Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Monday
June 02, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
MONDAY, JUNE 02, 2025
আমরা কি একটি ভালবাসাহীন ও নিজেকে অপ্রয়োজনীয় মনে করার মতো জীবন চাইছি?

মতামত

শাহানা হুদা রঞ্জনা
20 July, 2022, 04:35 pm
Last modified: 20 July, 2022, 04:36 pm

Related News

  • কাশ্মীর সংকটে উত্তেজনা নয়, দুই দেশের যৌথ সমাধানই একমাত্র পথ
  • কয়েকটি প্রস্তাবের ভিন্নমত জানিয়ে ঐকমত্য কমিশনে মতামত পাঠাল ইসি
  • ধর্ষণকে ধর্ষণই বলতে হবে, এর অন্য কোনো নাম নেই
  • আরেফিন স্যার, অভিবাদন গ্রহণ করুন, আপনার স্থান আমাদের হৃদয়ে
  • সংস্কারের সুপারিশগুলোতে মাত্র ৭টি রাজনৈতিক দল মতামত দিয়েছে: ঐকমত্য কমিশন

আমরা কি একটি ভালবাসাহীন ও নিজেকে অপ্রয়োজনীয় মনে করার মতো জীবন চাইছি?

শুধু উন্নত বিশ্বেই নয়, চারিদিকেই একাকিত্ব ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। প্রবীণ-নবীন সবাই খুব দ্রুত একা হয়ে পড়ছে। এটাকেও একধরনের মহামারি বলছেন গবেষকরা। ১৯৮৫ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে একাকী মানুষের সংখ্যা তিনগুণ হয়েছে, যাদের একজনও ঘনিষ্ঠ বন্ধুও নাই। প্যারিসে ৫০ শতাংশ এবং স্টকহোমের ৬০ শতাংশ মানুষ একা থাকেন। যুক্তরাজ্যে ৭৫-এর বেশি বয়সি মানুষদের অর্ধেকই একা থাকেন। মাসের পর মাস ধরে তারা আত্মীয়দের সঙ্গে কথা না বলে কাটিয়ে দেন।
শাহানা হুদা রঞ্জনা
20 July, 2022, 04:35 pm
Last modified: 20 July, 2022, 04:36 pm
স্কেচ: টিবিএস

একষট্টি বছর বয়সী একজন নারী তার ফ্ল্যাটের ড্রইং রুমের সোফায় এলিয়ে আছেন। পুলিশ আসার পর জানা গেল তিনি প্রায় দুই বছর আগে এখানে বসেই মারা গেছেন। এই ৭৩০ দিনে কেউ তাকে মিস করেনি বা তার খোঁজ করেনি, কেউ এসে বাসার কলিংবেল বাজায়নি। এমনকী এত ভয়াবহ দুঃখজনক ঘটনার পর যখন তার শেষকৃত্যের অনুষ্ঠান হচ্ছিল, তখনও সেখানে কোনো স্বজন ছিল না। ছিল না কোনো ভালবাসার স্পর্শ।

হয়তো একটা সময় তার জীবনে সব ছিল। ছিল বন্ধু, সহকর্মী, ভাইবোন। কিন্তু অবস্থা এতটাই নির্মম হয়ে দাঁড়িয়েছিল যে দুই বছর কেউ তার দরজায় কড়া নড়েনি। প্রতিবেশীরা ফ্ল্যাট ম্যানেজমেন্ট ও পুলিশকে জানিয়েছিলেন যে বাসাটি থেকে বাজে গন্ধ বের হচ্ছে। তা-ও কারো টনক নড়েনি। লন্ডন শহরে বসবাসকারী এই শেলা সেলিওয়েন তার কার্ড দিয়ে শেষ বাড়িভাড়া দিয়েছিলেন ২০১৯ সালে। এই ঘটনাটি লন্ডনে বা অন্যান্য আধুনিক রাষ্ট্রে নতুন নয়। আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর সমাজ মানুষকে বিচ্ছিন্ন ও একাকী করে তুলেছে। (দ্য গার্ডিয়ান)

ঠিক এইরকম ঘটনার মতো না হলেও এখন অনেকেই আমাদের সমাজে একাকী জীবন কাটাচ্ছেন। ইউরোপ, আমেরিকা অনেককাল আগে আধুনিক হয়েছে, কাজেই সেখানকার জীবনব্যবস্থায় একাকিত্ব বিষয়টি আগে যোগ হয়েছে। আমরা এখনো গ্রাম-শহর-বিদেশ মিলিয়ে একটা ট্র্যানজিশনাল অবস্থার ভেতর দিয়ে যাচ্ছি।

