Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Tuesday
December 16, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
TUESDAY, DECEMBER 16, 2025
বেগুন নিয়ে তুলকালাম: গবেষণা ও বিভ্রান্তিকর সাংবাদিকতা

মতামত

ফরিদা আখতার
06 November, 2022, 03:00 pm
Last modified: 08 November, 2022, 11:06 am

Related News

  • দেশভাগের পর পাকিস্তানে ফিরছে সংস্কৃত ভাষা, রয়েছে গীতা-মহাভারত নিয়ে গবেষণার পরিকল্পনাও
  • জাতীয় নির্বাচনে সংবাদ সংগ্রহ: ৮৯ শতাংশ সাংবাদিকই শারীরিক হামলার আশঙ্কা করছেন
  • ইঞ্জিন বিকল হয়ে এক বছর ধরে অচলাবস্থায় দেশের প্রথম ভাসমান গবেষণা জাহাজ
  • প্রতি মাসে গড়ে ৯টি বাঘ উদ্ধার; বিশ্বজুড়ে তীব্র হচ্ছে বাঘ পাচার সংকট
  • ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণা: ৮৩% ভারতীয় রোগীর দেহে অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী জীবাণু

বেগুন নিয়ে তুলকালাম: গবেষণা ও বিভ্রান্তিকর সাংবাদিকতা

প্রশ্ন করে কাউকে উত্তর দেয়ার সুযোগ না দিয়ে নিজেই একটা ব্যাখ্যা দাঁড় করানোর চেষ্টা কোন ভাল সাংবাদিকতা নয়। গবেষকের কথায় বোঝা গেছে, তারা বেগুন খেলেই ক্যান্সার হবে এমন কোন ফলাফলের কথা বলেননি; বরং তারা স্বীকার করেন যে, বেগুনের অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। এই টকশোটি বেশ হাস্যকর হয়েছে; কারণ সাংবাদিকরা ঠিকমতো প্রশ্নও করতে পারছিলেন না। কিন্তু, নিজেরাই অনর্গল কথা বলে যাচ্ছিলেন।
ফরিদা আখতার
06 November, 2022, 03:00 pm
Last modified: 08 November, 2022, 11:06 am
অলংকরণ-টিবিএস

বেগুন নিয়ে গণমাধ্যমে একটু হৈ চৈ শুরু হয়েছে। দেশের অনেক ধরণের ঘটনার মধ্যে এই খবর সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে প্রধানত অজ্ঞ সাংবাদিকতার জন্যে। বৈজ্ঞানিক গবেষণার তথ্য প্রকাশ নিয়েও পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছে। কারণ গবেষণার ফলাফল কিভাবে ব্যবহার হবে তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। পয়লা নভেম্বর বিভিন্ন পত্রিকায় শিরোনাম হয়েছে "বাকৃবির গবেষণা: বেগুনে রয়েছে ক্যান্সারের উপাদান"। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) জামালপুর জেলার ইসলামপুরের বেগুন নিয়ে গবেষণা করেছে। এবং এতে হেভি মেটাল বা ভারী ধাতুর উপাদান লেড, ক্যাডমিয়াম ও নিকেলের উপস্থিতি ধরা পড়েছে। গবেষণার ফলাফল 'রিসার্চ রিপোর্ট' নামে আন্তর্জাতিক একটি অনলাইন পিয়ার রিভিউড গবেষণা জার্নালে ছাপা হয়েছে, যা প্রকাশ করে নেচার পোর্টফলিও নামের একটি সংস্থা। রিসার্চ রিপোর্ট ২০১১ সাল থেকে বিভিন্ন দেশের গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। ঢাকা ট্রিবিউনের একটি ডেস্ক রিপোর্টে খবরটি ছাপা হয়, এবং তারপর বিভিন্ন পত্রিকায় বিভিন্ন শিরোনামে খবরটি ছাপা হয়েছে; সবখানেই শিরোনাম হয়েছে বেগুনে ক্যান্সারের উপাদান পাওয়া গেছে। খবরটি নিঃসন্দেহে উদ্বেগের।

