বরিশালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদলের মধ্যে উত্তেজনা

বরিশাল সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে আজ বুধবার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে বিষয়টি মীমাংসার জন্য উভয়পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসে কলেজ প্রশাসন।
বৈঠক শেষে বিকেল সাড়ে ৩টায় উভয়পক্ষ থেকে জানানো হয়, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভুল বোঝাবুঝি থেকে একটি ঘটনা ঘটেছে। এখানে তৃতীয়পক্ষ একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে সুযোগ নিতে চেয়েছিল। তবে কলেজ অধ্যক্ষসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল জেলার সদস্য সচিব এস এম ওয়াহিদুর রহমান বলেন, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে বরিশালে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) থেকেই প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজে একটি কর্মসূচি ছিল। সেখানে যারা হামলা চালিয়েছে, তারা নিজেদের ছাত্রদলের কর্মী পরিচয় দিয়েছিল। বিষয়টি জানতে পেরে ছাত্রদলের বরিশাল মহানগর ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ঘটনাস্থলে যান।
সভা শেষে বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম রনি বলেন, স্লোগানকে কেন্দ্র করে হাতেম আলী কলেজে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। তার পেছনে নামধারী কিছু ছাত্র রয়েছে। এরা ছাত্রদলের কেউ না। আমরা এটিকে বড় আকারের কিছু হতে দিতে চাই না। তাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।
তবে বৈঠক শুরুর আগে কলেজের অধ্যক্ষ হারুণ অর রশিদ হাওলাদার বলেন, কলেজের একটি অনুষ্ঠান ছিল। এর মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা একটি মিছিল বের করতে চান। সেই মিছিলে যোগ দিতে বহিরাগত সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এলে ছাত্রদলের নেত-কর্মীরা তাতে ক্ষুব্ধ হন। এনিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়েছে। তবে কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি।