চাকরি খুঁজছেন? কপাল খারাপ!

এ বছর কিংবা আগামী বছর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাশ করছেন যারা, তাদের মধ্যে আপনিও যদি থাকেন, আপনার তাহলে কপাল খারাপ!
কেননা, অর্থনীতির আচমকা নাকাল হয়ে ভেঙে-চুরে যাওয়ার চলমান ঘটনা আমাদের সামনে ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন সময়গুলোর একটিকে হাজির করেছে; আর এই ভঙুর অর্থনীতি আপনার জন্য খুব বেশি চাকরির ব্যবস্থা রাখবে বলে মনে হয় না। এ বছর তো নয়ই। হয়তো পরের বছরও নয়। হয়তো আরও অনেক বছরেও নয়।
আপনার কপাল সত্যিই খারাপ। কেননা, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস বর্তমানে যেভাবে ফেলেছে, অতীতের কোনো বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এত অল্প সময়ে চাকরির বাজারে এমন সর্বনাশা বিপর্যয়কারী প্রভাব ফেলেনি।
ছোট কিংবা বড়, উন্নত কিংবা উন্নয়নশীল- সব ধরনের অর্থনীতিই এই মহামারির বিপর্যয়ের ধাক্কায় খাচ্ছে ঘূর্ণিপাক।
সহস্র কোটি ডলারের প্রণোদনার মাধ্যমে দ্রুত এটি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে যে দেশগুলো, বেকারত্ব বৃদ্ধিসহ নেতিবাচক অর্থনৈতিক উন্নতি সেখানে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে একটি অতি বড় বাধা হয়ে ওঠার আশঙ্কা করছেন পৃথিবীর নানা প্রান্তের অর্থনীতিবিদরা।
উৎপাদন, ক্রয়-বিক্রয় ও পণ্যের প্রবাহ ধরে রাখা এবং একটি অর্থনৈতিক পরিমাপের মধ্যে থাকার যে প্রকৃত অর্থনীতি, মহামারিটি বাংলাদেশেও সেটিকে ছারখার করে দিয়েছে- এ কথা বলাই বাহুল্য।
আমাদের অর্থনীতি যেখানে গত পাঁচ বছরে গড়ে রেকর্ড ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি সহকারে বেশ ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল, চাকরির বাজার তখনো খুব একটা উজ্জ্বল ছিল না। এটিকে তাই 'কর্মসংস্থানহীন প্রবৃদ্ধি' বলে অভিহীত করা হতো; কেননা, দ্রুত অর্থনৈতিক অগ্রগতির তুলনায় চাকরি সংস্থানের হার ছিল কম।
এখন অর্থনীতি এমনই এক সময়ে মহামারিটির কঠিন আঘাতের মুখে পড়ল, যখন গত বছর রেকর্ড ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির দেখা পেয়ে বর্তমান অর্থবছরে ৮ দশমিক ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির দিকে চোখ রাখছিলাম আমরা।
সেই আশায় গুঁড়োবালি; অর্থনৈতিক চেহারা এখন করালদর্শন। কিছু দিন আগেও আমাদের প্রবৃদ্ধির দিকে একটি শীতল দৃষ্টি রেখে বিশ্বব্যাংক অনুমান করেছিল, বর্তমান অর্থবছরে সেটি ২ থেকে ৩ শতাংশ হতে পারে।
বৈশ্বিক মহামারিটি সরকারকে দীর্ঘ দুইমাসের 'শাটডাউন' জারি রাখতে, অর্থনীতির চাকা বন্ধ রাখতে, এবং এক কোটিরও বেশি শ্রমিককে কর্মহীন রাখতে বাধ্য করেছে; যেখানে অনানুষ্ঠানিক খাতের বেশিরভাগ শ্রমিকই ছিটকে পড়েছেন কর্ম ও উপার্জনের বাইরে।
৬ কোটি ৯ লাখ জনশক্তির মধ্যে মাত্র ১ কোটি ৪০ লাখ আনুষ্ঠানিক খাতে মাসিক বেতন ভিত্তিতে চাকরি করেন। দিনের উপার্জন দিনেই করেন ১ কোটি জনবল; অন্যদিকে ৭০ লাখ চলেন পারিবারিক খরচে, আর ২ কোটি ৭০ লাখ জনবল স্বনির্ভর- তারা ছোটখাট ব্যবসা কিংবা মেরামত কর্ম কিংবা সেবাখাতে কাজ করেন।
