Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Thursday
May 29, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
THURSDAY, MAY 29, 2025
বাস্তববাদের রাজনৈতিক দুনিয়ায় অভিবাসীর ভাগ্য যখন ‘সলিল সমাধি’

মতামত

জান্নাতুল তাজরী তৃষা
04 July, 2021, 10:50 pm
Last modified: 05 July, 2021, 01:13 pm

Related News

  • অভিবাসীদের নৌকাডুবি; ভূমধ্যসাগরে ৩ দিন টায়ার টিউব ধরে ভাসছিল ১১ বছরের শিশু
  • ভূমধ্যসাগরে দুটি নৌকাডুবিতে ১১ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৬৪
  • ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ ঢাকায় 
  • ভূমধ্যসাগরে নিখোঁজ হাজার হাজার অভিবাসীর পরিচয় কোনো দিনই কেন শনাক্ত হয় না!
  • গ্রিস উপকূলে ট্রলার ডুবি: পাকিস্তানিদের জোরপূর্বক ‘ডেকের নিচে’ পাঠানোর অভিযোগ

বাস্তববাদের রাজনৈতিক দুনিয়ায় অভিবাসীর ভাগ্য যখন ‘সলিল সমাধি’

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, ২০২১ সালে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে ৮২৩ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে গত এপ্রিলে ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়ার উপকূলে একটি নৌকা ডুবে ৪০ জনের বেশি মানুষ মারা যান।
জান্নাতুল তাজরী তৃষা
04 July, 2021, 10:50 pm
Last modified: 05 July, 2021, 01:13 pm
অবৈধ অভিবাসী নিয়ে ভূমধ্যসাগরে ভাসতে থাকা নৌকা। ফাইল ছবি।

রাজনৈতিক বিশ্বে হাজারও সংকট, সমস্যা ও উত্তেজনার মাঝে অভিবাসী এবং শরণার্থী সংকট একটি অন্যতম সমস্যা। করোনা মহামারিতে বিশ্ব জুড়ে মানুষের চলাফেরা সীমিত করা হলেও গৃহযুদ্ধ, সন্ত্রাস, মানবাধিকার লঙ্ঘন কিংবা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতকরণের মত অমানবিক ব্যাপারগুলো থেমে থাকেনি। ফলে পুরো বিশ্ব জুড়ে শাটডাউনের মাঝেও শরণার্থীদের সংখ্যা ঠিকই বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউরোপ, আমেরিকা কিংবা এশিয়া, সব অঞ্চলই বর্তমানে কমবেশি শরণার্থী সংকটের মুখোমুখি। তবে সংখ্যা ও সংকট বিবেচনায় ইউরোপ যে সবচেয়ে বেশি বিপদে আছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে শরণার্থীরা ছুঁটে চলে ইউরোপের উন্নত দেশগুলোর দিকে। আশা একটাই, খানিকটা উন্নত জীবনযাপন। এইসব শরণার্থীরা যে শুধু গৃহযুদ্ধ কিংবা জীবন নাশের ভয়ে নিজের দেশ থেকে পালিয়ে ইউরোপমুখি হচ্ছে ব্যাপারটা এমন নয়। তৃতীয় বিশ্ব কিংবা উন্নয়নশীল দেশগুলোর ধীর গতির উন্নয়নে ধৈর্য ধরতে না পেরে, দারিদ্রতা থেকে মুক্তি ও অর্থনৈতিকভাবে দ্রুত স্বাবলম্বী হতেও অনেকে জীবন বাজি রাখছে ভূমধ্যসাগরের গভীর জলরাশিতে। গতরাতেই বিদেশী সংবাদমাধ্যমগুলোয় খবর এসেছে লিবিয়া থেকে ইউরোপের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করা একটি নৌকা তিউনিশিয়ার উপকূলে ডুবে যাওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশী সহ ৪৩ জন অভিবাসী নিখোঁজ হয়েছে। ঐ নৌকার আরও ৮৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে মিশর, সুদান, ইরিত্রিয়ার এবং এরকম আরও তৃতীয় বিশ্বের কয়েকটি দেশের নাগরিক রয়েছে। এছাড়া গত ২৭ জুনেও ১৭৮ জনকে উপকূল হতে উদ্ধার করে তিউনিশিয়ার কোস্টগার্ড। ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে প্রবেশ করতে চায় এমন অবৈধ অভিবাসীদের গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্ট হলো লিবিয়া এবং তিউনিশিয়া উপকূল।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, ২০২১ সালে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে ৮২৩ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে গত এপ্রিলে ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়ার উপকূলে একটি নৌকা ডুবে ৪০ জনের বেশি মানুষ মারা যান।