চলতি মাসেই ঢাকার মগবাজার এলাকার একটি ফ্ল্যাটের সাত তলায় পুলিশ দরজা ভেঙে ইকবাল উদ্দিন নামে এক চিকিৎসকের গলিত লাশ তার নিজের বাসা থেকে উদ্ধার করে। তার দুই ছেলেমেয়ে এবং স্ত্রী দেশের বাইরে থাকেন। তিনি অসুস্থ অবস্থায় একাই ওই বাসায় থাকতেন। আত্মীয়-স্বজনের সাথে ফোনেই যোগাযোগ হতো। পুলিশ ৯৯৯-এ কল পেয়ে তার লাশ উদ্ধার করে। উদ্ধারের কয়েকদিন আগে মারা গেলেও কেউ জানত না। তার লাশ পচে গন্ধ বের হচ্ছিল।

উত্তরার বাসা থেকে পুলিশ অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রহমানের লাশ উদ্ধার করে। এই খ্যাতিমান রাষ্ট্রবিজ্ঞানীও একলা তার ফ্ল্যাটে থাকতেন। আবু মোহসিন খান তার ধানমন্ডির ফ্ল্যাটে ফেসবুক লাইভে মাথায় পিস্তল দিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করেন। তিনিও নিঃসঙ্গ ছিলেন। ঢাকা শহরেও গত কয়েক বছরে নিঃসঙ্গতার কারণে আত্মহত্যা বা একাকী বাসায় মারা যাওয়ার পর লাশ কয়েকদিন পর উদ্ধারের আরো কিছু ঘটনা আছে।

এখানে আমরা বা আমাদের সন্তানরা সবাই যে যার মতো ব্যস্ত। মা অথবা বাবা একা ফ্ল্যাটে থাকছেন। সন্তানরা ঢাকায় বা বিদেশে থাকেন। মায়ের বা বাবার জন্য সব ধরনের সুবন্দোবস্ত করা আছে, কিন্তু জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে সন্তানরা মা-বাবার পাশে থাকতে পারছেন না। এরপর একদিন তাদের মৃত্যুর বা নিহত হওয়ার খবর পেয়ে গৃহে ফিরে আসেন। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। বাবা-মা শেষ কথাটিও সন্তানের সাথে বলে যেতে পারেন না। এটাই বাস্তবতা।

আমরা খবরে দেখেছি পরপর কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা, যেখানে একাকী বৃদ্ধ বা বৃদ্ধাকে পেয়ে গৃহকর্মী বা অন্যান্য দুর্বৃত্তরা হত্যা করে রেখে গেছে। সন্তানের জন্যও এটা খুব কষ্টকর সংবাদ। এছাড়া বয়স্ক কেন্দ্র নিয়ে যতগুলো ফিচার বা নিউজ পড়েছি, সবগুলোতে এত কষ্টকর অভিজ্ঞতার বর্ণনা পেয়েছি যে মনটা ভেঙে যায়। কারো কারো সন্তান থেকেও নেই, কারো সন্তান এখানে রেখে গিয়েছে এবং মাসে মাসে টাকা পাঠায় কিন্তু দেখতে আসে না, কোনো কোনো মা-বাবাকে পরিবারে উৎপাত ভেবে সেন্টারে এনে রেখেছে। এমনকী এমনও আছে সম্পত্তি নিজের নামে করে নিয়ে মা-বাবাকে এখানে নিক্ষেপ করেছে।

তবে সবাই যে অবহেলার কারণে বৃদ্ধাশ্রমে আসছেন, তা কিন্তু নয়। একাকিত্ব ঘোচাতেও অনেকে চান বৃদ্ধনিবাসে সময় কাটাতে। শহরের কয়েকটা অপরাধমূলক বড় ঘটনা প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে নিঃসঙ্গ প্রবীণদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে। নিরাপত্তা দেয়ার মতো প্রয়োজনীয় সাহচর্য না পেয়েও অনেকে আজকাল একটি ভালো বৃদ্ধাশ্রমে থাকতে চান।

এই আধুনিক জীবিকানির্ভর জীবন, শহুরে ব্যবস্থা আমাদের কি বিছিন্ন করে ফেলছে প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুদের কাছ থেকে? আমরা যারা ঢাকা শহরের ফ্ল্যাট কালচারে অভ্যস্ত, তারা কি খোঁজ রাখি পাশের বাসার মানুষটি কে বা কারা থাকেন সেখানে? তাদের ভালোমন্দ নিয়ে কি আমাদের কোনো মাথাব্যথা আছে? লন্ডনের শেলা সেলিওয়েনের মতো জীবন কিন্তু যেকোনো সময়ে আমাদেরও হতে পারে।

