রামদা দিয়ে ছাত্রদের ওপর হামলা চালানো যুবদল নেতা মাহমুদর রহমান বহিষ্কার
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্রদল ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দৌলতপুর থানা যুবদলের সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমানকে বহিষ্কার করেছে দলটি।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
সংঘর্ষ চলাকালে রামদা হাতে থাকা মাহবুবুর রহমানের একটি ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মূলত বিষয়টি আলোচনায় আসে।
যুবদল জানায়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলের কোনো নেতা-কর্মীর অপকর্মের দায় সংগঠন নেবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি, যুবদলের নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, মঙ্গলবার দুপুরে কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদলের সংঘর্ষ হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের একটি প্রচারাভিযানকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়। একপর্যায়ে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সংঘর্ষের সময় ছাত্রদলের সঙ্গে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কিছু নেতাকর্মী মিশে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে দফায় দফায় চলা এ ঘটনায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।
রাতে শিক্ষার্থীরা এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেন, যার মধ্যে কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি, এবং উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগের দাবি রয়েছে। শিক্ষার্থীরা বুধবার দুপুর ১টার মধ্যে দাবি পূরণের আলটিমেটাম দেন এবং তা না মানা হলে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন।
