শুটিংয়ে অংশ নিতে বাধা নেই: পরীমনির আইনজীবি

ঢাকাই সিনেমার আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনি দীর্ঘ ২৮ দিন পর আজ জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। পরীমনির আইনজীবি জানিয়েছেন, কোনও আইনি বাধা না থাকায় পরীমনি আবারও শুটিং শুরু করতে পারবেন।
পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী বলেন, "পরীমনি শুটিংয়ে যেতে পারবে, এখানে আদালতের কোন বাধা নেই। তিনি খানিকটা অসুস্থ, তবে তিনি অবশ্যই শুটিংয়ে ফিরবেন"।
অভিনেত্রী শীঘ্রই চিকিৎসা নেবেন বলেও সুরভী উল্লেখ করেন।
"পরীমনিকে সুস্থ করে তোলার জন্য তার পরিবার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে," যোগ করেন তিনি।
এ সময় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতেও পরীমনির ওপর কোন বাধা নেই বলে এ আইনজীবি জানান।
"তার মিডিয়ার সাথে কথা বলতে কোনই বাধা নেই; অসুস্থতার জন্যই তিনি নিজেকে বিরত রেখেছেন"।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থা পরীমনির মামলায় চার্জশিট দাখিলের পর অভিনেত্রী আবারও জামিনের আবেদন করবেন বলে জানান সুরভী।
সকালে কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান পরীমনি। এসময় কারা ফটকে পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী ও খালু জসিম উদ্দিনসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
তিন দফা রিমান্ডের পর জামিন আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল (৩১ আগস্ট) দুপুরে ৫০ হাজার টাকার আর্থিক মুচলেকায় জামিন আদেশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বিকেলে বনানীর ১২ নম্বর রোডের পরীমনির বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। এ সময় বাসা থেকে সাড়ে ১৮ লিটার বিদেশি মদ, চার গ্রাম আইস, এক স্লট এলএসডি এবং একটি পাইপ জব্দ করা হয়। ওই ঘটনায় র্যাব-১ এর কর্মকর্তা মো. মজিবর রহমান মাদক আইনে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় গত ৫ আগস্ট পরীমনির চার দিনের ও গত ১০ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় দুই দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। ওই রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে মামলায় তৃতীয় দফা রিমান্ড আবেদনে গত ১৯ আগস্ট পরীমনির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে আদালত ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই রিমান্ড শেষে গত ২১ আগস্ট পরীমনিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
পরীমনির মামলায় বলা হয়, পরীমনি এসব মাদকদ্রব্য কবির নামক এক ব্যক্তির মাধ্যমে সংগ্রহ করে বাসায় রাখতেন। মামলায় কবিরের পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা উল্লেখ নেই। একই মামলায় আবার র্যাব দাবি করেছে, চিত্রনায়িকা পরীমনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, তিনি প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের কাছ থেকে মাদক সংগ্রহ করতেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের যে ধারায় পরীমনির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে পারলে তাঁর সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড হতে পারে।