কুয়েটে বৈষম্যবিরোধীরা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মতো কার্যক্রম চালাচ্ছে: মন্তব্য ছাত্রদলের

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের মতো কার্যক্রম চালাচ্ছে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।
বুধবার বেলা একটার দিকে খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ এ মন্তব্য করেন।
তারা বলেন, কুয়েটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি কমিটি রয়েছে। ওই কমিটির ছাত্ররা রাজনীতি করলে কোনো দোষ নেই। আর ছাত্রদল বাংলাদেশ ঐতিহ্যবাহী সংগঠন হওয়া সত্ত্বেও, তাদের ফরম বিক্রি করতে গেলে হামলা চালানো হয়েছে।
তারা দাবি করেন, কুয়েটের ছাত্রদলের কর্মীদের উপরে প্রথমে হামলা করেছিল ওই ক্যাম্পাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটির মধ্য গুপ্তভাবে থাকা একটি রাজনৈতিক দলের ছাত্ররা।
এছাড়া লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে একটি মিছিল থেকে রাহুল জাবেদ, ইফাজ ও ইউসুফ নামক তিন জন ছাত্রদল সমর্থকের উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। ভুক্তভোগীদের বয়ান অনুযায়ী তাদেরকে ধাওয়া দিয়ে ও মারধর করে কুয়েট গেটের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়, এবং গেটের কাছে একটি দোকানে আশ্রয় নিলে সেই দোকানদারকেও হেনস্তা করা হয়।
এর ফলে সেই দোকানমালিকের পরিচিত কিছু স্থানীয় লোকজন সশস্ত্র হামলা চালায় সেই মিছিলকারীদের উপর। দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া চলে।
তারা আরও বলেন, ওই সহিংসতায় ছাত্রদলের সমর্থকেরা কেবল ভুক্তভোগী হিসেবে জড়িত ছিলেন বলেই এখন পর্যন্ত জানা গেছে। তাদের তিনজনই কুয়েটের সম্মান কোর্সের নিয়মিত শিক্ষার্থী এবং যেহেতু কুয়েটে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কোন কমিটি গঠিত হয়নি এবং এখনও পর্যন্ত কুয়েট ক্যাম্পাসে সদস্য ফরম পূরণ কার্যক্রমও শুরু হয়নি সেহেতু তারা তিনজন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নিবন্ধিত কর্মীও নন।
তারা আরও বলেন, এসব ঘটনা চলাকালে এবং পরবর্তীতে কোনোরূপ তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই স্থানীয় জনতার সাথে কুয়েট শিক্ষার্থীদের এই ন্যাক্কারজনক সহিংসতাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে 'ছাত্রদলের হামলা' বলে পুরো ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার চেষ্টা চালানো হয়।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহইয়া, সহ-সভাপতি হাবিবুল বাশার ও সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুমসহ স্থানীয় খুলনার ছাত্রদলের নেতারা।