‘রঞ্জনা’ই হচ্ছেন ‘বেলা বোস’? নতুন ছবি ঘিরে অঞ্জন দত্তের টিমে দ্বন্দ্ব চরমে!

২০১১ সালে গিটার সরিয়ে 'রঞ্জনা'কে বড়পর্দায় হাজির করেছিলেন ভারতীয় খ্যাতিমান গায়ক, অভিনেতা ও পরিচালক অঞ্জন দত্ত। এরপর ফের একবার নিজের আরও একটি হিট গানকে ভিত করে ছবি তৈরি করতে চলেছেন অঞ্জন। 'বেলা বোস'। অঞ্জন দত্তের 'বেলা বোস'।
২৪৪১১৩৯ নম্বরের ফোনের ওপারে বসা থাকা সেই বেলা বোসকে এবার বড়পর্দায় দর্শকদের সামনে আনতে চলেছেন অঞ্জন দত্ত স্বয়ং, সে খবর ইতোমধ্যেই অনেকের জানা। আর বড়পর্দায় বেলা বোসকে আনার পেছনে যার ইচ্ছে এবং সঙ্গত পরতে পরতে লেগে রয়েছে, তিনি এ ছবির প্রযোজক রানা সরকার।
এবার জানা গেল, 'বেলা বোস' হিসেবে পার্ণো মিত্রকে প্রযোজকের প্রাথমিক পছন্দ থাকলেও সরাসরি সেই 'অপশন' নাকি পত্রপাঠ উড়িয়ে দিয়েছেন অঞ্জন দত্ত। অথচ ১০ বছর আগে বড়পর্দাতে 'রঞ্জনা আমি আর আসব না' পার্ণো মিত্রকে তিনিই দর্শকদের সামনে হাজির করিয়েছিলেন।
কী এমন হলো, যার জন্য 'রঞ্জনা'কে আর 'বেলা বোস' বানাতে চাইছেন না অঞ্জন?
ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের খবর, চলতি বছরের প্রথম দিকেও অঞ্জন দত্তের সঙ্গে পার্ণো মিত্র রসায়ন জমাট না হলেও বেশ 'টক মিষ্টি'ই ছিল। এরপর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার নির্বাচনে বিজেপির হয়ে রাজনীতির ময়দানে যখন নামেন এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী, তারপর থেকেই তার দূরত্ব শুরু হয় অঞ্জন দত্তের সঙ্গে।

বিজেপিতে পার্ণোর যোগদান নিয়ে প্রকাশ্যেই হতাশা ও আক্ষেপ প্রকাশ করেছিলেন এই বিখ্যাত অভিনেতা-পরিচালক। পাল্টা মুখ খুলেছিলেন পার্ণোও। এরপর পানি গড়িয়েছে বহুদূর। শোনা গিয়েছিল, সম্পর্কের সুর কেটে গেছে অভিনেত্রী আর পরিচালকের মধ্যে।
অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের বরাহনগরের প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়ালেও হেরে যান 'রঞ্জনা'। তবে এরপরও বিজেপি নেত্রীর সঙ্গে কোনোরকম কথার আদানপ্রদান করেননি অঞ্জন।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি পার্ণো মিত্রের সঙ্গে 'বেলা বোস' নিয়ে নাকি একটি ছোট বৈঠকও সেরে ফেলেছিলেন 'বেলা বোসের জন্য' ছবির প্রযোজক রানা সরকার। তবে অঞ্জন দত্তের কানে এ খবর যেতেই রানা সরকারকে সরাসরি তিনি 'না' বলে দেন। ওই সূত্রের তরফে আরও জানা গেছে, এক ও একমাত্র পরস্পরের সম্পূর্ণ বিপরীত রাজনৈতিক অবস্থানের জন্যই নাকি অঞ্জন দত্ত ও পার্ণো মিত্রের মধ্যে তৈরি হয়েছে এমন পরিস্থিতি।

এ বিষয়ে অঞ্জন দত্ত ও পার্ণো মিত্রকে হিন্দুস্তান টাইমসের তরফে বার কয়েক ফোন করা হলেও তারা তোলেননি। হোয়াটস অ্যাপেও এ প্রসঙ্গে কোনো কিছু জানাননি তারা।
এদিকে, এ প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করতে না চাইলেও পরে ফোনের ওপার থেকে রানা সরকার জানিয়েছেন, পার্ণো মিত্র 'বেলা বোস' হতে চাইলে তিনি অখুশি হবেন না; তবে এই ছবির ক্ষেত্রে অঞ্জন দত্তের কথাই শেষ কথা। 'বেলা বোস'-এর স্রষ্টাই এক্ষেত্রে 'ক্যাপ্টেন অব দ্য শিপ'।
মজা করেই রানা সরকার বললেন, 'ওই যে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আর এক্ষেত্রে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আম্পায়ারটি কে।'
তবে প্রশ্ন উঠেছে, নেটমাধ্যমে পার্ণোর সঙ্গে সদ্য একটি ছবি পোস্ট করেছেন রানা সরকার। ছবির ক্যাপশনও যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ! টলিপাড়ায় গুঞ্জন, যদি পরিচালকই কথাই শেষ কথা হয়, তাহলে এহেন পরিস্থিতিতে কেন পার্ণোর সঙ্গে সেলফি পোস্ট করলেন রানা? কেনই-বা ওরকম ক্যাপশন জুড়লেন তিনি? দুইয়ে দুইয়ে চার করা কিন্তু শুরু করে দিয়েছে দর্শক।
আরও শোনা যাচ্ছে, অঞ্জন যাই বলুন না কেন, পার্ণোকেই নাকি 'বেলা বোস' হিসেবে পছন্দ করা হয়েছে ছবি নির্মাণ সংস্থার তরফে। ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, পার্ণোকে কেন্দ্র করে পরিচালক এবং প্রযোজকের মধ্যে নাকি ইতিমধ্যেই দ্বন্দ্ব উঠছে চরমে! দু'তরফেই নাকি চলেছে নরম গরম বাক্যের আদান প্রদান।

এদিন অঞ্জন কিংবা পার্ণো ফোন না ধরায় সেই জল্পনা যে আরও কংক্রিট হলো, সেকথা বলাই বাহুল্য।
পাশাপাশি, এদিন সন্ধ্যায় অঞ্জন দত্তও ফেসবুকে একটি ছোট্ট পোস্ট করেন 'বেলা বোস আসছে'। যদিও কে হচ্ছেন 'বেলা বোস', সে বিষয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি তিনি। এরমধ্যেই হাজারের ওপর শেয়ার হয়েছে সেই পোস্ট। তবে কি শেষপর্যন্ত পার্ণোই হচ্ছেন 'বেলা বোস'? জল্পনা কিন্তু বাড়ছে!
-
আরও পড়ুন: এবার বেলা বোসকে সিনেমায় আনছেন অঞ্জন