বেগুন বাংলাদেশের মানুষের একটি অতি প্রিয় খাবার। প্রায় সব শ্রেণীর মানুষের পছন্দের এবং তাদের কাছে সহজলভ্য একটি সব্জি। রমজান মাসে সারা দিন রোজা রেখে ছোলা বুট, পেঁয়াজু আর বেগুনি না হলে রোজাদারদের চলে না। এর চাষও সহজ। স্থানীয় জাতের বিভিন্ন বেগুন বাণিজ্যিকভাবে যেমন চাষ হয়, তেমনি বসতভিটাতেও নারীরা দুয়েকটি বেগুন গাছ লাগিয়ে নিজেদের পারিবারিক প্রয়োজন মেটান। কিন্তু এটা সত্যি যে বেগুনের বাণিজ্যিক চাষের মধ্যে হাইব্রিড এবং উফশী জাতের চাষ যেখানে হয় সেখানে ব্যাপকভাবে কীটনাশক ব্যবহার হয়, কারণ বেগুনের ডগায়, ফলে, পাতায় নানারকম পোকা লাগে। স্থানীয় জাতের বেগুনে ছাই দিয়ে পোকা দমন করা যায়, কিন্তু হাইব্রিড/উফশী বেগুনে পোকার জন্যে নানা রকম কীটনাশক, ছত্রাকনাশক ইত্যাদি ব্যবহার হয়, যা অনেক রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

পত্রিকায় যতোটুকু তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তাতে যা জানা গেছে:

এক

সব এলাকার বেগুন নিয়ে গবেষণা হয়নি, শুধু জামালপুরের ইসলামপুর ও মেলান্দহ উপজেলার ২০টি এলাকার কৃষকদের কাছ থেকে বেগুন সংগ্রহ করা হয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, বৃহত্তর ময়মনসিংহের শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলায় মোট যে পরিমাণ বেগুন উৎপাদন হয়, এর ৬০% আসে জামালপুরের ইসলামপুর থেকে; এই কারণেই বাকৃবি এই বেগুন সংগ্রহ করেছে। কিন্তু এছাড়াও বাংলাদেশের প্রায় সব জেলাতেই বেগুনের চাষ হয়; প্রতিটি এলাকার বেগুনের জাত ভিন্ন, চাষের মৌসুম ও পদ্ধতিও ভিন্ন। স্থানীয় জাতের বেগুনে সার কীটনাশকের ব্যবহার খুব কম, অল্প জমিতে যারা চাষ করেন তারা তেমন ব্যবহার করেন না বললেই চলে। কিন্তু বাকৃবির গবেষণায় যে বেগুন কৃষকের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে তা কি হাইব্রিড, নাকি স্থানীয় জাত সে বিষয়ে জানা যায় নি। এমন কি স্থানীয় জাত এবং হাইব্রিড/উফশী জাতের মধ্যে ফলাফলে কোন পার্থক্য পাওয়া গেছে কিনা তাও বোঝা যাচ্ছে না। সেদিক থেকে তথ্য অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে।

দুই

জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার ১১টি ও মেলান্দহ উপজেলার ৯টি স্পটসহ ২০টি স্পটের কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি বেগুনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এই দুটি উপজেলা থেকে বেগুনের ৮০টি ও মাটির (টপ সয়েল) ৬০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। অর্থাৎ গবেষণাটি শুধু বেগুনের ওপর হয় নি, যে মাটিতে এই বেগুন চাষ করা হয়েছে সেই মাটিরও নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বেগুন ও মাটির নমুনা পরীক্ষায় লেড, ক্যাডমিয়াম ও নিকেলের মতো হেভি মেটাল বা ভারী ধাতুর উপাদান মিলেছে। এখানে বলা হয় নি, এই বেগুনের চাষ করতে গিয়ে সার-কীটনাশক ব্যবহার করা হয়েছে কিনা। কী কারণে বেগুনে ভারী ধাতু পাওয়া গেছে তার ব্যাখ্যা হয়তো পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টে পাওয়া যাবে। কিন্তু পত্রিকার রিপোর্ট পড়ে মনে হচ্ছে বেগুনের মধ্যেই যতো সমস্যা। এখানকার মাটিতেও কোন সমস্যা হয়েছে কিনা সেই ফলাফলের কথা পত্রিকায় আসে নি। কিংবা কোন সাংবাদিকও তা জানতে চায় নি। 

ছবি-সংগৃহীত

তিন

গবেষণায় ব্যয় হয়েছে সরকারের সাড়ে চার কোটি টাকা। মাটি পরীক্ষা ও বেগুনে ভারী ধাতু পরিমাপের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ব্যবহার করতে গিয়ে এতো বিশাল অংকের টাকা খরচ করা হয়েছে? সরকারের টাকায় এই ব্যয়বহুল গবেষণার উদ্দেশ্য কি সেটা বোধগম্য নয়। এবং এর ফলাফল বাংলাদেশে প্রকাশ না করে বিদেশে কেন করা হলো তাও প্রশ্ন জাগায়। 