মোটামুটি পাঁচটি রুট দিয়ে অবৈধ অভিবাসীরা ইউরোপে প্রবেশ করে থাকে। এগুলোর মধ্যে প্রধান হলো মধ্য ভূমধ্যসাগরীয় পথ। এই পথে প্রধানত পাঁচটি দেশ তিউনিশিয়া, বাংলাদেশ, আইভোরিকোস্ট, সুদান ও ইরিত্রিয়া থেকে অভিবাসীরা ইউরোপের দিকে যাত্রা করে থাকে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত এই পথ দিয়ে প্রায় ১৬ হাজার অবৈধ অভিবাসী ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলো।

আরেকটি পথ হলো পশ্চিম ভূমধ্যসাগীয় পথ, যেটা স্পেন ও মরক্কোর মাঝে যোগসূত্র স্থাপন করেছে। উত্তর আফ্রিকা হতে ইউরোপ প্রবেশের অন্যতম এই পথে আলজেরিয়া, সেনেগাল, মরক্কো, মালিসহ আরও কয়েকটি দেশ থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাসে অভিবাসী তৈরি হয়েছে প্রায় সাড়ে সাত হাজার।

আলবেনিয়া, উত্তর মেসিডোনিয়া হয়ে গ্রিস এবং আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়া হতে তুরস্ক হয়ে গ্রিস এবং এরপর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ভুক্ত অন্য দেশে গমনই এই অঞ্চলের অভিবাসী বা শরণার্থীদের মূল পরিকল্পনা। তবে অধিকাংশেরই ইউরোপে পাড়ি জমানোর এই পরিকল্পনা সফল হচ্ছে না। গ্রিস-তুরস্ক রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে অভিবাসী সংকট হয়ে উঠছে দিন দিন স্বার্থ আদায়ের রাজনৈতিক হাতিয়ার। 

ইউরোপে অভিবাসী প্রবেশের আরেকটি অন্যতম প্রধান স্থলপথ হলো পশ্চিম বলকান। আলবেনিয়া, বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, মন্টিনিগ্রো, সার্বিয়া হয়ে ইইউ-তে প্রবেশ মধ্য এশিয়া ও আফ্রিকার অভিবাসীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার তথ্যমতে, ২০২০ সাল পর্যন্ত বিশ্বে মোট ৮২.৪ মিলিয়ন মানুষ ফোর্সড মাইগ্রেশনের শিকার হয়েছে, যার মধ্যে ৪৮ মিলিয়ন অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচুত্য এবং ২৬.৪ মিলিয়ন সরাসরি শরণার্থীতে পরিণত হয়েছে। এই সংখ্যায় উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে সিরিয়ার এবং ভেনেজুয়েলার। সিরিয়ায় শরণার্থী বৃদ্ধির কারণ হলো গৃহযুদ্ধ এবং ভেনেজুয়েলায় দারিদ্র্য। অর্থাৎ এই দুটি প্রধান কারণে মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইউরোপের দিকে ঝুঁকছে। 

জাতিসংঘ বলছে, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক শতাংশ শরণার্থীতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এত এত শরণার্থী যাদের অধিকাংশই ইউরোপমুখি হচ্ছে, সবাই কি ইউরোপে নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে পেরেছে? যে উদ্দেশ্যে তারা এত দূরের দুর্গম পথ পাড়ি দেয়ার ঝুঁকি নিলো সে উদ্দেশ্যে ঠিক কয়জন সফল হয়েছে?