অনানুষ্ঠানিক খাতের কর্মীদেরই এই মহামারি সবচেয়ে মারাত্মক আঘাত করেছে। উপার্জনের রাস্তা হারিয়ে তাদের বেঁচে থাকাই হয়ে উঠেছে দুরূহ।
উপার্জনের এই নেতিবাচক ধাক্কা দেশটির দারিদ্রের হার ৪০.৯ শতাংশে ঠেলে দেবে, যা কি না বর্তমান হার ২০.৫ শতাংশের ঠিক দ্বিগুণ-- এমনটাই বলেছে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনোমিক মডেলিং (এসএএনইএম)।
শাটডাউন সরিয়ে নেওয়ার পর, নিজেদের ব্যবসা পুনরায় চালু করতে গিয়ে এক নিদারুণ বাস্তবতার মুখোমুখি হবে অনেক ছোট ও মাঝারি অনেক ব্যবসা। এদের অনেকেই ইতোমধ্যে নিজেদের কর্মীদের বেতন দিতে অক্ষম হয়ে উঠেছে। টিকে থাকার জন্য ভবিষ্যতে হয়তো অনেককে তারা চাকরিচ্যূত করবে। তার মানে, আরও অনেক মানুষ চাকরি হারাতে যাচ্ছেন।
প্রবাসী যেসব শ্রমিক বিভিন্ন দেশ, বিশেষত মধ্যপ্রাচ্য থেকে ফিরে এসেছেন, তারা সম্ভবত সহসাই সেইসব দেশে ফিরতে পারবেন না; কেননা, তেলের দাম ভয়াবহ পর্যায়ে কমার কারণে তেল-কেন্দ্রিক অর্থনীতিও মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।
ফলে ফিরে আসা প্রবাসী শ্রমিকরা দেশেই চাকরি খুঁজবেন, আর তাতে চাকরির বাজারে একটা বাড়তি বোঝা যোগ হবে। চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা সম্ভবত ২০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে। বিদেশে চাকরি করার সুযোগে পতন ঘটার কারণে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন কমে আসবে; আর তাতে আমাদের পারিশ্রমিকের ভারসাম্যের ওপর চাপ পড়বে পাহাড়সম।
পোশাক খাত, যেটি কি না দেশের ৮৪ শতাংশেরও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা এনে দেয়, সেটিও পড়ে গেছে বেকায়দায়। ৩০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি মূল্যের অর্ডার ইতোমধ্যেই বাতিল হওয়ার মুখে। ইতোমধ্যেই এই খাত থেকে প্রচুরসংখ্যক শ্রমিক ছাটাই করা হয়েছে। আরও অনেক কারখানা কোনোমতে টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তারা ঘুরে দাঁড়াতে ব্যর্থ হলে দেশের অর্থনীতিতে বেকারের সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে।
তরুণরাই ভুগবেন বেশি
তবে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হবেন আমাদের তরুণরাই।
এই বৈশ্বিক মহামারির বিপর্যয়ে ছোট হয়ে আসা চাকরির বাজারের বড়দের তুলনায় তরুণদেরই লড়তে হবে বেশি।
প্রতি বছর বাংলাদেশে শ্রমশক্তি হিসেবে ২০ লাখ তরুণের আবির্ভাব ঘটে। কিন্তু এবার তারা এমন এক চাকরির বাজারে ঢুকবেন, যেটি তাদের জন্য একেবারেই শত্রুতাপূর্ণ। পুনরুদ্ধারকালে ব্যবসার পক্ষে যেহেতু খুব বেশি কর্মক্ষেত্র তৈরি করার সুযোগ নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে, ফলে তাদেরকে ব্যাপক চাকরি ঘাটতির মধ্যে পড়তে হবে।
করোনাভাইরাসের কারণে কর্মক্ষেত্রে এক বিরাট মাত্রায় ডিজিটাল রূপান্তর ঘটবে, সেক্ষেত্রে নতুন অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের বেলায় অতীতের তুলনায় কম দক্ষ লোকবলের ওপর আরও কম নির্ভর করা হবে।
এ চিত্র শুধু বাংলাদেশেরই নয়। পৃথিবীর সর্বত্রই তরুণরা অভূতপূর্ব চাকরি সংকটের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
