীটনাশক প্রয়োগ, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি
  • সরকারি ভবনগুলোকে ‘গ্রিন বিল্ডিং’ করার আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার

বাংলাদেশ কি ১৯৬০-এর চীন হতে যাচ্ছে? 

চীনে সরকারিভাবে ১৯৫৫ থেকে ১৯৬০ সালের মধ্যে দেশের সব চড়ুই মেরে ফেলা হয়। তাতেই শুরু হয় দুর্ভিক্ষ। বাংলাদেশও কি সেদিকে এগিয়ে যাচ্ছে?
কিংসন মণ্ডল
24 April, 2022, 06:25 pm
Last modified: 24 April, 2022, 06:26 pm
ছবি: সংগৃহীত

সবার জানা একটা গল্প আগে বলে নিই। ১৯৪৯ সালে মাও সে তুং যখন ক্ষমতায় আসেন তখন চীনের অর্থনীতি ছিল খুবই দুর্বল। ১৯৫০ সালে কোরিয়ান যুদ্ধে জড়ানোতে তা আরো দুর্বল হয়ে পড়ে। 

ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য মাও রাশিয়ার অনুকরণে শিল্পায়নে মনোযোগ দেন। কিন্তু ১৯৫৪ সাল নাগাদ বুঝতে পারেন যে শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠা করার মতো পুঁজিও তাদের নেই। তখন তিনি দেশকে কৃষিতে স্বনির্ভর করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন যার নাম দেন 'গ্রেট লিপ ফরওয়ার্ড'। 

আসল গল্প এটা না; এখন যেটা বলব, সেটা। 

১৯৫৫ সালে মাও একটা কৃষি খামার পরিদর্শনে গিয়ে খেয়াল করেন একটা চড়ুই পাখি বারবার এসে শস্যদানা খেয়ে যাচ্ছে। এটা দেখে তিনি চড়ুই পাখিকে ফসলের জন্য ক্ষতিকর এবং কৃষির উন্নয়নের সবচেয়ে বড় বাধা বলে ঘোষণা করলেন এবং পুরো দেশের সব চড়ুই পাখি হত্যার আদেশ দিলেন। 

শুরু হলো পুরো দেশের সব চড়ুই হত্যার মিশন। বন্দুক, গুলতি দিয়ে হত্যা তো চললই, সাথে দেশের সব মানুষকে আদেশ দেওয়া হলো থালা-বাসন যা কিছু আছে সব নিয়ে বের হয়ে শব্দ করে চড়ুইকে তাড়া দিতে, উড়ে এসে কোনো গাছে যেন বসতে না পারে। তাড়া খেয়ে উড়তে উড়তে ক্লান্ত হয়ে মারা পড়বে চড়ুই। 

সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হলো চড়ুই মারার উৎসবে যোগ দেওয়ার জন্য। এভাবে ১৯৫৫ থেকে ১৯৬০ সালের মধ্যে দেশের সব চড়ুই মেরে ফেলতে সক্ষম হলো চীন। 

কিন্তু ঘটনা ঘটলো উল্টো। দেখা গেল চড়ুই না থাকার কারণে খেতে পোকামাকড় প্রচুর বেড়ে যাচ্ছে। কারণ চড়ুই শুধু শস্য খেত না, পোকামাকড়ও খেত। 

পোকার আক্রমণে সব ফসল শেষ হয়ে গেল, মানুষের খাওয়ার জন্য আর কিছুই থাকল না। শুরু হলো দুর্ভিক্ষ। ১৯৬০ সালের এই দুর্ভিক্ষে পুরো চীন জুড়ে মারা গিয়েছিল প্রায় ৪ কোটি (মতান্তরে) মানুষ। 

মাও সে তুংকে আবার চড়ুই পাখি কিনে আনতে হয়েছিল।

এর সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক কী? 

আমার বাড়ি খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায়। ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছি আমন ধান ওঠার পর মাঠে তিল লাগাতে। এই ফসলে কোনো সেচ লাগত না, কোনো কীটনাশক লাগত না। সাত বা আট বছর আগে বাণিজ্যিক আকারে তরমুজ চাষ শুরু হলো, তা-ও খুব সামান্য কয়েকজন দিয়ে। তারা লাভবান হওয়ায় আস্তে আস্তে বেড়ে এখন পুরো এলাকাতেই শুধু তরমুজ চাষ হয়, তিল চাষ আর নেই। এই চাষ পুরোটাই সেচ, রাসায়নিক সার আর কীটনাশকের উপর নির্ভরশীল।