ছবি: জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্য উপাত্তের মাধ্যমে উপরের প্রশ্নগুলোর উত্তর সহজেই মিলবে। ইউরোপ ও আমেরিকা ভিত্তিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার অভিযোগ গ্রিক উপকূলে আসা শরণার্থীদের উপর গ্রিসের কোস্টগার্ড নানা ধরণের অত্যাচার করছে। নারী, শিশুসহ দুর্বল শরণার্থীদেরও অমানবিকভাবে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। পার্শ্ববর্তী দেশ তুরস্কের অভিযোগ, গ্রিক কোস্টগার্ড অভিবাসীদের নৌকাও ডুবিয়ে দিয়েছে, যদিও ব্যাপারটি অস্বীকার করেছে গ্রিস। আশ্রয়প্রার্থীদের কোনো সহায়তা না দিয়ে বরং তাদের এজিয়ান সাগরে আটকে রেখেছে এমন অনেক ঘটনা প্রকাশিত হয়েছে সংবাদ ও গবেষণা প্রতিবেদনে গ্রিসের বিরুদ্ধে।

ইইউ'র সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টটেক্সের সহযোগিতায় স্থল সীমান্তে গ্রিক বাহিনীর ছিনতাই, লাঠিপেটাসহ অসহায় অভিবাসন প্রত্যাশীদের উপর জোর করে চাপিয়ে দেয়া হাজারও মামলার দলিলও সংগ্রহ করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। বছরের শুরুতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাব্লিউ) বলেছিলো, গ্রিক কোস্টগার্ড সশস্ত্রভাবে মুখোশধারী সন্ত্রাসী সেজেও অভিবাসীদের নির্যাতন করে, ভয় দেখিয়ে তুরস্কে পুশব্যাক করেছে। অথচ এ ধরণের পুশব্যাক ১৯৫১ সালের শরণার্থী কনভেনশন, মানবাধিকার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্পর্কিত ইউরোপীয় কনভেনশনের পরিপন্থী।

এছাড়া অভিবাসন প্রত্যাশীদের প্রতি গ্রিসের কঠোর ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে সাউন্ড বোমা, রাবার বুলেট, গুলি ও কাঁদানে গ্যাস। তুরস্কের সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা যায় গেলো মার্চ মাসে অভিবাসীদের রুখতে গ্রিসের আগ্রাসনে বেশ কয়েকজন নিহতও হয়েছে।

এই হলো অভিবাসন প্রত্যাশীদের ইউরোপ প্রবেশের ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে গ্রিসকে ব্যবহার করা বা গ্রিসের উদ্দেশ্যেই পাড়ি জমানো মানুষদের প্রায়শ্চিত্তের একটি সংক্ষিপ্ত নমুনা। গ্রিস পর্যন্ত পৌঁছাতেও যে তাদের শত বাঁধা এবং অমানসিক কষ্ট সহ্য করতে হয় এতেও কোনো সন্দেহ নেই। ২০১৫ সালে ইউরোপে অভিবাসী সংকট চরমে ওঠার প্রাক্কালে জার্মানি যাওয়ার পথে অস্ট্রিয়ায় একটি মোটর লরিতে ৭১ টি লাশ পাওয়া গিয়েছিলো, যে ঘটনায় তৎকালীন বিশ্বনেতারা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলো। স্বল্প আবদ্ধ জায়গায় গাদাগাদি করে দিনের পর দিন না খেয়ে দাঁড়িয়ে থেকে কত দিনই বা মানুষ বেঁচে থাকতে পারে! তারপরেও এই মানুষগুলো এতটা ঝুঁকি নিয়ে ইউরোপ যেতে আগ্রহী।

২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরেই ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়ার সময় পাঁচ বছর বয়সী শিশু আয়লান কুর্দির নিথর দেহ মুখ থুবড়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় তুরস্কের বদ্রুম উপকূলে। সেই ছবি সংবাদ মাধ্যম থেকে শুরু করে সামাজিক মাধ্যমে ছাড়িয়ে পড়ে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলো। অভিবাসী সংকট যে কতটা গভীর আকার ধারণ করছে তা বিশ্বনেতাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলো উপকূলে উপুড় হয়ে পড়ে থাকা ছোট্ট আয়লানের মরদেহ। সে সময় থেকে আজ প্রায় ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও অভিবাসী সংকটের কোনো সমাধান খুঁজে পাননি বিশ্বনেতারা। 

