ডিপোতে এখনও মিলছে লাশের অংশবিশেষ
চট্টগ্রামের বিএম কনটেইনার ডিপোর প্রাণঘাতী অগ্নিকাণ্ডের শিকার কয়েকজনের শরীরের অংশ ডিপোর সামনের খালি জায়গায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। বিস্ফোরণের কেন্দ্রের কাছাকাছি যেয়ে এ দৃশ্য দেখতে পান উদ্ধারকারীরা।
ডিপোতে যে রাসায়নিক দ্রব্যের কনটেইনার ছিল এ তথ্য গোপন করায় ডিপো মালিকদের দায়ী করেছেন ফায়ার সার্ভিস (আগ্রাবাদ শাখা) পরিদর্শক মাহবুব-ই-ইলাহী।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যু ঘটেছে। এরমধ্যে ৯ জন দমকলকর্মী। এছাড়া আহত হয়েছেন ২০০ এরও অধিক ব্যক্তি।
"ডিপোতে মজুত রাসায়নিকের তথ্য মালিকরা জানেন না এটা কিভাবে সম্ভব!" বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন মাহবুব-ই-ইলাহী।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স জানায়, শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের কন্টেইনার ডিপোতে যে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে তা অফ-ডকে সংরক্ষিত হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ভর্তি ড্রামের লিকেজ থেকে শুরু হয়।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ট্রেনিং কমপ্লেক্স বিভাগের প্রশিক্ষক মনির হোসেন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপোতে (আইসিডি) বিপজ্জনক রাসায়নিক সংরক্ষণের জন্য কোনো ডেডিকেটেড অবকাঠামো সুবিধা নেই।

"আইসিডি পাত্রে কী আছে তার রেকর্ড রাখার জন্য একটি লগ রক্ষণাবেক্ষণ করা উচিত। অন্যদিকে, রাসায়নিক দ্রব্য রাখা কনটেইনার শিপিংয়ের সময়ই আলাদা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।"
বিএম ডিপোতে কোনো সুরক্ষা প্রোটোকল মানা হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তার এই দাবি স্বীকার করে ডিপোর একজন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, ডিপোতে মজুদকৃত রাসায়নিকের পরিমাণ সম্পর্কে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।
ডিপোতে কী পরিমাণ রাসায়নিক দ্রব্য রাখা হয়েছে জানতে চাইলে ডিপো কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি স্মার্ট গ্রুপের জিএম (অ্যাডমিন) মেজর (অব.) শামসুল হায়দার সিদ্দিকী বলেন, "এ বিষয়ে আমাদের কাছে সঠিক কোনো তথ্য নেই। যাদের কাছে থাকতে পারে তারা বর্তমানে হয় আহত, না হলে মৃত। তবে আমাদের প্রচেষ্টা চলছে।"
ঘটনার তদন্তে তারা একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছেন বলে জানান তিনি।
কেন রাসায়নিকের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়নি এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি ডিপোর মুখপাত্র শামসুল হায়দার সিদ্দিক। তিনি টিবিএসকে বলেন, ডিপো যদি রাসায়নিক মজুদের বিষয়ে দমকল কর্মীদের অবহিত করত তবে হতাহতের সংখ্যা কম হত।