এখন দেখা যাক, সংবাদ মাধ্যম বেগুনের এই খবরটি নিয়ে কি তুলকালাম বাধিয়েছে না বুঝেই! প্রথমতঃ তারা 'রিসার্চ রিপোর্ট' এবং 'নেচার পোর্টফলিও' এর মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারেন নি। তারা নেচার পোর্টফলিওকেই জার্নাল মনে করে কথা বলছেন। একটি টেলিভিশন চ্যানেলের টক শোতে তিনজন সাংবাদিক বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন (শিক্ষক, কৃষি রসায়ন বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা দলের প্রধান) কে যুক্ত করে যেভাবে হেনস্তা করলেন তা জনগণ ভালভাবে নেয় নি। প্রশ্ন করে কাউকে উত্তর দেয়ার সুযোগ না দিয়ে নিজেই একটা ব্যাখ্যা দাঁড় করানোর চেষ্টা কোন ভাল সাংবাদিকতা নয়। গবেষকের কথায় বোঝা গেছে তারা বেগুন খেলেই ক্যান্সার হবে এমন কোন ফলাফলের কথা বলেন নি; বরং তারা স্বীকার করেন যে বেগুনের অনেক পুষ্টি গুণ রয়েছে। বিশেষ করে বেগুনে পুষ্টি উপাদান হিসেবে কপার, জিংক, আয়রন ও ম্যাঙ্গানিজের উপস্থিতি তারা পেয়েছেন। এই টকশোটি বেশ হাস্যকর হয়েছে কারণ সাংবাদিকরা ঠিকমতো প্রশ্নও করতে পারছিলেন না। কিন্তু নিজেরাই অনর্গল কথা বলে যাচ্ছিলেন।  

তাহলে গবেষণার জন্যে সংগ্রহ করা বেগুনে লেড, ক্যাডমিয়াম ও নিকেল কোথা থেকে এলো? নিশ্চয়ই বেগুন চাষে ক্যামিকেল ব্যবহার করা হয়েছে। আমাদের সাংবাদিকরা পত্রিকায় খবরের শিরোনাম করার আগে একটু ভাবা উচিত ছিল বেগুনে ভারী ধাতু পাওয়ার তথ্যকে 'ক্যান্সার' সৃষ্টির সাথে জুড়ে এমন ভাব করা হয়েছে যেন বেগুন খেলে ক্যান্সার হবে। টিভি টক শোতে 'ক্যান্সারের জীবাণু' আছে এমন উদ্ভট কথাও বলা হলো। অথচ ক্যান্সারের জীবাণু আছে কি নাই এই কাজ কৃষি রসায়ন বিভাগের কাজ নয়। এই কাজ করবে স্বাস্থ্য বিভাগ, বিশেষ করে ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা। কৃষি রসায়ন বিজ্ঞানীরা বেগুনে কতটুকু টক্সিক উপাদান আছে তা পরিমাপ করে দেখেছেন মাত্র। এই টক শোতে কিংবা পত্রিকার রিপোর্টে কোন অঙ্কোলজিস্টকে যুক্ত করে জানা যেত যে কতটুকূ টক্সিক উপাদান থাকলে ক্যান্সার হবে। এবং তার জন্যে কি করণীয় হতে পারে। তাহলে যদি আরো বেগুনে পরীক্ষা করে দেখা দরকার হয় তাও দেখা যেতে পারে। তবে যতোটুকু বোঝা যাচ্ছে, এই বিজ্ঞানীরা শুধু এতোটুকুই বলেছেন যে তিনটি ভারী ধাতু পাওয়া গেছে যা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী। এই ধরণের ভারী ধাতু মাছসহ আরো অনেক খাদ্যে আছে, মাত্রায় কম বেশি। লেড দূষণ অন্যান্য সবজিতেও আছে। এবং এই দূষণ ঘটে বাতাস, পানি এবং মাটির মাধ্যমে, এবং সেটা হয় রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের কারণে। অন্য একটি গবেষণায় অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার (স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান) দেখিয়েছেন যে ধান, ভূট্টা, গমেও লেড এর দূষণ আছে যা গ্রহণযোগ্য মাত্রা ০.৮২ মি.গ্রা প্রতি কিলোগ্রাম এর চেয়ে বেশি। তেমনি অন্যান্য গবেষণায় ধান এবং সবজিতে ক্যাডমিয়াম পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সয়েল সায়েন্স বিভাগের ২০০৯ সালে করা গবেষণায় দেখা গেছে লেড দূষণ টমেটোর মধ্যে বেশি আর ফুলকপিতে কম পাওয়া গেছে। ক্যাডমিয়াম এবং নিকেল শিল্প কলকারখানার বর্জ্য আছে এমন এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত শাক (যেমন পালং), টমেটো, ফুলকপি ইত্যাদি ফসলে পাওয়া গেছে।

বিভিন্ন সবজিতে ভারী ধাতুর উপস্থিতি সম্পর্কে তথ্য পাওয়া নতুন কোন ঘটনা নয়, এগুলো সরকারী প্রতিষ্ঠানের গবেষণা থেকেই আসছে। এই তথ্যগুলো থেকে এটা জানা যায় যে মাটি, পানি দূষণের কারণে খাদ্য ফসল দূষিত হচ্ছে এবং তা হচ্ছে রাসায়নিক সার কীটনাশক ও শিল্প-কলকারখানার বর্জ্য থেকে। বাকৃবির বেগুনের ওপর এই গবেষণা বাংলাদেশের সব বেগুনের ওপর করা হয় নি। তাছাড়া যে বেগুনের নমুনা নেয়া হয়েছে এবং যে মাটির নমুনা নেয়া হয়েছে তার ফলাফল জানানো হয় নি, সাংবাদিকরা জানতেও চান নি। বেগুনের কারণে এই ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান এসেছে নাকি নির্বিচার সার কীটনাশকের ব্যবহার এর জন্যে দায়ী সেটাও পরিষ্কার করে জানার কোন চেষ্টা হয় নি।  

তবে পুরো ঘটনায় শংকার কারণ রয়েছে। বেগুন একটি আন্তর্জাতিক সবজি, এর বাজার ব্যাপক। বিলিয়ন ডলার বাজার। পৃথিবীর প্রায় সবদেশে বেগুন খায় এবং বাণিজ্যিকভাবে বেগুনের ব্যাপক চাষ হয়। বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার বেগুনের আদি উৎপত্তিস্থল বলে চিহ্নিত। আমাদের দেশেই অন্তত দুই শতাশিক জাতের বেগুন আছে, যদিও বাজারে হাইব্রিড বেগুনের ছড়াছড়ি দেখে সবাই ভাবেন বেগুন মানে মাত্র দুয়েকটি জাত, যেমন লম্বা সাইজের, বা গোল সাইজের বেগুন। বেগুনী রংয়ের বেগুন বা সবুজ রংয়ের বেগুন। বেগুনের অনেক আকৃতি, ছোট-বড় হরেক রকম পাওয়া যায়। রংয়েরও ভিন্নতা আছে। হাইব্রিডের আগ্রাসনে নানান জাতের বেগুনের কথা শহরের মানুষ জানতে পারে না। শংকা হচ্ছে এর আগে বেগুনে পোকা লাগে এবং তাতে কীটনাশক ব্যবহার হয় বলে অনেক হৈ চৈ করা হলো। তারপর শুধুমাত্র ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা (এফএসবি) দমনের জন্যে নয়টি স্থানীয় জাতের বেগুন জেনেটিকালী মডিফাই করেছে আমেরিকান কোম্পানি মনসান্তো। ২০১৩ সালে অনুমোদন নিয়ে ২০১৪ থেকে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের দিয়ে অনেকটা জোরপূর্বকভাবে এই বিটিবেগুন চাষ করানো হয়েছে কৃষকের ওপর। মাঠ পর্যায়ে চাষের এখনও ভাল কোন ফল পায় নি। পরিষ্কার ভাষায় ব্যর্থ হয়েছে বলা যায়। অথচ জিএমও হওয়ার কারণে স্বাস্থ্য ও পরিবেশ ঝুঁকি এখনও রয়ে গেছে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বা পরিবেশ মন্ত্রণালয় বায়োসেফটি ইস্যু নিয়ে গবেষণা করছে না কেন? বেগুনের স্থানীয় জাতের সক্ষমতা ও এর গুণাগণ নিয়ে গবেষণা হতে পারে।

আমাদের দেশ খাদ্য ফসল উৎপাদনে বেশ এগিয়ে গেছে বলে দাবি করা হয়, কিন্তু উৎপাদন পদ্ধতির কারণে এই খাদ্য দূষিত হচ্ছে। নিরাপদ খাদ্য নিয়ে পরিবেশবাদী এবং সচেতন সমাজ আন্দোলন করছে, সরকারের নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, বিতরণ, বিপণন সংক্রান্ত আইন আছে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষও আছে, তাও বাণিজ্যিক খাদ্য ফসল উৎপাদনে সার-কীটনাশকের ব্যবহার, শিল্প বর্জ্য এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার কোন উদ্যোগ আমরা দেখছি না। সাংবাদিকরাও এ নিয়ে কোন অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করছেন না। অথচ বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফলাফল নিয়ে সাংবাদিকতায় যে একটু বিষয়টি নিয়ে জানাশোনা লাগে, সেই চেষ্টাও নাই। তাই অহেতুক ভীতি সৃষ্টিকারী শিরোনাম এবং টক শো-এর আলোচনায় জনগণ বিভ্রান্ত হয়। লাভের লাভ কিছু হয় না। আমাদের দাবি তুলতে হবে খাদ্য ফসল উৎপাদনে রাসায়নিক সার-কীটনাশক অবিলম্বে বন্ধ করা হোক, এবং সারা দেশে এ বিষয়ে নজরদারির বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হোক।  

Related Topics

টপ নিউজ

বেগুন / ক্যান্সারের ঝুঁকি / গবেষণা

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ছবি: সংগৃহীত
    ২১ জানুয়ারির মধ্যে বাজার থেকে কিটক্যাট চকলেটের লট অপসারণের নির্দেশ
  • ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি: রয়টার্স
    শান্তি চুক্তির বিনিময়ে ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করল ইউক্রেন
  • প্রতীকী ছবি: আনস্প্ল্যাশ
    এনইআইআর চালু হচ্ছে ১ জানুয়ারি, হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের সময় বাড়ল ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত
  • অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন ও সাংবাদিক আনিস আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত
    সাংবাদিক আনিস আলমগীর ও অভিনেত্রী শাওনসহ চারজনের নামে থানায় অভিযোগ
  • প্রতীকী ছবি: সংগৃহীত
    ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নতুন গ্যাসকূপে খনন কাজ শুরু, দিনে মিলবে ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস
  • ছবি: টিবিএস
    সাংবাদিক আনিস আলমগীর ৫ দিনের রিমান্ডে  

Related News

  • দেশভাগের পর পাকিস্তানে ফিরছে সংস্কৃত ভাষা, রয়েছে গীতা-মহাভারত নিয়ে গবেষণার পরিকল্পনাও
  • জাতীয় নির্বাচনে সংবাদ সংগ্রহ: ৮৯ শতাংশ সাংবাদিকই শারীরিক হামলার আশঙ্কা করছেন
  • ইঞ্জিন বিকল হয়ে এক বছর ধরে অচলাবস্থায় দেশের প্রথম ভাসমান গবেষণা জাহাজ
  • প্রতি মাসে গড়ে ৯টি বাঘ উদ্ধার; বিশ্বজুড়ে তীব্র হচ্ছে বাঘ পাচার সংকট
  • ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণা: ৮৩% ভারতীয় রোগীর দেহে অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী জীবাণু

Most Read

1
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ

২১ জানুয়ারির মধ্যে বাজার থেকে কিটক্যাট চকলেটের লট অপসারণের নির্দেশ

2
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি: রয়টার্স
আন্তর্জাতিক

শান্তি চুক্তির বিনিময়ে ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করল ইউক্রেন

3
প্রতীকী ছবি: আনস্প্ল্যাশ
বাংলাদেশ

এনইআইআর চালু হচ্ছে ১ জানুয়ারি, হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের সময় বাড়ল ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত

4
অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন ও সাংবাদিক আনিস আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ

সাংবাদিক আনিস আলমগীর ও অভিনেত্রী শাওনসহ চারজনের নামে থানায় অভিযোগ

5
প্রতীকী ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নতুন গ্যাসকূপে খনন কাজ শুরু, দিনে মিলবে ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

6
ছবি: টিবিএস
বাংলাদেশ

সাংবাদিক আনিস আলমগীর ৫ দিনের রিমান্ডে  

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net