আমার পাশের ফ্ল্যাটে যে বয়স্ক ভদ্রমহিলা একা থাকেন, একবার দেখলাম তার দোরগোড়ায় ৩-৪ দিনের খবরের কাগজ পড়ে আছে। প্রতিদিন দেখছি যাওয়া-আসার সময়, কিন্তু পরে ভুলে যাচ্ছি। এরপর একদিন জানতে পারলাম তিনি ৫ দিন ধরে হাসপাতালে আছেন। এই ট্রানজিশনাল সময়ের এই তো শুরু, খবর ছাড়া পড়ে থাকার এবং একদিন বিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার।

শুধু উন্নত বিশ্বেই নয়, চারিদিকেই একাকিত্ব ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। প্রবীণ-নবীন সবাই খুব দ্রুত একা হয়ে পড়ছে। এটাকেও একধরনের মহামারি বলছেন গবেষকরা। ১৯৮৫ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে একাকী মানুষের সংখ্যা তিনগুণ হয়েছে, যাদের একজনও ঘনিষ্ঠ বন্ধুও নাই। প্যারিসে ৫০ শতাংশ এবং স্টকহোমের ৬০ শতাংশ মানুষ একা থাকেন। যুক্তরাজ্যে ৭৫-এর বেশি বয়সি মানুষদের অর্ধেকই একা থাকেন। মাসের পর মাস ধরে তারা আত্মীয়দের সঙ্গে কথা না বলে কাটিয়ে দেন।

একটা সিনেমা দেখেছিলাম যেখানে একজন বয়স্ক নারী প্রতি বড়দিনে নিজেই নিজেকে উপহার পাঠাতেন বিভিন্ন নামে। তিনি প্রতিবেশীদের দেখাতে চাইতেন তার সন্তানেরা, নাতি-নাতনিরা তার কাছে আসতে সময় পায় না, কিন্তু তার কথা মনে করে প্রতি বড়দিনে অসংখ্য উপহার পাঠায়। সবাই বিষয়টা একসময় বুঝতে পারলেও তাকে কেউ এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন করেনি। ভদ্রমহিলা মারা যাওয়ার পর দেখা গেল তার শেষকৃত্যে আসার মতো সময়ও কারো হয়নি।

একাকী জীবন কাটানোর এই ফর্মুলা আমরাই তরুণ বয়স থেকে ধারণ করছি। তারুণ্যে একা থাকা, নিজের মতো জীবন কাটানো, অপার স্বাধীনতা, যেমন ইচ্ছা তেমনভাবে খরচ করার ইচ্ছা মানুষকে উদ্দাম করে তোলে। এরমধ্যেই সংসার, সন্তানধারণ ও প্রতিপালন, প্রেম, বিয়ে, পার্টি, হুল্লোড়, ক্লাব, ফেসবুকিং, হোম অফিস, কর্মক্ষেত্রের হতাশা, প্রতিযোগিতা, আরো ভালো থাকার চেষ্টা, ডিভোর্স—সব কয়টি উপাদান যোগ হয় এবং যা ক্রমশ মানুষকে অস্থির করে তোলে। একসময় মানুষ খেয়াল করে সে বড্ড একা হয়ে পড়েছে। তার অনেক বন্ধু আছে কিন্তু প্রকৃত কোনো বন্ধু নেই।

আমি অন্য দেশের আলোচনাতে না গেলেও দেখতে পারছি আমাদের মতো গ্রামনির্ভর দেশেও একাকিত্ব এবং হতাশা বাড়ছে। শুধু বয়োজেষ্ঠ মানুষরা নন, তরুণ, কিশোর এবং শিশুরাও ডিপ্রেশনের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। যে কারণে বাড়ছে আত্মহত্যার হার। আমরা বা আমাদের পরিবারগুলো এখনো ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতা, হতাশা, একাকিত্ব বিষয়গুলো নিয়ে খুব একটা সচেতন নই। সাধারণত পুরুষদের তুলনায় মেয়েরাই বিষন্নতায় ও একাকিত্বে বেশি ভোগে। অন্যদিকে, তরুণদের চেয়ে বয়স্করা বেশি ভোগেন, তেমনই সুস্থ মানুষের চাইতে অসুস্থদের সমস্যা বেশি হয়।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনিস্টিটিউটের তথ্যমতে, বাংলাদেশে গড়ে প্রতি বছর ১০ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করে। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, আত্মহত্যা দু'ধরনের হয়—পরিকল্পিত এবং আবেগতাড়িত হয়ে বা কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে। সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে চরমবিষণ্ণতা বা ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশন থেকে। সুইসাইড করার অর্ধেক কারণই হচ্ছে বিষণ্ণতা বা অবসাদ।