২০১৬ সালে সংকটের লাগাম টানতে ইইউ-তুরস্কের মাঝে একটি সমঝোতা হয়েছিলো। যার বিষয়বস্তু ছিলো ইউরোপে অভিবাসীদের চাপ কমাতে তুরস্ক ফ্রন্টলাইনে কাজ করবে। বিনিময়ে পাবে ব্যবসায়-বাণিজ্য সংক্রান্ত সুযোগ সুবিধা এবং শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ায় জন্য মাইগ্রেশন এইড। কিন্তু এই চুক্তির পরেও গ্রিসের অভিযোগ, তুরস্কের আচরণ আন্তরিক ছিলো না। বরং গ্রিসকে চাপে রাখতেই নাকি অভিবাসীদের গ্রিসের দিকে ঠেলে দিয়েছে তুরস্ক। অভিবাসীদের আরেক ট্রানজিট পয়েন্ট মরক্কো-স্পেনের সীমান্তবর্তী অঞ্চল সেউটা ও মেলিলায়ও চলছে এরকম রাজনৈতিক দোষাদোষী। আর এই সবকিছুর মাঝে পিষ্ট হচ্ছে শুধুমাত্র অভিবাসন প্রত্যাশীরা। 

আর এতসব কিছু পেরিয়ে যারা কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছতে পেরেছে তারাও যে খুব স্বাচ্ছন্দ্যে আছে বা হোস্ট রাষ্ট্র তাদের মৌলিক চাহিদাগুলো যথাযথভাবে পূরণ করতে পেরেছে ব্যাপারটি এমন নয়। শরণার্থী এবং অভিবাসীদের সন্তানেরা পড়াশোনায় অন্যদের চেয়ে যোজন যোজন পিছিয়ে। সেই সাথে কর্মক্ষম ব্যক্তিদের চাকরি দিতেও ব্যর্থ হয়েছে ইইউ ভুক্ত অনেক দেশের সরকার। 

ইউরোপিয়ান কমিশনের তথ্য মতে, অভিবাসী সংকট এবং করোনা মহামারির কারণে সারা ইউরোপ জুড়েই বেড়েছে বেকারত্ব এবং হতাশা। গেলো বছর মার্চে বেকারত্বের হার ছিলো ৬.৩ শতাংশ; এবছর তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৩৮ শতাংশে। গ্রিসে বর্তমানে বেকারত্বের হার ১৬.৩ শতাংশ, স্পেনে ১৫.৯৮ এবং তুরস্কে ১৩.৯ শতাংশ। তারপরেও জীবন বাজি রেখে অভিবাসীদের প্রত্যাশা "ইউরোপ"।

বিশ্লেষকরা মনে করেন ইউরোপের অভিবাসী সংকটের মূলে রয়েছে সিরিয়া, আফগানিস্তান, ইরাক ও ইয়েমেনের মত সংকটাপন্ন দেশগুলো। তাই যতদিন এইসব দেশের গৃহযুদ্ধ ও রাজনৈতিক অস্থিরতা প্রশমিত না হবে ততদিন অভিবাসী সংকটের কোনো স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। এছাড়া আফ্রিকার দরিদ্র দেশগুলোও যথেষ্ট সংখ্যাক অভিবাসী তৈরির জন্য দায়ী। অফ্রিকায় সম্পদের কমতি না থাকলেও রাজনৈতিক অস্থীতিশীলতা, দারিদ্র্য ও অনুন্নয়ন এ অঞ্চল থেকে উল্লেখজনক হারে শরণার্থী তৈরি করছে। তাই অভিবাসী সংকট মোকাবেলায় আফ্রিকার উন্নয়নও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সেই সাথে প্রয়োজন শরণার্থী দেশগুলোর প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের আন্তরিক মনোভাব। সিরিয়া কিংবা ইয়েমেনের অভিবাসীরা গৃহযুদ্ধ থেকে বাঁচতে মধ্যপ্রাচ্যের অন্য ধনী দেশগুলোকে বেছে না নিয়ে দূর দুরান্তের পথ পাড়ি দিয়ে বেছে নিচ্ছে ইউরোপকে। এর কারণ পার্শ্ববর্তী ধনী দেশগুলো তাদের আশ্রয় দিচ্ছে না। আশ্রয় না দেয়ার কারণ হলো তারা জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক কনভেনশনে সাক্ষর করেনি। ফলে তারা বাধ্য নয় শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে। অথচ মধ্যপ্রাচ্যে কাতার, কুয়েত, ওমান, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত কিংবা সৌদি আরবের মত দেশগুলো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে এই শরণার্থীর দুর্দশা হয়ত কিছুটা হলেও লাঘব হত।

