‘অ্যাকোয়াম্যান টু’ থেকে কি বাদ পড়তে যাচ্ছেন অ্যাম্বার হার্ড?

অ্যাকোয়াম্যান সিরিজের আসন্ন সিনেমা 'অ্যাকোয়াম্যান অ্যান্ড দ্য লস্ট কিংডম' থেকে অ্যাম্বার হার্ডকে বাদ দেওয়ার জন্য চলমান একটি পিটিশন প্রায় এর লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছেছে।
নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য।
বুধবার সকাল পর্যন্ত পিটিশনে অ্যাম্বারকে বাদ দেওয়ার পক্ষে ৪.৪৩ মিলিয়ন সাক্ষর জমা পড়েছে। প্রাথমিকভাবে এই পিটিশনের ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা ৪.৫ মিলিয়ন।
২০২০ সালে জিন লারসন তৈরি করেন এই পিটিশন। ওয়ার্নার ব্রাদার্সের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বানানো হয় সেটি।
সম্প্রতি প্রাক্তন স্বামী অভিনেতা জনি ডেপের সাথে একটি বহুল আলোচিত মানহানির মামলায় হেরেছেন ৩৬ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী।
২০১৮ সালে ওয়াশিংটন পোস্টে লেখা একটি অপ-এডের জন্য হার্ডের বিরুদ্ধে ৫০ মিলিয়ন ডলারের মানহানির মামলা করেন ডেপ।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, তাদের এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে চলতি মে মাসে পিটিশনে ৩ মিলিয়ন ভোট পরে। সেসময় জানা যায়, অ্যাকোয়াম্যানের এই মুভিতে অ্যাম্বার
হার্ডের স্ক্রিন টাইম ১০ মিনিটে নামিয়ে আনা হয়েছে।
এদিকে, হার্ড গত মাসের শেষের দিকে তার সাক্ষ্য দেওয়ার সময় দাবি করেন ওয়ার্নার ব্রাদার্স স্টুডিও তাকে এই ছবিতে নিতে চায়নি।
তাকে প্রাথমিকভাবে একটি স্ক্রিপ্ট দেওয়া হলেও পরে আরেকটি স্ক্রিপ্ট দেওয়া হয়।
তবে, হার্ড এবং ওয়ার্নার ব্রাদার্স কেউই এই পিটিশন সম্পর্কে মন্তব্য করেনি।
অন্যান্য বেশ কিছু মিডিয়ার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, অ্যাম্বার হার্ডের সহ-অভিনেতা ও সিনেমার মূল চরিত্রে অভিনয় করা জেসন মোমোয়ার সাথে তার রসায়নের অভাব ছিল।
এছাড়া, হার্ড-ডেপ কেসে সাক্ষ্য দিতে আসা এই অভিনেত্রীর ডাব্লুএমই এজেন্ট জেসিকা কোভাসেভিক বলেন, "প্রেসে দুর্নাম হওয়া কাউকে ওয়ার্নার ব্রোস নিতে চায়না।"
২০২৩ সালের মার্চে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে 'অ্যাকোয়াম্যান অ্যান্ড দ্য লস্ট কিংডম' মুভিটির।