অনেকে বলেন একাকিত্ব বা নিঃসঙ্গতা এক জিনিস নয়। অনেকে নিঃসঙ্গ থাকতে ভালবাসেন কোনো কাজ করার জন্য বা সৃষ্টিশীল কিছু করার জন্য। তবে কেউই চান না লোকজন, বন্ধু, সমাজ তাদের ত্যাগ বা বর্জন করুক। কেউ যখন নিজেই নিঃসঙ্গতা বাছাই করে নেন, তখন নিঃসঙ্গতা তিনি উপভোগ করতে পারেন। কিন্তু মানুষ যখন সবকিছু থেকে একা বা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বা তার আপনজন তাকে এড়িয়ে চলতে চায়, তখন সেই একাকিত্ব জীবন শেষ করে দিতে পারে। 

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ মনে করেন, যৌথ পরিবারে এই সমস্যা অনেক কম। বাস্তবতার কারণেই যৌথ পরিবার ভেঙে যাচ্ছে। কোনোটা ভালো—যৌথ না একক পরিবার, সেটা নিয়ে নানা মত আছে। কিন্তু একক পরিবার হলেও সেটা পরিবার হতে হবে। কিন্তু আমার কথা হলো আদর্শ পরিবার ব্যবস্থাই ভেঙে পড়ছে। এটাই সমস্যা।

তিনি বলেন, বয়স্করা এখন আর আড্ডা দিতে পারেন না, আগে যে পাড়ার ক্লাব বা চায়ের দোকানে আড্ডা দিতেন তা এখন আর নেই। তাদের বিনোদনের ব্যবস্থা নেই। শহুরে শিশুদের বাবা-মা ব্যস্ততার কারণে সময় দেন না। তাদের জন্য পর্যাপ্ত খেলার মাঠও নেই। (ডয়েচে ভেলে)

এই কথার আলোকে মনে পড়ে আমাদের বাসাটির কথা। যেখানে আমি ও আমার ভাইসহ বৃহত্তর পরিবারের ৫-৬ জনের স্থায়ী বাস ছিল। সেখানে সব মিলিয়ে তিনটি ছোট কক্ষ ছিল। পরিবারের মূল সদস্য ছিলাম আমরা দুই ভাইবোন আর আব্বা-আম্মা। কিন্তু আমাদের বাসায় প্রতিবেলায় খাবারের পাত পড়ত কমপক্ষে ৭টি, আর ঊর্ধ্বে ১০-১২। অসংখ্য ভাইবোন এখানে থেকে তাদের পড়াশোনা শেষ করেছে, এর চেয়েও আরো বেশিসংখ্যক আত্মীয়-অনাত্মীয় এখানে এসেছেন—থেকেছেন বিভিন্ন কাজে।

এই বাড়িটা শুধু আমাদের কাছে বাড়ি ছিল না, ছিল অপরিমিত হাসি, আনন্দ, শক্তি আর শান্তির উৎস। শুধু কি আত্মীয়-স্বজন? আমাদের সবার বন্ধুদের অবাধ যাতায়াত, আড্ডা আর আনন্দের জায়গা ছিল এই ছোট বাসাটা। এখানে ছিল না কোন বিষণ্ণতা, একাকিত্ব বা নিঃসঙ্গতার সুযোগ। যতটুকু কষ্ট ছিল, তা আমরা, এই বাসায় থাকা একঝাঁক মানুষ ভাগ করে নিয়েছি।

কলোনির মাঠে আমরা পুরো স্কুল জীবনটা খেলেছি, দলবেঁধে ঘুরেছি, মাঠে বৃষ্টির পানি জমে গেলে তাতে মাছ ধরেছি। খেলাঘর, কবিতার দল করেছি। ঈদ, শবেবরাত, পূজা, পহেলা বৈশাখ, একুশে ফেব্রুয়ারি সব উৎসবই করেছি সবাই মিলে। আম্মাদের দেখিনি কোনো একটি ভাল খাবার পাশের বাড়িতে না দিয়ে খেতে। বন্ধুবান্ধবের দলটাও ছিল অনেক বড়। আমরাও একটা বাটারবন কিনলে ১০ জনে ভাগ করে খেতাম। এই কলোনিতে যারা থাকত, তারা শুধু প্রতিবেশীই ছিল না, ছিল সবার আত্মার আত্মীয়। এই বাড়িতে নানা ধরনের মানুষের সমাহার আমাদের সমৃদ্ধ করেছে, করেছে সামাজিক। এদের কারণেই আমাদের জীবনটা হয়েছে চির উৎসবমুখর।