এই সংকট সমাধানে আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক নেতাদের মাঝে প্রয়োজন আরও বেশি আন্তরিকতা ও সমন্বয় সাধন। কেনোনা, যুদ্ধ থামিয়ে শান্তি আনতে, আফ্রিকার উন্নয়নে কিংবা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে নেতা ও নীতি নির্ধারকদের মাঝে সমন্বয় প্রয়োজন। কিন্তু বাস্তববাদের এই রাজনৈতিক বিশ্ব শরণার্থীদের ৪৬ টি অধিকারের ধারা শুধুমাত্র কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ রেখেই ক্ষান্ত হয়েছে। কেউই অভিবাসীদের জন্য সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত করতে পারেনি ধারাগুলো। তাই বাস্তববাদী এই বিশ্বে অভিবাসী সংকটের সহসা সমাধান অনেকটা দিবাস্বপ্নেরই নামান্তর।


  • লেখক: সাবেক শিক্ষার্থী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
  • ইমেইল: trisha.jannat1112@gmail.com

Related Topics

টপ নিউজ

জান্নাতুল তাজরী তৃষা / ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • আন্তঃনগর ট্রেনে আরও বেশি যাত্রাবিরতি দেওয়ার চাপে রেলওয়ে
  • ইউক্রেনের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে ‘পাল্লার সীমাবদ্ধতা’ তুলে নিল যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ
  • ‘সরকারের মাথা থেকে পচন ধরেছে’: তারুণ্যের সমাবেশে মির্জা আব্বাস
  • ৩৫০ বাদামী ভালুক হত্যা করবে স্লোভাকিয়া, মাংস বিক্রিরও অনুমোদন
  • ঢাকার বাতাস আজ কানাডা, ফিনল্যান্ডের রাজধানীর চেয়েও স্বাস্থ্যকর
  • ‘আনু ভাইকে শ্রদ্ধা করি, কিন্তু তার প্রতিক্রিয়ায় আমি বিস্মিত’: আনু মুহাম্মদের স্ট্যাটাসে আসিফ নজরুলের বিস্ময় প্রকাশ

Related News

  • অভিবাসীদের নৌকাডুবি; ভূমধ্যসাগরে ৩ দিন টায়ার টিউব ধরে ভাসছিল ১১ বছরের শিশু
  • ভূমধ্যসাগরে দুটি নৌকাডুবিতে ১১ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৬৪
  • ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ ঢাকায় 
  • ভূমধ্যসাগরে নিখোঁজ হাজার হাজার অভিবাসীর পরিচয় কোনো দিনই কেন শনাক্ত হয় না!
  • গ্রিস উপকূলে ট্রলার ডুবি: পাকিস্তানিদের জোরপূর্বক ‘ডেকের নিচে’ পাঠানোর অভিযোগ

Most Read

1
বাংলাদেশ

আন্তঃনগর ট্রেনে আরও বেশি যাত্রাবিরতি দেওয়ার চাপে রেলওয়ে

2
আন্তর্জাতিক

ইউক্রেনের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে ‘পাল্লার সীমাবদ্ধতা’ তুলে নিল যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ

3
বাংলাদেশ

‘সরকারের মাথা থেকে পচন ধরেছে’: তারুণ্যের সমাবেশে মির্জা আব্বাস

4
আন্তর্জাতিক

৩৫০ বাদামী ভালুক হত্যা করবে স্লোভাকিয়া, মাংস বিক্রিরও অনুমোদন

5
বাংলাদেশ

ঢাকার বাতাস আজ কানাডা, ফিনল্যান্ডের রাজধানীর চেয়েও স্বাস্থ্যকর

6
বাংলাদেশ

‘আনু ভাইকে শ্রদ্ধা করি, কিন্তু তার প্রতিক্রিয়ায় আমি বিস্মিত’: আনু মুহাম্মদের স্ট্যাটাসে আসিফ নজরুলের বিস্ময় প্রকাশ

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net