উত্তরায় ‘দম্পতিকে’ কোপানোর ঘটনায় নতুন মোড়

রাজধানীর উত্তরায় এক 'দম্পতিকে' ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর ঘটনা এবার নতুন মোড় নিয়েছে। ঘটনার দুদিনের মাথায় আজ বুধবার শম্পা বেগম (৩৫) নামে এক নারী সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছেন, যাদের দম্পতি বলা হচ্ছে, তারা আসলে স্বামী-স্ত্রী নন। বরং ছুরিকাঘাতে আহত মেহেবুল হাসান হলেন শম্পা বেগমের স্বামী।
গত সোমবার রাতে মেহেবুল (৩৭) ও নাসরিন আক্তার ইপ্তিকে (২৮) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় দুর্বৃত্তরা। তারা দুজনেই বর্তমানে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন ইপ্তি। মামলার এজাহারে তিনি নিজেকে মেহেবুলের স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
তবে শম্পা বেগম নিজেকে মেহেবুলের 'প্রকৃত' স্ত্রী দাবি করে আজ দুপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে অভিযোগ করেন- ইপ্তির সঙ্গে মেহেবুলের সম্পর্ক থাকতে পারে।
তিনি বলেন, 'সোমবার মেহেবুল বাড়ি থেকে বের হয়। একদিন পর হামলার ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর আমি বিষয়টি জানতে পারি। তিনি (নাসরিন আক্তার) মেহেবুলের স্ত্রী নন, আমি তার স্ত্রী। তারা দুজনই একটি একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থায় কাজ করেন। তাদের মধ্যে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থাকতে পারে।'
তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালে আমাদের বিয়ে হয়। তাদের চার ও পাঁচ বছর বয়সি দুটি সন্তানও আছে।
মেহেবুল ও নাসরিনকে দম্পতি হিসেবে শোনার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন শম্পা বেগম। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, 'যদি তাদের সত্যিই বিয়ে হয়ে থাকে, তাহলে আমার সন্তানদের কী হবে? আমরা কোথায় যাবো?'
শম্পা বেগম আরও অভিযোগ করেন- হাসপাতালে গেলে মেহেবুল ও নাসরিন তাকে তাদের বিষয়টি প্রকাশ না করার জন্য হুমকি দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাসরিন আক্তার ইপ্তি বলেন, 'মামলার এজাহারে ইতোমধ্যেই আমাদের সম্পর্কের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। আপনারা আমাদের সুস্থতার জন্য দোয়া করুন।'
সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের ৯ নম্বর রোডে 'বেপরোয়া' চালিয়ে যাওয়া একটি মোটরসাইকেল একটি রিকশাকে ধাক্কা দেয়। সেখানে আরেকটি মোটরসাইকেলে থাকা মেহেবুল ও নাসরিন এর প্রতিবাদ জানান।
এরপর রিকশায় ধাক্কা দেওয়া বাইকের আরোহীরা তাদের হুমকি দেন এবং একপর্যায়ে 'কিল-ঘুসি' মারেন। পরে তারা ফোন করে আরও কয়েকজনকে ডেকে আনলে তারা অস্ত্রসহ তাদের ওপর চড়াও হন।