অথচ বাংলাদেশে নগর জীবনে একাকিত্ব বাড়ছে। আর এই একাকিত্ব শিক্ষিত ও উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্তদের মধ্যেই বেশি। বাংলাদেশের গ্রামগুলোতে এখনো বিছিন্নতা ও একাকিত্ব সেইভাবে ছায়া ফেলেনি। পারিবারিক বন্ধন এখনো অটুট আছে। তাই মাটির টানে মানুষ সব প্রতিকূলতাকে অগ্রাহ্য করে এখনো উৎসব-আয়োজনে গ্রামে ফিরে যেতে চায়।

শহরের ইট-কাঠ, যন্ত্র, জীবন ব্যবস্থা, সুবিধাদি মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে তুলছে। এখানে নিজের স্বার্থ ও প্রয়োজন ছাড়া অন্যের সাথে যোগাযোগ কমে যাচ্ছে। সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধন আলগা হয়ে আত্মকেন্দ্রিকতার দিকে যাচ্ছি আমরা। যার পরিণতি হয়তো একদিন হবে ভালোবাসাহীন, ঠিকানাহীন জীবন। বলতে হতে পারে, 'কী সময়ে বাস করছি আমরা যখন কেউ আমাকে ভালোবাসে না বা কেন কারো কাছে আমার কোনো প্রয়োজন নেই।'


  • লেখক: সিনিয়র কোঅর্ডিনেটর, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন

Related Topics

টপ নিউজ

একাকিত্ব / নিঃসঙ্গতা / মতামত

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • কাল থেকে পাওয়া যাবে নতুন টাকা, সংগ্রহ করবেন যেভাবে
  • ‘মবের নামে আগুন, ভাঙচুরের সুযোগ নেই’: সারজিসকে সেনা কর্মকর্তা
  • দেশের প্রথম মনোরেলের মাধ্যমে চট্টগ্রাম হবে দক্ষিণ এশিয়ার গেটওয়ে: মেয়র শাহাদাত
  • থার্ড টার্মিনাল চালু: সরকারের টার্গেট ডিসেম্বর, জাপানি কনসোর্টিয়াম চায় আরও ২ মাস
  • আগামী বছর থেকে অনলাইনে ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক হচ্ছে
  • জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে ৫০০ কোটি টাকা লোকসান আইএফআইসি ব্যাংকের

Related News

  • কাশ্মীর সংকটে উত্তেজনা নয়, দুই দেশের যৌথ সমাধানই একমাত্র পথ
  • কয়েকটি প্রস্তাবের ভিন্নমত জানিয়ে ঐকমত্য কমিশনে মতামত পাঠাল ইসি
  • ধর্ষণকে ধর্ষণই বলতে হবে, এর অন্য কোনো নাম নেই
  • আরেফিন স্যার, অভিবাদন গ্রহণ করুন, আপনার স্থান আমাদের হৃদয়ে
  • সংস্কারের সুপারিশগুলোতে মাত্র ৭টি রাজনৈতিক দল মতামত দিয়েছে: ঐকমত্য কমিশন

Most Read

1
অর্থনীতি

কাল থেকে পাওয়া যাবে নতুন টাকা, সংগ্রহ করবেন যেভাবে

2
বাংলাদেশ

‘মবের নামে আগুন, ভাঙচুরের সুযোগ নেই’: সারজিসকে সেনা কর্মকর্তা

3
বাংলাদেশ

দেশের প্রথম মনোরেলের মাধ্যমে চট্টগ্রাম হবে দক্ষিণ এশিয়ার গেটওয়ে: মেয়র শাহাদাত

4
বাংলাদেশ

থার্ড টার্মিনাল চালু: সরকারের টার্গেট ডিসেম্বর, জাপানি কনসোর্টিয়াম চায় আরও ২ মাস

5
অর্থনীতি

আগামী বছর থেকে অনলাইনে ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক হচ্ছে

6
অর্থনীতি

জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে ৫০০ কোটি টাকা লোকসান আইএফআইসি ব্যাংকের

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net