দ্য ইকোনোমিস্ট পত্রিকার সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানা যায়, এই মহামারির স্বল্পমেয়াদী আঘাতটি এক দীর্ঘ মেয়াদী দাগ রেখে যাবে।
ব্রিটিশ থিংক ট্যাংক দ্য রেজুলেশন ফাউন্ডেশনের ধারণা, এ বছর শিক্ষাজীবন শেষ করে কর্মজীবনে প্রবেশে প্রস্তুত তরুণদের চাকরি পাওয়ার জন্য অন্তত তিন বছর অপেক্ষা করতে হবে।
তার মানে, স্নাতক পাশ করা তরুণদের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা ১৩ শতাংশ এবং এরচেয়ে কম যোগ্যতা সম্পন্নদের সেই সম্ভাবনা ৩৭ শতাংশ কমে যাবে।
এই প্রভাব ২০৩০-এর দশক পর্যন্ত চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মন্দার প্রভাব তরুণ কর্মীদের ওপর পড়া বিষয়ে বেলজিয়ামের জেন্ট ইউনিভার্সিটির বার্ট কক্স পরিচালিত এক গষেণায় দেখা গেছে, কর্মক্ষেত্রের পতনমুখীকালে চাকরির বাজারে ঢোকার উপযুক্ত পরিবেশ ফিরে পেতে ১০ বছর লেগে যায়; খবর দ্য ইকোনিমিস্টের।
পত্রিকাটির সর্বশেষ প্রতিবেদনের বলা হয়েছে, "বৈশ্বিক এই মহামারির কারণে স্বল্প বেতনের ও তরুণদেরই অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে বড় আঘাতের শিকার হতে হবে, আর তা বাইবেলে উচ্চারিত কিং জেমসের এক ভয়ানক কথারই প্রতিধ্বনী যেন : 'এবং তার যা কিছু নেই, শুধু তাই নয়, বরং যা কিছু রয়েছে- তাও তার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হবে।' এর সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিণতি হবে ব্যাপক।"
বৈশ্বিক এই মহামারির আগে, বাংলাদেশে বেকার জনসংখ্যা ছিল প্রায় এক কোটি। শাটডাউনে সেটি ইতোমধ্যেই দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
সামনের মাসগুলোতে এই মহামারির প্রভাব আমাদের চাকরির বাজারকে আরও সংকোচিত করে দেবে; আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই আরও কঠিন করে তুলবে।
কতদিন চলবে এ অবস্থা?
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে একটি দীর্ঘমেয়াদী বৈশ্বিক মন্দার আশংকা করছে রিস্ক ম্যানেজার বা ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সংস্থাগুলো; সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম।
তাতে বলা হয়েছে, জরিপে অংশ নেওয়া ৩৪৭টি রিস্ক ম্যানেজারের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই পরবর্তী ১৮ মাসের জন্য তাদের গুরুত্বের তালিকায় বৈশ্বিক অর্থনীতির একটি দীর্ঘমেয়াদী সংকোচনকে বিবেচনায় রেখেছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, অর্ধেকসংখ্যক রিস্ক ম্যানেজারই ব্যাংকের দেউলিয়াত্ব ও ইন্ডাস্ট্রির একত্রীকরণ, ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে ইন্ডাস্ট্রিগুলোর ব্যর্থতা ও বিশেষত তরুণদের মধ্যে বিপুলসংখ্যক বেকারত্বের আশংকা করছে।
বৈশ্বিক মহামারিটির সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাবের একটি ভয়ানক চিত্র তুলে ধরে আইএমএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা আগেই বলেছেন, ১৯৩০-এর দশকের মহামন্দার পর ঘটা সবচেয়ে বড় বিপর্যয়কারী এই মহামারির আঘাতে ২০২০ সালে বৈশ্বিক অর্থনীতির গতি 'সুতীব্র নেতিবাচক' দিকে বাঁক নেবে; ২০২১ সালের আগে কোনোভাবেই সেটির আংশিক পুনরুদ্ধারও সম্ভব নয়।
করোনাভাইরাসের প্রভাবে ব্রিটিশ অর্থনীতি এ বছর ১৪ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে, এবং বসন্তকাল নাগাদ বেকারত্বের সংখ্যা বর্তমানের দ্বিগুণ হয়ে উঠার আশংকা রয়েছে- যা কি না ৩০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় মন্দার আবির্ভাব ঘটাবে, এমন সতর্কতা জানিয়েছে দ্য ব্যাংক অব ইংল্যান্ড।
প্রায় সব দেশের বেকারত্বের হার আকাশচুম্বি হয়ে উঠছে।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ৯ মাসে প্রায় ৩ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন নাগরিক চাকরি হারিয়েছেন, যেমনটা ১৯৩০-এর দশকের মহামন্দার পর আর ঘটেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্টিভ নুচিন সম্প্রতি জানিয়েছেন, মহামারিটির দাপটে বেকারত্বের হার বাড়তেই থাকবে- এমনটা নিজে মনে করলেও, লকডাউন দীর্ঘায়িত করলে অর্থনীতির 'স্থায়ী ক্ষতি' হওয়ার সতর্কবার্তা তিনি দিয়েছেন।
কনসালট্যান্সি ম্যাককিনসে হিসেব কষে আগেই জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে সামনের মাসগুলোতে ইউরোপে বেকারত্বের হার প্রায় দ্বিগুণ হবে; তাছাড়া ৫ কোটি ৯০ লাখ লোকের স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যূত হওয়ার এবং বেতন ও কর্মঘণ্টা কাটার ঝুঁকি রয়েছে।
পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনের পরিস্থিতিও বিপন্ন মনে হচ্ছে।
বৈশ্বিক চাহিদার পতন ও স্থানীয় অর্থনীতির ধীরগতির পুনর্যাত্রায় লাখ লাখ চীনা নাগরিক চাকরিচ্যূত হয়েছেন। ব্লুমবার্গের এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের বলা হয়েছে, স্পষ্ট কোনো তথ্য না থাকায় কতগুলো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ রয়েছে, সেই অনুমান করা খুবই মুশকিল।
অতীতের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারগুলোয় বেলায় দুর্বল চাকরিব্যবস্থার বৃদ্ধি একটি মূল ভূমিকা রেখেছিল, যেটিকে অর্থনীতিবিদরা 'জবলেস রিকভারি' বা 'কর্মহীন পুনরুদ্ধার' বলে অভিহীত করেন।
২০০৮ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের পর, চাকরির বাজারকে মন্দাপূর্বকালীন অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্রের লেগেছিল ছয় বছর।
উপসাগরীয় যুদ্ধের ফলে হওয়া ১৯৯১ সালের মন্দা এবং ২০১১ সালের ডট-কম বাবল ক্র্যাশের কারণে অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে চরম পরিণতিসহ একটি বড় ধরনের দীর্ঘমেয়াদী বেকারত্বের দেখা পাওয়া গেছে।
ইউরোপে ২০০৮ সালের মন্দার পর চাকরি বাজারে তার প্রভাব পড়েছিল আরও নাটকীয়ভাবে। সংকটপূর্বকালীন ৬ দশমিক ৭ শতাংশ বেকারত্বের হারে ফিরে যেতে ১১ বছর সময় লেগেছিল ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের।
২০০৮ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দায় যখন অন্য দেশগুলো ভুগছিল, আমরা ছিলাম সৌভাগ্যবান।
কিন্তু এবার একটি অপরিহার্য চাকরিহীন অবস্থার মুখোমুখি হয়ে সেটি থেকে উত্তরণের পথ খোঁজার এক বেদনার অনুভূতি আমরা ইতোমধ্যেই পাচ্ছি। এই বিপন্ন ভবিষ্যতে আমাদের তরুণদের কোনো ঢাল নেই।
- অনুবাদ: রুদ্র আরিফ
মূল লেখা: Bad luck if you are looking for a job