Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Tuesday
June 24, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
TUESDAY, JUNE 24, 2025
হিন্দুজার ঘটনায় ফিরে আসা কুকুর কিংবা এ সময়ের ছাগলের গল্প

মতামত

জাহিদ নেওয়াজ খান
22 June, 2024, 04:55 pm
Last modified: 22 June, 2024, 05:40 pm

Related News

  • ‘নিরাপত্তাঝুঁকিতে’ টাঙ্গাইলে ‘তাণ্ডব’ সিনেমার প্রদর্শনী বন্ধ
  • ইরানে কুকুর নিয়ে চলাচলে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি
  • প্রস্তাবিত বাজেট ‘অকার্যকর, একতরফা’: বিএনপি
  • নারীর অবৈতনিক কাজের স্বীকৃতি প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টার ঘোষণাকে এমজেএফ-এর স্বাগত
  • ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ২৮ টাকা কমে ১৪০৩ টাকা

হিন্দুজার ঘটনায় ফিরে আসা কুকুর কিংবা এ সময়ের ছাগলের গল্প

এই ধনকুবেররা নানা কারণে সময় সময় আলোচিত হন। কেউ কেউ দান-খয়রাত সূত্রে আলোচনায় থাকলেও নানা স্ক্যান্ডালেও জড়িয়ে পড়েন অনেকে। আর কারণে-অকারণে সাংবাদিকরাও তাদের পেছনে লেগে থাকেন। পান থেকে চুন খসলেই খবর হয়ে যান তারা। হবেনই বা না কেন! মাঝি কুবেরদের জীবন নিয়ে মাথাব্যথা না থাকলেও ধনকুবেরদের নিয়ে মানুষের আগ্রহের কমতি নেই।
জাহিদ নেওয়াজ খান
22 June, 2024, 04:55 pm
Last modified: 22 June, 2024, 05:40 pm

১৫ লাখে ছাগল কেনা হলে একেকটি পায়ের দাম পড়ছে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এখন, যে-সে নয়; একজন প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তার শুরুর বেতন যদি ৪০ হাজার টাকা হয়, তাহলে ছাগলটির একটি পা কিনতে ওই কর্মকর্তার কত মাসের বেতন লাগবে? পণ্ডিত মশাইয়ের মতো আর বললাম না, ওই অফিসার ওই ছাগলের ক'টা ঠ্যাঙের সমান?

কুবের কে ছিলেন? আর ধনকুবের কে? বাস্তবের কুবের সর্বহারারও সর্বহারা। পৌরাণিক কাহিনীর কুবের বিশ্বের সবচেয়ে ধনাঢ্য।

যারা একটু-আধটু সাহিত্য পড়েছেন, বিশেষ করে পাঠ্য হিসেবে হলেও; তাদের কাছে কুবের হলেন পদ্মানদীর মাঝি। না পড়লেও সিনেমায় অনেকে দেখেছেন। বিশেষ করে কপিলা যাকে বলেছিলেন, 'ডরাইলা মাঝি!'

এ কুবের অতিশয় দরিদ্র। অথচ যাঁর নামে তার নাম, সেই আসল কুবের পৃথিবীর ধনাধ্যক্ষ। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে কুবের হলেন ধনসম্পদের দেবতা।

সবাই কুবের বলতে দেবতা কুবেরকে চিনবেন না। সে কারণেই হয়ত কুবেরের আগে ধন শব্দটি যোগ করা হয়েছে। ধনাঢ্য ব্যক্তি বোঝাতে বাংলা ভাষায় যোগ হয়েছে ধনকুবের।

কে ধনকুবের আর কে কুবের, সেটা একটা আপেক্ষিক বিষয়। তবে, ফোর্বস ম্যাগাজিন বা এমন জায়গায় ধনীদের তালিকায় নাম করে নেওয়াদের ক্ষেত্রে কোনো আপেক্ষিকতা নেই। নেই কোনো বিতর্কও।

এই ধনকুবেররা নানা কারণে সময় সময় আলোচিত হন। কেউ কেউ দান-খয়রাত সূত্রে আলোচনায় থাকলেও নানা স্ক্যান্ডালেও জড়িয়ে পড়েন অনেকে। আর কারণে-অকারণে সাংবাদিকরাও তাদের পেছনে লেগে থাকেন। পান থেকে চুন খসলেই খবর হয়ে যান তারা। হবেনই বা না কেন! মাঝি কুবেরদের জীবন নিয়ে মাথাব্যথা না থাকলেও ধনকুবেরদের নিয়ে মানুষের আগ্রহের কমতি নেই।