আজ শুনলাম এই বছর তরমুজ খেতে পরাগায়নের জন্য কোনো পোকামাকড় আর অবশিষ্ট নেই। কীটনাশকের সৌজন্যে সব বিদায় নিয়েছে। এখন কেউ কেউ মাও সে তুংয়ের মতো মধুচাষিদের কাছ থেকে মৌমাছির বাক্স কিনে আনছে। তার থেকে ভয়াবহ সংবাদ হলো সেইসব মৌমাছি এনে বাক্স থেকে ছেড়ে দিলে তারা খেতে যাচ্ছে ঠিকই, আর ফিরে আসছে না—খেতেই সমাধি হয়ে যাচ্ছে পূর্বসূরিদের মতো। কোনো কোনো চাষি হাত দিয়েই ঘটাচ্ছেন পরাগায়ন। 

এসব রাসায়নিক কীটনাশকের ফলে পরাগায়ন যারা করে, সেই পোকামাকড় আর পাখপাখালি এলাকাছাড়া হয়ে যায়ে। ফলে গোটা এলাকাই ধীরে ধীরে প্রাণবৈচিত্র্য হারাতে থাকে। তাতে ব্যাহত হয় ওই এলাকার পুরো পরাগায়ন নেটওয়ার্ক।

পরাগায়নে যেসব পোকামাকড় আর পাখি সাহায্য করে, তারা না থাকলে এলাকার পরাগায়ন প্রক্রিয়া ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমাদের দেশের বহু এলাকার কৃষিতেও এরকম ঘটনা দেখা যাচ্ছে। 

প্রশ্ন হচ্ছে, এভাবে আর কতদিন বাঁচা যাবে? কিংবা আদৌ যাবে তো? নাকি আমরা এগিয়ে যাব ১৯৬০ সালের চীনের পরিণতির দিকেই?

Related Topics

টপ নিউজ

পরিবেশ / পরিবেশ ধ্বংস / কৃষি / প্রাণবৈচিত্র্য

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ছবি: সংগৃহীত
    নকলকারীদের কায়দাতেই নকল ঘড়ির দাপট কমাতে চাইছে রোলেক্স!
  • ছবি: রয়টার্স
    প্রথম দেশ হিসেবে সোমালিল্যান্ডকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল
  • পূর্বে সনাক্ত করা সড়কটির একটি অংশ।। প্রত্নতাত্ত্বিকরা ধীরে ধীরে পুরো পথটি সংযুক্ত করার কাজ করছেন। ছবি: হ্যান্ডআউট
    চীনে ২ হাজার বছর পুরোনো অক্ষত চার লেনের মহাসড়কের খোঁজ পেলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা
  • ছবি: টিবিএস
    ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান, আহত না থাকায় যাবেন না পঙ্গু হাসপাতালে
  • ইতালির গ্রামে ৩০ বছর পর প্রথম শিশুর জন্ম; উৎসবের আবহ
    ইতালির গ্রামে ৩০ বছর পর প্রথম শিশুর জন্ম; উৎসবের আবহ
  • আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত
    কুমিল্লা-৩ আসনেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম কিনলেন আসিফ মাহমুদ

Related News

  • রেইনফরেস্ট কি এখন জলবায়ু পরিবর্তনের সমাধান, নাকি উল্টো বিপদের কারণ?
  • ভরা মৌসুমেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কমেছে পরিযায়ী পাখির উপস্থিতি
  • এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সময়ে পাট, চামড়া, ওষুধ ও কৃষি খাতের জন্য কর, ঋণ, ইউটিলিটি খরচ কমানোর পরিকল্পনা
  • লক্ষ্মীপুরে ধান চাষে ১০–১৪ বার কীটনাশক প্রয়োগ, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি
  • সরকারি ভবনগুলোকে ‘গ্রিন বিল্ডিং’ করার আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার

Most Read

1
ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক

নকলকারীদের কায়দাতেই নকল ঘড়ির দাপট কমাতে চাইছে রোলেক্স!

2
ছবি: রয়টার্স
আন্তর্জাতিক

প্রথম দেশ হিসেবে সোমালিল্যান্ডকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

3
পূর্বে সনাক্ত করা সড়কটির একটি অংশ।। প্রত্নতাত্ত্বিকরা ধীরে ধীরে পুরো পথটি সংযুক্ত করার কাজ করছেন। ছবি: হ্যান্ডআউট
আন্তর্জাতিক

চীনে ২ হাজার বছর পুরোনো অক্ষত চার লেনের মহাসড়কের খোঁজ পেলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা

4
ছবি: টিবিএস
বাংলাদেশ

ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান, আহত না থাকায় যাবেন না পঙ্গু হাসপাতালে

5
ইতালির গ্রামে ৩০ বছর পর প্রথম শিশুর জন্ম; উৎসবের আবহ
আন্তর্জাতিক

ইতালির গ্রামে ৩০ বছর পর প্রথম শিশুর জন্ম; উৎসবের আবহ

6
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ

কুমিল্লা-৩ আসনেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম কিনলেন আসিফ মাহমুদ

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net