এরকমই একটি নাম হিন্দুজা পরিবার। ফোর্বস ম্যাগাজিনের হিসাবে তারা বিশ্বের ১৪৬তম ধনী। ভারতে সপ্তম। আর যুক্তরাজ্যে তারা সবচেয়ে ধনী ভারতীয়। এখন অবশ্য তারা সুইজারল্যান্ডনিবাসী।

এই পরিবারটি গতরাত থেকে গণমাধ্যমের খবর। কারণ সুইস আদালতে তাদের কারাদণ্ড। মানবপাচারের অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেও গৃহকর্মীদের নির্যাতন এবং খুবই কম বেতন দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের শাস্তি হয়েছে। আনন্দবাজার পত্রিকার খবরটি একটু দেখে নেওয়া যাক:

"তাঁরা ভারত থেকে সামান্য বেতনে লোক নিয়ে এসে তাঁদের প্রাসাদোপম বাড়িতে গৃহ পরিচারকের কাজ করাতেন। পরিণত করতেন কার্যত ক্রীতদাসে! শ্রম আইনের তোয়াক্কা না করে দৈনিক ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করানো হত। সামান্য ভুলচুক করলেই সেই পরিচারকদের অত্যাচারের শিকার হতে হত।

সেই অপরাধে এ বার অনাবাসী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ধনকুবের পরিবার হিন্দুজাদের চার সদস্যকে জেলের সাজা দিল সুইৎজ়ারল্যান্ডের জেনিভার একটি আদালত। বর্তমানে সুইস নাগরিক হিন্দুজা পরিবারের দণ্ডিতেরা হলেন— প্রকাশ হিন্দুজা, তাঁর স্ত্রী, ছেলে ও পুত্রবধূ। কারাদণ্ডের সর্বোচ্চ মেয়াদ সাড়ে চার বছর।

হিন্দুজা পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, জেনেভায় হ্রদের ধারে বিলাসবহুল বিশাল ভিলায় কাজ করার জন্য তাঁরা ভারত থেকে মানব পাচারের মাধ্যমে গৃহসহায়ক, গৃহসহায়িকা এবং পাচক নিয়ে এসেছিলেন। তাঁদের দিয়ে অমানবিক পরিশ্রম করাতেন। অন্তত ১৮ ঘণ্টা কাজ করতে হত। বাড়িতে কোনও ভোজসভা বা আমোদ-প্রমোদ চললে, কাজ করতে হত ভোররাত পর্যন্ত। রান্নাঘরের মেঝেতেই চাদর পেতে শুতে হত তাঁদের। কোনও ছুটি দেওয়া হত না, এমনকি তাঁদের ভিলার বাইরে পা রাখতেই দেওয়া হত না।

কত বেতন পেতেন হিন্দুজার গৃহকর্মীরা

আদালতে শুনানির সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, সুইজারল্যান্ডে থাকলেও কর্মীদের বেতন দেওয়া হতো ভারতীয় মুদ্রায়। ভারতের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হতো তাদের বেতনের টাকা। শুনতে সুখকর মনে হলেও আসল ঘটনা হচ্ছে. সুইজ়ারল্যান্ডে এ ধরনের কাজের জন্য যে পারিশ্রমিক পাওয়া যায়, হিন্দুজার গৃকর্মীদের বেতন তার দশ ভাগের এক ভাগও ছিল না।

রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে যেসব প্রমাণ দাখিল করে তাতে দেখা যায়: একে ত কর্মীদের দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজ করানো হতো। তার উপর দিনে তাদের মজুরি দেওয়া হতো ৬ পাউন্ডের একুট বেশি, ভারতীয় মুদ্রার যা মাত্র ৬৫৮ রুপি।

যেখানে মুজতবা আলীর সেই সারমেয়র প্রত্যাবর্তন

পুরো বছরের হিসাব করে সুইস আইনজীবীরা আদালতকে জানান, হিন্দুজা পরিবারের একেকজন বছরে ২ হাজার ২শ ৬০ পাউন্ড বা ২ লাখ ৪০ হাজার রুপির একটু বেশি পাচ্ছিলেন। সওয়াল-জবাবের সময় রাষ্ট্রপক্ষ সুইস আদালতকে এটাও জানান যে, হিন্দুজা পরিবার একেকটি পোষা কুকুরের জন্য বছরে ৭ হাজার ৬শ ১৬ পাউন্ড বা ৮ লাখ ৯ হাজার ১৪৩ রুপি খরচ করে। অর্থাৎ একেকটি কুকুরের পেছনে তাদের খরচ একজন মানুষ গৃহকর্মীর চারগুণ।

নিশ্চয় এখন সৈয়দ মুজতবা আলীর 'পাদটীকা' গল্পটি মনে পড়ছে।

ওই গল্পে লাট সাহেবের সঙ্গে যে কুকুরটিও স্কুল পরিদর্শনে এসেছিল তার জন্য মাসে খরচ হতো ৭৫ টাকা। একটা পা তার কম ছিল। মানে তিন পেয়ে সারমেয়ের জন্য খরচ মাসে ৭৫ টাকা। আর পণ্ডিত মশাইয়ের বেতন!

শ্রেণিকক্ষে পণ্ডিত মশাই বলেছিলেন: "অপিচ আমি, ব্রাহ্মণী, বৃদ্ধা মাতা, তিন কন্যা, বিধবা পিসি, দাসী একুনে আটজন। আমাদের সকলের জীবন ধারণের জন্য আমি মাসে পাই পঁচিশ টাকা। এখন বল তো দেখি, তবে বুজি তোর পেটে কত বিদ্যে, এই ব্রাহ্মণ পরিবার লাট সায়েবের কুকুরের ক'টা ঠ্যাঙের সমান?"

হিন্দুজা পরিবার ত তবু ব্যবসা করে একজন গৃহকর্মীর বেতনের চারগুণ খরচ করছে একেকটি কুকুরের পেছনে। মানে একজন গৃহকর্মীর বেতন কুকুরের এক পায়ের সমান।

কিন্তু আমাদের এখানে যারা জনগণ ও রাষ্ট্রের টাকা গায়েব করে দিয়ে কোরবানীর ছাগল কিনছে ১৫ লাখ টাকায়! পনেরো লাখ টাকার এমন ক্রয়ে ছাগলের একেকটি পায়ের দাম পড়ছে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এখন, যে-সে নয়; একজন প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তার শুরুর বেতন যদি ৪০ হাজার টাকা হয়, তাহলে ছাগলটির একটি পা কিনতে ওই সরকারি কর্মকর্তার কত মাসের বেতন লাগবে?

পণ্ডিত মশাইয়ের মতো আর বললাম না যে, ওই অফিসার ওই ছাগলের ক'টা ঠ্যাঙের সমান?


বিশেষ দ্রষ্টব্য: নিবন্ধের বিশ্লেষণটি লেখকের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ও পর্যবেক্ষণের প্রতিফলন। অবধারিতভাবে তা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-এর অবস্থান বা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়।

Related Topics

টপ নিউজ

ছাগল / কুকুর / টাকা / মাঝি / গৃহকর্মী / আইনজীবী

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • প্রতারণা করে গ্রাহকের ৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ইউনিয়ন ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার: অভ্যন্তরীণ তদন্ত
  • ইরানে মার্কিন হামলা শুরুই হয় মিথ্যা ও ছলচাতুরি দিয়ে
  • প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হলো ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ সোলার প্যানেল
  • ইরানের ইউরেনিয়াম মজুতের কী হয়েছে, জানেন না মার্কিন কর্মকর্তারা
  • আধুনিক সাবমেরিন, কৌশলগত ঘাঁটি: ইরানের নৌবাহিনীর সক্ষমতা কতটুকু?
  • কাতার ও ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা; দোহায় একাধিক বিস্ফোরণ

Related News

  • ‘নিরাপত্তাঝুঁকিতে’ টাঙ্গাইলে ‘তাণ্ডব’ সিনেমার প্রদর্শনী বন্ধ
  • ইরানে কুকুর নিয়ে চলাচলে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি
  • প্রস্তাবিত বাজেট ‘অকার্যকর, একতরফা’: বিএনপি
  • নারীর অবৈতনিক কাজের স্বীকৃতি প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টার ঘোষণাকে এমজেএফ-এর স্বাগত
  • ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ২৮ টাকা কমে ১৪০৩ টাকা

Most Read

1
অর্থনীতি

প্রতারণা করে গ্রাহকের ৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ইউনিয়ন ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার: অভ্যন্তরীণ তদন্ত

2
আন্তর্জাতিক

ইরানে মার্কিন হামলা শুরুই হয় মিথ্যা ও ছলচাতুরি দিয়ে

3
বাংলাদেশ

প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হলো ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ সোলার প্যানেল

4
আন্তর্জাতিক

ইরানের ইউরেনিয়াম মজুতের কী হয়েছে, জানেন না মার্কিন কর্মকর্তারা

5
আন্তর্জাতিক

আধুনিক সাবমেরিন, কৌশলগত ঘাঁটি: ইরানের নৌবাহিনীর সক্ষমতা কতটুকু?

6
আন্তর্জাতিক

কাতার ও ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা; দোহায় একাধিক বিস্ফোরণ

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net